মিলার-সুদর্শনের ব্যাটে গুজরাটের বড় জয়

ছবি:

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
ট্রাভিস হেড, অভিষেক শর্মা, হেনরিখ ক্লাসেনদের ছক্কা বৃষ্টিতে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বিপক্ষে আইপিএল রেকর্ড ২৭৭ রান করেছিল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। তবে গুজরাট টাইটান্সের বিপক্ষে জ্বলে উঠতে পারলেন না তাদের কেউই। ডেথ ওভারে মুহিত শর্মার বুদ্ধিদীপ্ত বোলিংয়ের তাই হায়দরাবাদ আটকে যায় ১৬২ রানে। ঋদ্ধিমান সাহা ও শুভমান গিলের সাবধানী শুরুর পর সাই সুদর্শন এবং ডেভিড মিলারের দারুণ ব্যাটিংয়ে ৭ উইকেটের বড় জয়ই পেয়েছে বর্তমান রানার্স আপরা।
আহমেদাবাদে জয়ের জন্য ১৬৩ রান তাড়ায় ঋদ্ধিমান ও শুভমান দুজনই ছিলেন খানিকটা সাবধানী। চেন্নাই সুপার কিংসের বিপক্ষে ব্যর্থ হওয়া ওপেনিং জুটিতে এদিন এসেছে ৩৬ রান। ঝড়ো শুরু করা ঋদ্ধিমানকে ফিরিয়ে গুজরাটের উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন শাহবাজ আহমেদ। বাঁহাতি এই স্পিনারের ফুলার লেংথ ডেলিভারিতে মিড উইকেটের ওপর দিয়ে খেলতে গিয়ে প্যাট কামিন্সের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন ঋদ্ধিমান।

গুজরাটের অভিজ্ঞ এই ওপেনারকে ফিরতে হয় ২ ছক্কা ও এক চারে ১৩ বলে ২৫ রানের ইনিংস খেলে। অধিনায়ক গিল অবশ্য খানিকটা দেখেশুনেই খেলছিলেন। যদিও তাকে হাফ সেঞ্চুরি করতে দেননি মায়াঙ্ক মারকান্দে। ডানহাতি এই লেগ স্পিনারের স্লটের ডেলিভারিতে নিজের উইকেট বিলিয়ে দিয়ে গেছেন গিল। গুজরাটের অধিনায়ক ফিরেছেন ২৮ বলে ৩৬ রানের ইনিংস খেলে। এরপর গুজরাটকে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন সুদর্শন ও মিলার।
তৃতীয় উইকেট জুটিতে তারা দুজনে মিলে যোগ করেন ৬৪ রান। ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসেবে খেলতে নামা সুদর্শন ৪৫ রানে ফিরলে ভাঙে তাদের এই জুটি। কামিন্সের লেংথ ডেলিভারিতে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ডিপ মিড উইকেটে অভিষেককে ক্যাচ দিয়েছেন তরুণ এই বাঁহাতি ওপেনার। এরপর বিজয় শঙ্করকে সাথে নিয়ে গুজরাটের জয় নিশ্চিত করেন মিলার। সাউথ আফ্রিকার এই ব্যাটার অপরাজিত ছিলেন ৪৪ রানে। তাকে সঙ্গ দেয়া বিজয় করেছেন ১৪ রান।
এর আগে ব্যাটিং করতে নেমে ভালো শুরুর আভাসই দিয়েছিলেন মায়াঙ্ক আগারওয়াল এবং হেড। যদিও তাদের দুজনের জুটি বেশিক্ষণ টিকতে দেননি আজমতউল্লাহ ওমরজাই। ডানহাতি এই পেসারের শর্ট লেংথ ডেলিভারিতে পুল করতে গিয়ে ডিপ স্কয়ার লেগে থাকা দর্শন নালকান্দেকে ক্যাচ দিয়েছেন। আগারওয়ালের ব্যাট থেকে এসেছে ১৬ রান। আগের ম্যাচে ব্যাট হাতে তাণ্ডব চালানো হেড এদিন ফিরেছেন পাওয়ার প্লে শেষ হওয়ার পরই।
নূর আহমেদের গুগলিতে পরাস্ত হয়ে স্লগ সুইপ করতে গিয়ে বলের লাইন মিস করেছেন হেড। অস্ট্রেলিয়ার এই ওপেনারকে ফিরতে হয় মাত্র ১৯ রানে। মুম্বাইয়ের বিপক্ষে দ্রুততম হাফ সেঞ্চুরি করা অভিষেক শুরুটা করেছিলেন দারুণভাবেই। তবে অভিষেকের ঝড় দীর্ঘস্থায়ী হতে দেননি মুহিত। অভিজ্ঞ পেসারের লেংথে পড়া স্লোয়ার ডেলিভারিতে গিলের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন ২০ বলে ২৯ রান করা অভিষেক।
কলকাতা নাইট রাইডার্স ও মুম্বাইয়ের বিপক্ষে ছক্কা বৃষ্টি নামানো ক্লাসেনকে উইকেটে থিতু হতে দেননি রশিদ খান। বিধ্বংসী হয়ে উঠতে থাকা ১৩ বলে ২৪ রান করা প্রোটিয়াকে এই ব্যাটারকে বোল্ড করেছেন আফগান এই লেগ স্পিনার। শেষদিকে আব্দুল সামাদের ১৪ বলে ২৯ রানের ক্যামিও ১৬২ রানের পুঁজি পায় হায়দরাবাদ। গুজরাটের হয়ে ৪ ওভারে ২৫ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়েছেন মুহিত।