উসমান ঝড়ে উড়ে গেল খুলনা

ছবি: বিসিবি

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
বাংলাদেশকে হারানোর পরিকল্পনায় পাকিস্তানের ভরসা বিপিএল খেলা ক্রিকেটাররা
১৯ জুলাই ২৫
বড় লক্ষ্য তাড়ায় দুই বিদেশির ভয়ডরহীন ব্যাটিং। ১৮০'র কাছাকাছি লক্ষ্যে হেসে-খেলে ১৪০ উর্ধ্ব ওপেনিং জুটি। আজম খানের সেঞ্চুরি ম্লান করে দেয় উসমান খানের সেঞ্চুরি। সব মিলিয়ে খুলনা টাইগার্সকে কোন পাত্তা না দিয়েই চলতি বিপিএলে প্রথম জয় তুলে নিল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স।
প্রথম ম্যাচে লজ্জাজনক পরাজয়ের পর একাদশে কয়েকটি পরিবর্তন এনে মাঠে নেমেছিল চট্টগ্রাম। বড় লক্ষ্য তাড়ায় দুই ওপেনার এই পরিবর্তনকে ভুল প্রমাণিত হতে দেননি। পাওয়ার প্লে'তে উসমান এবং ম্যাক্স ‘ও' ডাউড মিলে যোগ করেন ৫০ রান।
ও'ডাউড একপ্রান্ত ধরে খেললেও উসমান দ্রুত রান তুলতে থাকেন নিয়মিত। তাদের ব্যাটে কোন উইকেট না হারিয়ে ১৩ ওভারে চট্টগ্রাম স্কোরবোর্ডে যোগ করে ১০০ রান। দুই ব্যাটারই তুলে নেন হাফ সেঞ্চুরি। ৩৪ বলে উসমান ও ডাউড করেন ৪৬ বলে।
দলকে ১৫০'র কাছাকাছি নিয়ে বড় শট খেলতে গিয়ে উইকেট ছুঁড়ে দেন ডাউড। ৩ ছক্কা ও ৫ চারে ৫০ বলে ৫৮ রানে তিনি ফিরলেও তিনে নামা আফিফকে সঙ্গে নিয়ে রানের চাকা সচল রাখেন উসমান। ম্যাকেরেনকে ছক্কা-চার মেরে টাইম আউটের পরই দলকে নিয়ে যান ১৫০'র ঘরে।
নিজে পৌঁছে যান ৮০'র ঘরে। ১৮তম ওভারে এসে ওয়াহাব রিয়াজের বাউন্সারে পুল করে ছক্কা হাঁকিয়ে উসমান পৌঁছে যান ৯০'র ঘরেও। সে সময় দলীয় রান গিয়ে দাঁড়ায় ১৬৪। ব্যক্তিগত ৯৪ রানে সাইফউদ্দিনকে ছক্কা হাঁকিয়ে সেঞ্চুরি পূরণ করেন উসমান।

৫৫ বলে ৫ ছক্কা ও ১০ চারে এই পাকিস্তানি ব্যাটার তুলে নেন সেঞ্চুরি। শেষ ওভারে ৬ রান প্রয়োজন হলে ৪ বল হাতে রেখেই ম্যাচ শেষ করে চট্টগ্রাম। ৯ উইকেটের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে চট্টগ্রাম। উসমান অপরাজিত থাকেন ১০৩ রানে।
ইমপ্যাক্ট নয়, কে কত রান করেছে মানুষ এটাই দেখে: অঙ্কন
১৮ ফেব্রুয়ারি ২৫
এর আগে টসে হেরে ব্যাট করতে নামা খুলনাকে শুরুতে চেপে ধরেন চট্টগ্রামের অধিনায়ক শুভাগত হোম। প্রথম ওভারে কোন রান না দিয়ে নিজের দ্বিতীয় ওভারে তুলে নেন শারজিল খানকে। তিনে নেমে তামিম ইকবালকে বেশিক্ষণ সঙ্গ দিতে পারেননি হাবিবুর রহমান সোহান।
৬ বলে ৬ রান নিয়ে আবু জায়েদ রাহির বলে লেগ বিফরের ফাঁদে পড়েন এই তরুণ। ২ উইকেট হারানো খুলনাকে সে অবস্থা থেকে টেনে তুলেন তামিম ও আজম খান। পাওয়ার প্লে'তে এই জুটি মিলে স্কোরবোর্ডে যোগ করে ৩৯ রান।
তবে এরপর থেকে হাত খুলে খেলতে শুরু করেন আজম খান। চট্টগ্রামের বোলারদের কোন পাত্তা না দিয়ে দ্রুত রান তুলতে থাকেন আজম। তাকে দারুণ সঙ্গ দেন তামিম। শুরুতে ধুঁকলেও ধীরে ধীরে খোলস থেকে বের হতে শুরু করেন তামিমও।
তাদের ব্যাটে ১৩ ওভারে দলীয় ১০০ পার করে খুলনা। ৩৫ বলে হাফ সেঞ্চুরি পূরণ করেন আজম। তবে দলীয় ১০৪ রানে তামিমকে বোল্ড করেন শ্রীলঙ্কার বিজয়কান্ত। এর খানিকপর ক্রিজে আসা ইয়াসির আলিও ফেরেন জিয়াউরের ওভারে ২ বলে এক রান করে।
উইকেট হারালে ওয়াজম খান আরেক পাশে থেকে ঝড় চালিয়ে যান। মাঝে সাব্বির রহমান করেন ৭ বলে ১০ রান। এরপর ১৯তম ওভার শেষে আজম পৌঁছে যান ৯০'র ঘরে। সে সময় দলীয় রান ১৫৯।
শেষ ওভারের প্রথম তিন বলে তিন সিঙ্গেল নেয় এই জুটি। চতুর্থ বলে ৪ মেরে আজম পৌঁছে যান ৯৭ রানে। পঞ্চম বলে ছক্কা হাঁকিয়ে সেঞ্চুরি পূরণ করেন এই পাকিস্তানি। টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে এটি তার প্রথম শতক। শেষ বলে আরও একটি ছক্কা হাঁকিয়ে খুলনাকে ১৭৮ রানের পুঁজি এনে দেন আজম। ওয়াহাব রিয়াজ অপরাজিত থাকেন ২ রানে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
খুলনা টাইগার্স- ১৭৮/৫ (আজম খান ১০৯*, তামিম ৪০) (আবু জায়েদ ২/২৯)
চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স- ১৭৯/১ (উসমান ১০৩*, ও'ডাউড ৫৮) (নাহিদুল ১/২৬)