কিংয়ের ফিফটি, ক্যারিবিয়ানদের অল আউট করেও অস্বস্তিতে অস্ট্রেলিয়া

ছবি: দারুণ ইনিংস খেলার পথে ব্র্যান্ডন কিং, ফাইল ফটো

ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে ব্যাটিংয়ে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ইনিংসটি খেলেছেন ব্র্যান্ডন কিং। প্রথম শ্রেণির অভিজ্ঞতা সীমিত হলেও টেস্টে নিজের দ্বিতীয় ম্যাচেই তিনি করেন ৭৫ রান। তবে আসল অবদান আসে লোয়ার অর্ডার থেকে। অষ্টম উইকেটে আলজারি জোসেফ ও শামার জোসেফ মিলে যোগ করেন ৫১ রান, যা দলের ব্যাটিং বিপর্যয় কিছুটা সামাল দেয়।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলে ৩ নতুন মুখ, ফিরলেন হোপ-ক্যাম্পবেল
১১ জুন ২৫
দিনের শুরুতে দ্রুত ধাক্কা খায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। শততম টেস্ট খেলতে নামা অধিনায়ক ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েট শূন্য রানে ফিরতি ক্যাচ দিয়ে ফেরেন জশ হ্যাজেলউডের বলে। এরপর কেসি কার্টিও (৬) একইভাবে ফিরেন প্যাট কামিন্সের বলে। দুটি উইকেটই আসে বোলারের হাতে ধরা ক্যাচে।
জন ক্যাম্পবেল কিছুটা প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন। ব্যক্তিগত ৪০ রানে বাজে শটে উইকেট দিয়ে বসেন বেউ ওয়েবস্টারকে। মিড অনে সহজ ক্যাচটি নেন মিচেল স্টার্ক। এরপর কিং ও রস্টন চেইজ লাঞ্চ পর্যন্ত কাটিয়ে দিলেও লাঞ্চের পরপরই চেইজ (১৬) বিদায় নেন। তাকে লেগ বিফোর উইকেটের ফাঁদে ফেলেন হ্যাজেলউড।

ফলে চাপ আরও বাড়ে ক্যারিবিয়ানদের উপর। সেখান থেকে কিংয়ের সঙ্গে যোগ দেন শাই হোপ। এই জুটি নাথান লায়ন ও কামিন্সদের সামলে রানের খাতায় ৫৮ রান যোগ করেন। স্পিনারদের বিরুদ্ধে ইতিবাচক ব্যাটিংয়ে ৭ চার ও ১ ছক্কায় কিং তুলে নেন নিজের প্রথম টেস্ট ফিফটি।
ওয়েবস্টার-ক্যারির হাফ সেঞ্চুরি, প্রথম দিনেই অল আউট অস্ট্রেলিয়া
৪ জুলাই ২৫
তবে হোপ (২১) ও কিং দুজনই ফিরে যান পরপর দুই ওভারে। ১০৮ বলে ৭৫ রান করা কিং, লায়নের বলে উইকেটরক্ষকের মুঠোয় ক্যাচ তুলে দেন। তার বিদায়ের পর দ্রুত ফেরেন জাস্টিন গ্রেভসও। তিনিও লায়নের বলে অ্যালেক্স ক্যারির মুঠোয় ক্যাচ দেন।
দলীয় স্কোর তখন সাত উইকেটে ১৭৪। সেখান থেকে জোসেফ জুটি লড়াই করেন। দুটি করে ছক্কা মারেন দুজনই। তাদের ৫১ রানের জুটি হয় ৬৬ বলে। শেষ পর্যন্ত ২৭ রানে লায়নের বলে আউট হন আলজারি, ২৯ রানে স্টার্কের বলে বোল্ড হন শামার।
নাথান লায়ন একটানা ১৭ ওভার বল করে নেন তিন উইকেট। তার পাশাপাশি স্টার্ক ও কামিন্সও গুরুত্বপূর্ণ সময়ে উইকেট তুলে নেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইনিংস শেষ হয় ২৫৩ রানে, যা অস্ট্রেলিয়ার প্রথম ইনিংসের চেয়ে ৩৩ রানে কম।
ছোট লিড নিয়েও ভালো শুরু করতে পারেনি অস্ট্রেলিয়া। জেইডেন সিলস প্রথম ওভারেই ফিরিয়ে ওপেনারকে স্যাম কনস্টাসকে। শুন্য রানে বোল্ড হন তিনি। ১১ বলে দুই রান করা উসমান খাওয়াজাকেও ফেরান সিলস। রাউন্ড দ্য উইকেট অ্যাঙ্গেলে তাকে এলবিডব্লিউ'র ফাঁদে ফেলেন সিলস। দিনের বাকি সময় ক্যামেরন গ্রিন ও নাইটওয়াচম্যান লায়ন কাটিয়ে দেন উইকেট না হারিয়ে।