প্রথমবার আইসিসিতে ৫ বাংলাদেশি নারী আম্পায়ার
.jpg)
ছবি:

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
২০১৪ সালে প্রথমবারের মতো নারী হয়ে পুরুষদের ম্যাচে আম্পায়ারের কাজ করেছিলেন ক্যাথি ক্রস। সেদিনের পর থেকে সংখ্যাটা ক্রমশই বেড়েছে। বর্তমান সময়ে হরহামেশাই ছেলেদের ক্রিকেটে আম্পায়ারিং করতে দেখা যায় নারীদের। সবশেষ কয়েক বছরে নারী আম্পারিংয়ে বেশ এগিয়ে গেছে অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড এমনকি পাশের দেশ ভারতও। সেখানে অনেকটা পিছিয়ে বাংলাদেশ।
অবশেষে দেশের আম্পায়ার এবং মানুষের আক্ষেপ ঘুচাতে যাচ্ছে। প্রথমবারের মতো আইসিসির ডেভলপমেন্টে প্যানেলে যুক্ত হয়েছেন বাংলাদেশের চার নারী আম্পায়ার। যেখানে আছেন সাথিরা জাকের জেসি, রোকেয়া সুলতানা, ডলি রানী সরকার এবং চম্পা চাকমা। এ ছাড়া একজন আম্পায়ারকে ইন্টারন্যাশনাল ম্যাচ রেফারি হিসেবেও যুক্ত করেছে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
ম্যাচ রেফারি হিসেবে যুক্ত হয়েছেন সুপ্রিয়া রানী দাস। বাংলাদেশের নারী আম্পায়ারদের এমন সাফল্যের কথা ক্রিকফ্রেঞ্জিকে নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) আম্পায়ার্স কমিটির চেয়ারম্যান ইফতেখার আহমেদ মিঠু। আইসিসির পক্ষ থেকে নারী আম্পায়ারদের যুক্ত করার কথা বিসিবিকে জানানো হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন তিনি।

২০১১ সালে বাংলাদেশের হয়ে ওয়ানডেতে অভিষেক হয় জেসির। তবে দুটির বেশি ওয়ানডে খেলা হয়নি তার। ২০১৩ সালের পর ৫০ ওভারের ক্রিকেটে বাংলাদেশের হয়ে খেলতে দেখা যায়নি তাকে। এদিকে টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক ম্যাচই হয়ে আছে ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ। সব মিলিয়ে বাংলাদেশের হয়ে তিনটি ম্যাচ খেলেছেন।
যদিও ঘরোয়া ক্রিকেটে নিয়মিতই খেলেছেন জেসি। দেশের জার্সিতে অভিষেকের আগেই ২০০৯ সালে আম্পায়ারিং কোর্স করেন তিনি। বেশ কয়েক বছরে মেয়েদের প্রথম বিভাগে আম্পায়ারিং করলেও প্রথমবার জেসি আলোচনায় আসেন ২০২২ সালে। ২৬ মার্চ উপলক্ষ্যে সাবেক ক্রিকেটারদের প্রদর্শনী ম্যাচে আম্পায়ার হিসেবে দেখা যায় তাকে। নারী ইমার্জিং এশিয়া কাপ এবং ভারতের লেজেন্ডস লিগেও আম্পায়ারিং করেছেন তিনি।
আইসিসির ডেভলমেন্ট প্যানেলে যুক্ত হতে পেরে উচ্ছ্বসিত জেসি। নিজের ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে বাংলাদেশের এই নারী আম্পায়ার লিখেছেন, ‘এটা ঘোষণা করতে পেরে খুশি যে অবশেষে আমি আইসিসি নারী ডেভলপমেন্ট প্যানেলে যুক্ত হয়েছি। আমি কতটা খুশি এবং ভাগ্যবান তা ভাষায় প্রকাশ করতে পারবো না। পরবর্তী ধাপের জন্য অপেক্ষা করছি।’
২০১০ সালে গুয়াংঝু এশিয়ান গেমস ক্রিকেটে রৌপ্যজয়ী বাংলাদেশ দলের সদস্য ছিলেন চম্পা। ২০১৭ সালে গুলশান ইয়ুথ ক্লাবের জার্সিতে সর্বশেষ ঘরোয়া ক্রিকেট খেলেছেন সাবেক এই বাঁহাতি স্পিনার। খেলোয়াড়ি জীবন শেষে আম্পায়ারিংয়ে মনোযোগ দেন তিনি। ২০২১ সালে করেছেন বিসিবির আম্পায়ার কোয়ালিফায়িং কোর্স। নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করে এবার যুক্ত হলেন আইসিসির ডেভেলপমেন্ট প্যানেলে।
এদিকে ২০০৫ সালে ক্রিকেট ক্যারিয়ার শুরু করা রোকেয়া সুলতানা ২০১১ সালে আম্পায়ারিং কোর্স করেন। সেবার রোকেয়ার সঙ্গে ছিলেন ডলি রানী, চম্পারাও। ২০১২ সালে নারী আম্পায়ার হিসেবে স্কুল ক্রিকেটে দায়িত্ব পালন করেন রোকেয়া। মাঝে ছেলেদের কিছু ম্যাচেও আম্পায়ারিং করেছেন তিনি। কদিন আগে বিসিবির প্যানেলে জেসির সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলেন সাবেক এই ক্রিকেটার।