মজিদের অপরাজিত সেঞ্চুরিতে ব্রাদার্সের জয়

ছবি:

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
গত ম্যাচে শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবের বিপক্ষে ৯৫ রানের ইনিংস খেলেছিলেন আব্দুল মজিদ। সেদিন মাত্র ৫ রানের আক্ষেপ নিয়েই ফিরতে হয়েছিল তাকে। কিন্তু পারটেক্স স্পোর্টিং ক্লাবের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করে সেই আক্ষেপ ঘুচালেন এই ব্যাটার। পারটেক্সের ছুঁড়ে দেয়া ২২৫ রানের লক্ষ্য ব্যাট করতে নেমে ১০৫ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। তার ইনিংসে ভর করেই ৪ উইকেটের জয় পায় ব্রাদার্স।
বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (বিকেএসপি) ৪ নম্বর মাঠে এদিন টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নামে পারটেক্স। মৌসুমের দ্বিতীয় ম্যাচেও মাঠে নেমে ব্যর্থ হন আভিষেক মিত্র। আগের ম্যাচে ২ রান অভিষেক এই ম্যাচে ফেরেন মাত্র একরান করে। এরপর উইকেটে আসেন আগের দুই ম্যাচে হাফ সেঞ্চুরি করা মিজানুর রহমান।
আরেক ওপেনার আজমির আহমেদকে সঙ্গী করে রান তুলতে থাকেন। কিন্তু মৌসুম জুড়েই ইনিংস বড় করতে ব্যর্থ হওয়া আজমির এই ম্যাচেও থেমেছেন মাত্র ১৫ রানে। রাহাতুল ফেরদৌসের বলে বোল্ড হন তিনি। এরপর উইকেটে আসা জিহাদুজ্জামানকে নিয়ে ৭৯ রানের জুটি গড়েন মিজান। কিন্তু এই জুটিকে আর বড় হতে দেননি রহমতুল্লাহ আলি।

এই স্পিনারের বলে লং অফে ক্যাচ দিয়ে ৪৩ রানেই সাজঘরে ফেরেন জিহাদুজ্জামান। এরপর উইকেটে থিতু হয়ে থাকা মিজান ৭৩ বলে মৌসুমে নিজের তৃতীয় হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন। কিন্তু ব্রাদার্সের অধিনায়ককে আর ইনিংস বড় করতে দেননি রাহাত। এই স্পিনারের বলে মিড অফে ক্যাচ তুলে দিলে ৫২ রানেই ফিরতে হয় তাকে।
শেষ দিকে তোফায়েল আহমেদ ও মুক্তার আলি ৮২ রানের জুটি গড়লে ২২৪ রানের পুঁজি পায় পারটেক্স। তোফায়েল অপরাজিত থাকেন ৪৪ বলে ও মুক্তার ৩১ বলে ৩৯ রান করে অপরাজিত থাকেন। ব্রাদার্সের হয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট পেয়েছেন রাহাত। একটি করে উইকেট পেয়েছেন আবু জায়েদ রাহি ও মুনির হোসেন।
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতেই ৭৬ রান তোলেন রহমতুল্লাহ ও মজিদ। দলটির এই জুটি ভাঙেন তোফায়েল। এই পেসারের বলে ফাইন লেগে ক্যাচ তুলে দিলে ২৬ রানে ফেরেন রহমতুল্লাহ। এরপর উইকেটে এসে রানের খাতা খোলার আগেই সাজঘরে ফেরেন শাকিল হোসেন। তবে উইকেটের অন্য পাশে দ্রুত রান তুলতে থাকা মাজিদ হাফ সেঞ্চুরি করেন মাত্র ৩৩ বলে।
এদিন মাহমুদুল হাসান ২১, আসিফ আহমেদ ১৩ ও রাহাত শূন্য রানে সাজঘরে ফেরেন। তাদের আসা-যাওয়ার মাঝেই দ্রুত রান তুলতে থাকেন মজিদ। এ সময় অধিনায়ক মুনিরকে নিয়ে ৬৮ রানের ম্যাচজয়ী জুটি গড়েন মজিদ। অধিনায়ক ৩৬ রানে ফেরার পর ৯৬ বলের নিজের সেঞ্চুরি তুলে নেন মজিদ।
সবশেষ ১৪ রানে অপরাজিত থাকা মারাজ মাহবুবকে নিয়ে বাকি পথ পাড়ি দেন মাজিদ। দুই ছক্কা ও ১১ চারে ১০২ বলে ১০৫ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন তিনি। পারটেক্সের হয়ে এদিন মুক্তার তিনটি উইকেট পেয়েছেন। এ ছাড়া রাকিবুল, তোফায়েল ও তানভির হায়দার নিয়েছেন একটি করে উইকেট।