পিসিবি আগে কোচ খুঁজে, পরে বিজ্ঞাপন দেয়: জাভেদ

ছবি:

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
বিশ্বকাপের প্রস্ততি ভালোভাবে সারতে ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ড সিরিজ আয়োজন করেছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। অথচ যেই টুর্নামেন্টকে নিয়ে এতো আয়োজন, সেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরুর হওয়ার দুমাস বাকি থাকতেও শাহিন আফ্রিদিদের প্রধান কোচই খুঁজে পায়নি বোর্ডটি। এমন ব্যর্থতার পেছনে পেশাদারিত্বের অভাব দেখছেন আকিব জাভেদ।
ওয়ানডে বিশ্বকাপে ব্যর্থতার দায়ে মিকি আর্থার ও গ্র্যান্ট ব্র্যাডবার্নকে বিদায় জানিয়েছিল পিসিবি। এরপর দলটির দায়িত্ব তুলে দেয়া হয় কোচিংয়ে অনভিজ্ঞ মোহাম্মদ হাফিজের হাতে। দায়িত্ব পেয়ে সুবিধা করতে পারেননি তিনি। ফলে তিন মাসের মাথায় হাফিজকে ধন্যবাদ জানিয়ে ফের নতুন কোচের খোঁজে নামে বোর্ডটি।
যেখানে তাদের পছন্দের তালিকায় ছিলেন অস্ট্রেলিয়ার সাবেক অলরাউন্ডার শেন ওয়াটসন। যার অভিজ্ঞতার ঝুলিতে আছে পিএসএলের দল কোয়েটা গ্ল্যাডিয়েটর্স ও মেজর লিগ ক্রিকেটের সান ফ্রান্সিসকো ইউনিকর্নসের প্রধান কোচের। নেই আন্তর্জাতিক কোনো দলের অভিজ্ঞতা। এরপরও তাকে ২০ লাখ ডলারের বড় প্রস্তাব দেয় বোর্ডটি।

এই বিষয়ে জাভেদ বলেন্, ‘আমি ঈর্ষাকাতর হয়ে বলছি না, মন থেকেই বলছি। আপনি যদি গত ১০-১২ বছরের দিকে তাকান, মিকি আর্থার ছাড়া আর কোনো পেশাদার কোচই নিয়োগ দেয়নি পিসিবি। সারা বিশ্বে যখন কোচ নিয়োগের বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়, তখন প্রধান মানদণ্ড থাকে কোচিংয়ে লেভেল থ্রি প্লাস যোগ্যতা। এর সঙ্গে চার-পাঁচ বছর আন্তর্জাতিক অঙ্গনে অভিজ্ঞতা।’
এদিকে কিছুদিন আগেই জাভেদকে বোলিং কোচ নিয়োগ দিয়েছে শ্রীলঙ্কা। আসন্ন টুর্নামেন্টে ভালো করতে অভিজ্ঞ এই বোলিং কোচকে নিয়োগ দিয়েছে বোর্ডটি। যিনি পাকিস্তাননের অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ী দলের বোলিং কোচ ছিলেন। কিন্তু কোচ নিয়োগের ক্ষেত্রে পাকিস্তানের নেই এমন কোনো মানদণ্ড। জাভেদের মতে এটা অপেশাদারিত্ব।
জাভেদের ভাষ্যমতে, ‘পিসিবি আগে ব্যক্তি খুঁজে বের করে। এরপর সেই ব্যক্তি অনুসারে কোচ চেয়ে বিজ্ঞাপন তৈরি করে। যখন আপনি বিজ্ঞাপন ঠিকঠাক রাখবেন না, তখন যেকেউই আবেদন করতে পারে। তাহলে কোচ পদে আবেদনের মানদণ্ডটা আসলে কী?’
‘আমি সব সময়ই বলে এসেছি, আগে মানদণ্ড তৈরি করুন, এরপর সেটা অনুসারে কোচের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিন। কোনো যোগ্যতা ছাড়া, অভিজ্ঞতা ছাড়া, যে এক দিনও কোচিং করায়নি, এমন একজনকে আপনি প্রধান কোচ হিসেবে নিয়োগ দিয়ে দিচ্ছেন। আমি সমালোচনা করছি না। বলতে চাচ্ছি, কাজটা আপনাদের পেশাদারিত্বের সঙ্গে করা উচিত।’