promotional_ad

পাকিস্তানকে সুপার ওভারে হারিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস

promotional_ad

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||


ম্যাচ জিততে শেষ তিন ওভারে ২৮ রান দরকার ছিল যুক্তরাষ্ট্রের। সেখান থেকে ১৭তম ওভারে শাহীন শাহ আফ্রিদি দেন সাত রান, ১৮তম ওভারে মোহাম্মদ আমির দেন ৬ রান। হারিস রউফের করা শেষ ওভারে ১৫ রান লাগলে অ্যারন জোনস ও নিতিশ কুমারের দৃঢ়তায় ১৪ রান তোলে যুক্তরাষ্ট্র। ফলে সুপার ওভারে গড়ায় ম্যাচ। আর সেখানেই পাকিস্তানকে হারিয়ে ইতিহাস তৈরি করে যুক্তরাষ্ট্র। এবারই প্রথম দলটিকে হারাল যুক্তরাষ্ট্র।


লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে সতর্ক শুরু করে যুক্তরাষ্ট্র। পাওয়ার প্লে' র শেষ ওভারে নিজেদের প্রথম উইকেট হারায় দলটি। ১৬ বলে ১২ রান করা স্টিভেন টেলরকে ফেরান নাসিম শাহ। তারপর মোনাঙ্ক প্যাটেল এবং অ্যান্দ্রিস গাউসের ব্যাটে লম্বা সময় ধরে পাকিস্তানের ওপর ছড়ি ঘোরায় যুক্তরাষ্ট্র।


এই জুটিতে আসে ৬৮ রান। দলীয় শতরান পার হওয়ার পর এই জুটি ভাঙেন হারিস রউফ। ২৬ বলে ৩৫ রান করা গাউসকে বোল্ড করে ফেরান তিনি। এরপরের ওভারে পাকিস্তানকে আবার স্বস্তি এনে দেন মোহাম্মদ আমির।


promotional_ad

৩৮ বলে বরাবর ৫০ রান করা মোনাঙ্ক প্যাটেলকে বিদায় করেন এই পেসার। আমিরের অফ কাটার এগিয়ে এসে খেলতে গিয়ে উইকেটরক্ষক মোহাম্মদ রিজওয়ানকে ক্যাচ দেন মোনাঙ্ক। এরপর জোনস আর নিতিশের ব্যাটে ভর করে সুপার ওভারে যায় যুক্তরাষ্ট্র। নিতিশ ১৪ বলে ১৪ এবং কানাডার সঙ্গে ম্যাচ জেতানোর নায়ক জোনস ২৬ বলে ৩৬ রান তুলে অপরাজিত থাকেন।


সুপার ওভারে ওয়াইডের পশরা সাজিয়ে বসেন মোহাম্মদ আমির। সুপার ওভারে জোনস এবং হারমিটের বুদ্ধিদীপ্ত ব্যাটিংয়ে ১৮ রান নেয় যুক্তরাষ্ট্র। জবাবে নেত্রাভাকারের করা ওভারে ইফতিখার আহমেদ প্রথম বল ডট দিলেও দ্বিতীয় বলে চার মারেন। তবে একটা ওয়াইডের পর তৃতীয় বলেই ফিরে যান। এরপর শাদাব খান নামলে ১৩ রানের বেশি করতে পারেনি পাকিস্তান। ফলে পাকিস্তানকে হারিয়ে ইতিহাস সৃষ্টি করে যুক্তরাষ্ট্র।


বাংলাদেশ সিরিজে অসাধারণভাবে পারফর্ম করে সিরিজ জয়ের পর বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে কানাডাকে হারায় যুক্তরাষ্ট্র। এবার পাকিস্তানের বিপক্ষেও শুরু থেকে দাপট দেখায় দলটি। ফলে স্কোরবোর্ডে ২৬ রান তুলতেই তিন উইকেট হারায় পাকিস্তান।


সম্মিলিত বোলিং আক্রমণে মোহাম্মদ রিজওয়ান (৯), উসমান খান (৩) এবং ফখর জামানকে (১১) ফেরায় দলটি। সেই খাদ থেকে দলকে টেনে তোলেন বাবর আজম এবং শাদাব খান। এই দুজন মিলে গড়েন ৭২ রানের জুটি।


১৩তম ওভারে দুই উইকেট হারিয়ে আবার হেই হারায় পাকিস্তান। ২৫ বলে ৪০ রান করা শাদাব ফিরে যান কেনিজেগকে ফাইন লেগে হাঁকাতে গিয়ে। পরের বলেই উইকেটে নতুন আসা আজম খানকে লেগ বিফোর উইকেটের ফাঁদে ফেরান তিনি।

৯৮ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ফের ধুঁকছিল পাকিস্তান। কয়েক ওভার পর ফিরে যান বাবরও। পাকিস্তানের অধিনায়ক জাসদ্বীপ সিংয়ের বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ে বিদায় নেন। ৪৩ বলে ৪৪ রান আসে তার ব্যাটে।


শেষদিকে ইফতিখার আহমেদের ১৪ বলে ১৮ এবং শাহীন শাহ আফ্রিদির ১৬ বলে ২৩ রানের ইনিংসে সাত উইকেটে ১৫৯ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায় পাকিস্তান। যুক্তরাষ্ট্রের নসতুস কেনিজেগ ৩০ রানে তিনটি আর সৌরভ নেত্রাভাকার ১৮ রানে নেন দুটি উইকেট।



আরো খবর

সম্পাদক এবং প্রকাশক: মোঃ কামাল হোসেন

বাংলাদেশের ক্রিকেট জগতে এক অপার আস্থার নাম ক্রিকফ্রেঞ্জি। সুদীর্ঘ ১০ বছর ধরে ক্রিকেট বিষয়ক সকল সংবাদ পরম দায়িত্ববোধের সঙ্গে প্রকাশ করে আসছে ক্রিকফ্রেঞ্জি। প্রথমে শুধুমাত্র সংবাদ দিয়ে শুরু করলেও বর্তমানে ক্রিকফ্রেঞ্জি একটি পরিপূর্ণ অনলাইন মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম।

মেইল: cricfrenzy@gmail.com
ফোন: +880 1305-271894
ঠিকানা: ২য় তলা , হাউজ ১৮, রোড-২
মোহাম্মাদিয়া হাউজিং সোসাইটি,
মোহাম্মাদপুর, ঢাকা
নিয়োগ ও বিজ্ঞপ্তি
বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ
নিয়ম ও শর্তাবলী
নীতিমালা
© ২০১৪-২০২৪ ক্রিকফ্রেঞ্জি । সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
footer ball