বাংলাদেশকে হারানোর পরিকল্পনায় পাকিস্তানের ভরসা বিপিএল খেলা ক্রিকেটাররা

বিপিএলের সবশেষ আসরে ফরচুন বরিশালের হয়ে খেলেছেন শাহীন শাহ আফ্রিদি ও ফাহিম আশরাফ
টুর্নামেন্টের শুরু থেকেই বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) নিয়মিত খেলে যাচ্ছেন পাকিস্তানের ক্রিকেটাররা। একটা সময় মজার ছলে অনেকে বিপিএলকে ‘বাংলাদেশ-পাকিস্তান লিগ’ও বলতেন। মিসবাহ-উল-হক, শহীদ আফ্রিদি, শোয়েব মালিক, আহমেদ শেহজাদ, কামরান আকমল, মোহাম্মদ হাফিজ, সাঈদ আজমলের মতো ক্রিকেটাররা ছিলেন বিপিএলের নিয়মিত।

promotional_ad

পাকিস্তানের বর্তমান প্রজন্মের ক্রিকেটারদেরও জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে পছন্দের তালিকায় থাকে বাংলাদেশের এই টুর্নামেন্ট। বিপিএলের প্রতি মৌসুমেই সবচেয়ে বেশি সংখ্যক ক্রিকেটার আসেন পাকিস্তান থেকে। চেনা কন্ডিশন ও পারফরম্যান্সের কারণেই পাকিস্তানি খেলোয়াড়দের উপর আস্থা রাখেন ফ্র্যাঞ্চাইজিরা। গত মৌসুমেও ইফতিখার আহমেদ, খুশদিল শাহ, আকিভ জাভেদ, শাহীন শাহ আফ্রিদির মতো ক্রিকেটাররা খেলে গেছেন।


আরো পড়ুন

খাবার নিয়ে স্টেডিয়ামে ঢুকতে পারবেন দর্শকরা

১ ঘন্টা আগে
ফাইল ছবি

এক মৌসুম আগে বিপিএলে এসেছিলেন বাবর আজম, মোহাম্মদ রিজওয়ানের মতো ক্রিকেটাররা। তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে ১৬ জুলাই ঢাকায় এসেছে পাকিস্তান। তাদের ১৬ সদস্যের স্কোয়াডেও বিপিএল খেলা ক্রিকেটারদের আধিক্যতা। বাংলাদেশের লিগে খেলেছেন এমন ৯ জন আছেন পাকিস্তানের বর্তমান স্কোয়াডে। খুলনার হয়ে বিপিএল খেলা ফখর জামান তাদের মাঝে সবচেয়ে বড় নাম।


এ ছাড়া সাইম আইয়ুব, ফাহিম আশরাফ, হোসেন তালাত, খুশদিল, আব্বাস আফ্রিদি, আবরার আহমেদ ও মোহাম্মদ নাওয়াজ। বিপিএলের সবচেয়ে আসরে ফরচুন বরিশালের হয়ে সবচেয়ে ২০ উইকেট নিয়েছিলেন ফাহিম। বাংলাদেশ সফরে তিনিই হতে পারেন পাকিস্তানের তুরুপের তাস। বাংলাদেশকে হারাতে তাই বিপিএল খেলা ক্রিকেটারদের কাছ থেকে তথ্য নিয়ে পরিকল্পনা সাজাচ্ছে সফরকারীরা।


promotional_ad



আরো পড়ুন

অধিনায়কত্ব হারাতে যাচ্ছেন রিজওয়ান-শান মাসুদ

৯ জুন ২৫
শান মাসুদ (বামে) ও মোহাম্মদ রিজওয়ান (ডানে)

এ প্রসঙ্গে সালমান আলী আঘা বলেন, ‘এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ আমাদের জন্য। বেশির ভাগ খেলোয়াড়ই বিপিএল খেলেছে। যেটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ তাঁদের ইনপুট ও অভিজ্ঞতা নেওয়া। তাঁদের সঙ্গে কথা হয়েছে। তাঁরা তাঁদের ইনপুট দিয়েছে, আমরা ওই অনুযায়ী পরিকল্পনা সাজিয়েছি।’


ঘরের মাঠে বাংলাদেশের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের স্কোয়াডে ছিলেন না বাবর, রিজওয়ান ও শাহীন আফ্রিদি। বাংলাদেশ সফরেও তাদেরকে ছাড়াই এসেছে পাকিস্তান। আধুনিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের সঙ্গে মানিয়ে নিতে না পারায় বেশ কিছুদিন ধরেই জাতীয় দলের বাইরে বাবর ও রিজওয়ান। পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যমগুলোর দাবি, স্ট্রাইক বাড়িয়ে পারফর্ম করতে পারলেই কেবল তাদেরকে ফেরাবেন মাইক হেসন।


পেসার শাহীন আফ্রিদিও কিছু জায়গায় উন্নতি করতে পারলে ফেরানো হতে পারে পাকিস্তান দলে। সালমান জানান, বাবর, রিজওয়ান ও শাহীন আফ্রিদি ত্রয়ী দলের জন্য ভালো করেছে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে টি-টোয়েন্টির পরিবর্তনে তারা যেভাবে খেলতে চায় তাদের ওই ধরনের খেলোয়াড় আছে বলে জানান সালমান। বর্তমান স্কোয়াডের খেলোয়াড়দের নিয়ে রোমাঞ্চিত পাকিস্তানের অধিনায়ক।


সালমান বলেন, ‘পাকিস্তানের জন্য তারা বেশ ভালো করেছে। সেভাবেই খেলেছে, যেভাবে খেলা উচিত। কিন্তু হ্যাঁ, টি–টোয়েন্টি প্রতিবছরই বদলে যাচ্ছে, সত্যি বলতে প্রতি ছয় মাসেই বদলায়। আমরা এখন যেভাবে খেলতে চাই, আমাদের ওই ধরনের খেলোয়াড় আছে। আমাদের এখন যে খেলোয়াড়রা আছে, তাঁরা খুবই ভালো আর রোমাঞ্চকর।’



আরো খবর

সম্পাদক এবং প্রকাশক: মোঃ কামাল হোসেন

বাংলাদেশের ক্রিকেট জগতে এক অপার আস্থার নাম ক্রিকফ্রেঞ্জি। সুদীর্ঘ ১০ বছর ধরে ক্রিকেট বিষয়ক সকল সংবাদ পরম দায়িত্ববোধের সঙ্গে প্রকাশ করে আসছে ক্রিকফ্রেঞ্জি। প্রথমে শুধুমাত্র সংবাদ দিয়ে শুরু করলেও বর্তমানে ক্রিকফ্রেঞ্জি একটি পরিপূর্ণ অনলাইন মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম।

মেইল: cricfrenzy@gmail.com
ফোন: +880 1305-271894
ঠিকানা: ২য় তলা , হাউজ ১৮, রোড-২
মোহাম্মাদিয়া হাউজিং সোসাইটি,
মোহাম্মাদপুর, ঢাকা
নিয়োগ ও বিজ্ঞপ্তি
বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ
নিয়ম ও শর্তাবলী
নীতিমালা
© ২০১৪-২০২৪ ক্রিকফ্রেঞ্জি । সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
footer ball