promotional_ad

তানভিরের ৫ উইকেটের পর নাটকীয় জয়ে সিরিজে সমতা বাংলাদেশের

৫ উইকেটের পথে তানভির, তাকে ঘিরে তাওহীদ হৃদয় ও শামীম পাটোয়ারি, ক্রিকফ্রেঞ্জি
ইনিংসের ৩৯তম ওভারে নিজের শেষ ওভার করতে আসেন তানভির ইসলাম। তার করা তৃতীয় বলটি ডিফেন্স করতে চেয়েছিলেন মাহিশ থিকশানা। তবে বল ব্যাটের কানায় লেগে চলে যায় মিড উইকেটের দিকে। সেখানে সহজ ক্যাচ নেন বদলি ফিল্ডার রিশাদ হোসেন। আর তাতেই ৫ উইকেট পেয়ে যান বাংলাদেশের এই স্পিনার।

promotional_ad

আগের ম্যাচেই ওয়ানডে অভিষেক হয় তানভিরের। দ্বিতীয় ম্যাচেই পেলেন ৫ উইকেটের দেখা। তানভিরের মতো বাংলাদেশ দলও দারুণ এক কামব্যাক করেছে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে। প্রথম ম্যাচে নাটকীয় ধসের পর বড় ব্যবধানে হেরেছিল বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ম্যাচে ১৬ রানের জয় তুলে নিয়ে সিরিজে সমতা ফিরিয়েছে মেহেদী হাসান মিরাজের দল।


আরো পড়ুন

মিরাজের কাছে শামীমের পারফরম্যান্স ‘অবিশ্বাস্য’

২ ঘন্টা আগে
ক্রিকফ্রেঞ্জি

বাংলাদেশের দেয়া ২৩৯ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শ্রীলঙ্কা অল আউট হয়েছে ১৭৫ রানে। শ্রীলঙ্কার হয়ে সর্বোচ্চ ৮৫ বলে ৭৮ রানের ইনিংস খেলেন জানিথ লিয়ানাগে। এ ছাড়া ৫৬ রানের ইনিংস খেলেন কুশল মেন্ডিস। শ্রীলঙ্কা শুরুতে পাথুম নিশাঙ্কার উইকেট হারালেও পাল্টা আক্রমণ করে বাংলাদেশকে চাপে রেখেছিলেন মেন্ডিসই।


বাংলাদেশের বোলারদের তুলোধোনা করে ২০ বলে তুলে নেন হাফ সেঞ্চুরিও। অবশ্য তার বিদায়ের পর লঙ্কানদের রানের থাকা অনেকটাই ধীর হয়ে যায়। লঙ্কান ব্যাটারদের আসা যাওয়ার মাঝেই একপ্রান্ত আগলে রেখে খেলেছেন লিয়ানাগে। এই ব্যাটার তুলে ৭৫ বলে তুলে নেন হাফ সেঞ্চুরি। নবম উইকেটে দুশমান্থ চামিরাকে নিয়ে গড়েন ৫৮ রানের জুটিও। তাতেই শেষ পর্যন্ত লঙ্কানদের জয়ের আশা বেঁচে ছিল।


৪৮তম ওভারে বল করতে এসে প্রথম বলেই লিয়ানাগের ব্যাটে ছক্কা খেয়েছিলেন মুস্তাফিজ। তবে পরের বলেই তাকে সোজা ব্যাটে খেলতে গিয়ে মুস্তাফিজকেই ক্যাচ তুলে দেন লঙ্কান এই ব্যাটার। লিয়ানাগে আউট হন ৮৫ বলে ৭৮ রান করে। এরপর লঙ্কানদের ইনিংস শেষ হতে বেশি সময় নেয়নি। সাকিব দুশমান্থ চামিরাকে বোল্ড করে শ্রীলঙ্কার ইনিংস গুটিয়ে দেন ২৩২ রানে।


এর আগে অবশ্য বাংলাদেশকে ম্যাচে রেখেছিলেন তানভিরই। লঙ্কান ওপেনার নিশান মাদুশকাকে দিয়ে শুরু। এরপর তানভির একে একে ফিরিয়েছেন কুশল মেন্ডিস, কামিন্দু মেন্ডিস, দুনিথ ওয়েলালাগে ও থিকশানাকে। তিনি নিজের বোলিং শেষ করেন ৩৯ রানে ৫ উইকেট নিয়ে। এর মধ্যে দুটি ওভার নিয়েছেন মেইডেনও। এর বাইরে বাংলাদেশের হয়ে দুটি উইকেট নেন তানজিম সাকিব। একটি করে উইকেট নেন মিরাজ, মুস্তাফিজ, ও শামীম হোসেন।


promotional_ad



আরো পড়ুন

‘বোলাররাই মার খায়, তুই পারবি’, তানভিরকে বলেছিলেন মিরাজ

৩ ঘন্টা আগে
৫ উইকেট নিয়ে ম্যাচ জেতানোর পর তানভির ইসলাম, ক্রিকফ্রেঞ্জি

এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামা বাংলাদেশের শুরুটা ভালো হয়নি। ইনিংসের তৃতীয় ওভারেই ফেরেন প্রথম ওয়ানডেতে হাফ সেঞ্চুরি করা তানজিদ হাসান তামিম। পেসার আসিথা ফার্নান্দোর অফ স্টাম্পে পড়ে বেরিয়ে যাওয়া স্লোয়ার ডেলিভারিতে এজ হয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়েছেন। বাঁহাতি ওপেনার ফেরেন ৭ রানে। প্রথম উইকেট হারানোর পর শুরুর ধাক্কা সামাল দেয়ার চেষ্টা করলেন পারভেজ হোসেন ইমন ও নাজমুল হোসেন শান্ত। শুরুতে দেখেশুনে খেললেও পাওয়ার প্লের শেষের দিকে দ্রুত রান তুলতে থাকেন ইমন।


তাদের দুজনের জমে ওঠা ভাঙেন আসালাঙ্কা। ডানহাতি স্পিনারের শর্ট ডেলিভারিতে পুল করে ডিপ মিড উইকেট দিয়ে খেলার চেষ্টায় থিকশানার হাতে ক্যাচ দিয়েছেন। উইকেটে থিতু হলেও বাঁহাতি ব্যাটারকে ফিরতে হয় ১৪ রানে। শান্ত ফেরার পর ৪৬ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন ইমন। প্রথম ওয়ানডেতে অভিষেক হওয়া বাঁহাতি ওপেনার পঞ্চাশ ছুঁয়েছেন দ্বিতীয় ম্যাচেই। যদিও হাফ সেঞ্চুরির পর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি তিনি। ৩ ছক্কা ও ৬ চারে ৬৯ বলে ৬৭ রানের ইনিংস খেলে ফেরেন তরুণ এই ওপেনার।


ব্যাটিংয়ে আরও একবার ব্যর্থ হয়েছেন মিরাজ। দুশমন্থ চামিরার শরীর বরাবর শর্ট লেংথ ডেলিভারিতে পুল করতে গিয়ে স্কয়ার লেগে নিশাঙ্কার হাতে ক্যাচ দিয়েছেন বাংলাদেশের অধিনায়ক। আগের ম্যাচে ডাক মারা মিরাজ আউট হয়েছেন ৯ রানে। লিটন দাসের জায়গায় একাদশে সুযোগ পেয়ে ভালো শুরুই করেছিলেন শামীম। তবে বাঁহাতি ব্যাটারকে ইনিংস বড় করতে দেননি আসিথা। ডানহাতি পেসারের শর্ট ডেলিভারিতে ফাইন লেগ দিয়ে ছক্কা মারতে গিয়ে লিয়ানাগের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন। ২৩ বলে ২২ রান করেছেন বাঁহাতি এই ব্যাটার।


শামীম ফেরার পর জাকের ও হৃদয় মিলে এগিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেছেন। দ্রুত রান তুলতে না পারলেও জুটি গড়েন। তবে বাংলাদেশের দুইশ রান হওয়ার পর জাকেরকে ফেরান আসিথা। লঙ্কান পেসারের নাকল ডেলিভারি বুঝতে না পেরে লেগ বিফোর উইকেট হয়েছেন ২৪ রান করা জাকের। একটু পর ৬৮ বলে হাফ সেঞ্চুরি করেন হৃদয়। যদিও পঞ্চাশ ছোঁয়ার পরের ওভারেই আউট হয়েছেন তিনি। আসিথার অফ কাটারে ডাউন দ্য উইকেটে এসে ডিপ মিড উইকেটে ঠেলে দিয়ে দুই রান নিতে চেয়েছিলেন হৃদয়। ডানহাতি ব্যাটারের ডাকে সাড়াও দিয়েছিলেন তানজিম।


হৃদয় যখন উইকেটের মাঝে চলে গেছেন তখন না করেন তিনি। এমন অবস্থায় নন স্ট্রাইক প্রান্তে ফিরতে পারেননি হৃদয়। ফলে নিজেদের ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউট হয়ে ফিরতে হয়েছে তাকে। হৃদয় আউট হয়েছেন ৫১ রানে। শেষের দিকে সমান দুটি করে ছক্কা ও চারে ২১ বলে অপরাজিত ৩৩ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলেন তানজিম। যদিও আড়াইশ ছুঁতে পারেনি বাংলাদেশ। আসিথার ৪ এবং ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গার তিন উইকেটে ২৪৮ রানে অল আউট হয় সফরকারীরা।


সংক্ষিপ্ত স্কোর-


বাংলাদেশ- ২৪৮/১০ (৪৫.৫ ওভার) (তানজিদ ৭, ইমন ৬৭, শান্ত ১৪, মিরাজ ৯, হৃদয় ৫১, শামীম ২২, জাকের ২৪, তানজিম ৩৩*, আসিথা ৪/৩৫, হাসারাঙ্গা ৩/৬০)


শ্রীলঙ্কা- ২৩২/১০ (৪৮.৫ ওভার) (মেন্ডিস ৫৬, মাদুশকা ১, কামিন্দু ৩৩, লিয়ানাগে ৭৮; তানভির ৫/৩৯, মিরাজ ১/৩৭)



আরো খবর

সম্পাদক এবং প্রকাশক: মোঃ কামাল হোসেন

বাংলাদেশের ক্রিকেট জগতে এক অপার আস্থার নাম ক্রিকফ্রেঞ্জি। সুদীর্ঘ ১০ বছর ধরে ক্রিকেট বিষয়ক সকল সংবাদ পরম দায়িত্ববোধের সঙ্গে প্রকাশ করে আসছে ক্রিকফ্রেঞ্জি। প্রথমে শুধুমাত্র সংবাদ দিয়ে শুরু করলেও বর্তমানে ক্রিকফ্রেঞ্জি একটি পরিপূর্ণ অনলাইন মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম।

মেইল: cricfrenzy@gmail.com
ফোন: +880 1305-271894
ঠিকানা: ২য় তলা , হাউজ ১৮, রোড-২
মোহাম্মাদিয়া হাউজিং সোসাইটি,
মোহাম্মাদপুর, ঢাকা
নিয়োগ ও বিজ্ঞপ্তি
বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ
নিয়ম ও শর্তাবলী
নীতিমালা
© ২০১৪-২০২৪ ক্রিকফ্রেঞ্জি । সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
footer ball