‘বিশ্বমঞ্চে যত ঠাণ্ডা থাকা যায় তত ভালো পারফর্ম করার সুযোগ থাকে’

ছবি:

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
মাসখানেক আগেই স্পিন বোলিং কোচ হিসেবে মুশতাক আহমেদকে নিয়োগ দেয় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। পাকিস্তানের বিশ্বকাপজয়ী এই স্পিনারকে পেয়ে নিজেকে আরও বেশি ঝালিয়ে নিচ্ছেন রিশাদ হোসেন। তরুণ এই লেগ স্পিনারকে মাথা ঠাণ্ডা রেখে পারফর্ম করার পরামর্শ দিয়েছেন মুশতাক।
বিসিবি প্রকাশিত ভিডিও বার্তায় এমনটাই জানিয়েছেন রিশাদ। ইমরান খানের নেতৃত্বে পাকিস্তানের হয়ে ১৯৯২ সালে ওয়ানডে বিশ্বকাপ জিতেছেন মুশতাক। সেই সময়ের অভিজ্ঞতাই রিশাদের সঙ্গে ভাগাভাগি করেছেন মুশতাক।
রিশাদ বলেন, 'উনি ওনার অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছে। বিশ্বমঞ্চে কীভাবে উনি দাপুটে পারফর্ম করেছে। আমি জিজ্ঞেস করেছিলাম কীভাবে বড় মঞ্চে পারফর্ম করা যায়। কীভাবে কাম এন্ড কুল থাকা যায়। এসব নিয়েই কথা হচ্ছিল। উনি বলেছিলেন বিশ্বমঞ্চে যত ঠাণ্ডা থাকা যায় তত ভালো পারফর্ম করার সুযোগ থাকে। আমি এগুলো ডেলিভার করার চেষ্টা করব।'

মূলত লেগস্পিনার হলেও গত এক বছরে ব্যাট হাতেও বাংলাদেশকে কয়েকটি ম্যাচ জিতিয়েছেন রিশাদ। লেজের সারিতে ব্যাটিংয়ে নামা রিশাদের আগ্রাসী ভঙ্গিমার ব্যাটিং স্বপ্ন দেখাচ্ছে বাংলাদেশ দলকে। নাজমুল হোসেন শান্তর দলে রিশাদ হতে চাইছেন পরিপূর্ণ এক অলরাউন্ডার।
রিশাদ বলেন, 'দলের প্রতি আমি ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং- তিন দিক থেকেই অবদান রাখতে চাই। সবসময় এটা ইনশাআল্লাহ চেষ্টা করব। ক্রিকেট খেলা যখন শুরু করেছি, তখন লেগস্পিনার ছিলাম। কিন্তু মনে মনে একটা জিনিস চিন্তা করতাম দেশের জন্য কিছু করতে হলে আমাকে তিন সাইড থেকেই দিতে হবে। ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং- তিন সাইড থেকে দিতে গেলে আমাকে একটু কঠোর পরিশ্রম করতে হবে।'
'আমি চেষ্টা করেছি ব্যাটিংয়ে আরও উন্নতি করার জন্য। সব ব্যাটারই চায় বড় বড় শট খেলতে। আমিও সবসময় চাই যে বাউন্ডারির দিকে বেশি শট খেলতে। ছক্কা মারার জন্য নিজের ওপর বিশ্বাস সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আমি চিন্তা করি শুধু, বোলার বা অন্যান্য কিছু দেখি না, বল দেখি শুধু। বল বাই বল দেখি।'
আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে যুক্তরাষ্ট্র এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে ভিন্ন ভিন্ন কন্ডিশনে খেলতে হবে বাংলাদেশকে। আপাতত সেসব নিয়ে একেবারেই ভাবছেন না রিশাদ। উইকেটের আচরণ অনুযায়ী বোলিং করার পরিকল্পনা তার। হতে চান বিশ্বকাপ সর্বোচ্চ উইকেটশিকারিও।
রিশাদ আরও বলেন, 'কন্ডিশন যেটাই হোক, আমাদের সামর্থ্য দিয়ে ডেলিভারি করতে হবে। চেষ্টা করব আপাতত কন্ডিশন নিয়ে না ভাবার। মাঠে গিয়েই দেখব উইকেট কেমন বা অন্যান্য কিছু। বিশ্বকাপ খেলাটা আমার অনেক গর্বের ব্যাপার। চেষ্টা করব নিজের সামর্থ্যের সর্বোচ্চটা দেয়ার।'
'আগের থেকে ভিন্ন ফল হবে আশা করি। নামের পেছনে আমি বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি এটা দেখতে চাই যেহেতু মূলত আমি বোলার। অলরাউন্ডার হিসেবেও নিজেকে অনেক দূর এগিয়ে দেখতে চাই।'