সল্ট ঝড়ে উড়ে গেল লক্ষ্ণৌ

ছবি:

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

কলকাতা নাইট রাইডার্সের জার্সিতে নিজের অভিষেক ম্যাচেই হাফ সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন ফিল সল্ট। কিন্তু পরের ৩ ম্যাচে জ্বলে ওঠেনি এই ইংলিশম্যানের ব্যাট। কিন্তু লক্ষ্ণৌ সুপার জায়েন্টসের বিপক্ষে জ্বলে ওঠল তার ব্যাট। শুধু জ্বলেই উঠেনি, ঝড় তুলে কলকাতার জয় নিশ্চিত করেছেন সল্ট। তার অপরাজিত ৮৯ রানের ওপর ভর করে ২৬ বল হাতে রেখে ৮ উইকেটে জিতেছে কেকেআর।
ইডেনের ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে টস জিতে প্রথমে বল করার সিদ্ধান্ত নেন কলকাতার অধিনায়ক শ্রেয়াস আইয়ার। লক্ষ্ণৌর অধিনায়ক লোকেশ রাহুলও জানিয়েছিলেন, টস জিতলে তিনিও বল করতেন। সেই সিদ্ধান্ত যে কতটা ঠিক তা বোঝা গেল লক্ষ্ণৌর পাওয়ার প্লে-তেই। প্রথম ৬ ওভারে মাত্র ৪৯ রান তুলে লোকেশ রাহুলের দল।
পাওয়ার প্লে-র পর রাহুলবাহিনীর রানের গতি আরও কমে যায়। ২৭ বলে ৩৯ রান করা রাহুল মাত্র দু’টি ছক্কা মেরেছেন। ২৭ বলে ২৯ রান করা আয়ুশ বাদোনি মেরেছেন একটি। তাঁদের মন্থর ইনিংস লক্ষ্ণৌর বড় রান তোলার পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়।
যে লক্ষ্ণৌ প্রথম ৬ ওভারে ৪৯ রান তুলেছিল, সেখানে পরের ৯ ওভারে তারা তোলে মাত্র ৬৪ রান। তবে পরের দিকে নামা নিকোলাস পুরানের ৩২ বলে ৪৫ রানের সুবাদে লড়াই করার পুঁজি পায় লক্ষ্ণৌ। শেষ বেলায় তাঁর ব্যাটেই ১৬০ রানের গণ্ডি পার করে লক্ষ্ণৌ। শেষ ৫ ওভারে দলটি তোলে ৪৮ রান।
রাতের ইডেনে ব্যাট করা যে সহজ, তা বোঝা গেল কলকাতা ব্যাট করতে নামাতে। প্রথম ৪ ওভারে ৪৪ রান তুলে নেন ফিল সল্টেরা। ওপেনার সুনিল নারাইন এবং তিন নম্বরে নামা অঙ্গকৃশ রঘুবংশীর উইকেট হারিয়েও রানের গতি কমেনি কলকাতার।
চোটের কারণে এই ম্যাচে মায়াঙ্ক যাদব না খেললেও ছিলেন শামার জোসেফ, যশ ঠাকুর, মোহসিন খান, আরশাদ খানের মতো পেসারেরা। কিন্তু তাঁদের খেলতে অসুবিধা হয়নি কলকাতার ব্যাটারদের। উল্ট আইয়ারকে নিয়ে জুটি বেঁধে দ্রুত রান তোলে কেকেআরকে ১০০'র ওপর পুঁজি এনে দেন সল্ট।
শুধু তাই নয়, হাফ সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে দলকে নিয়ে যেতে থাকেন জয়ের দিকে। ২৬ বলে পূরণ করেন হাফ সেঞ্চুরি। লক্ষ্ণৌর বোলারদের কোন প্রকার পাত্তা না দিয়েই চার-ছক্কার সুবাদে মাত্র ১৫.৪ ওভারে জয়ের বন্দরে পৌছায় কেকেআর। ৪৭ বলে ৮৯ রানে অপরাজিত থেকে কলকাতার চতুর্থ জয়ের নায়ক হন সল্ট।