মুসলিম ক্রিকেটারদের নিয়ে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ উড়িয়ে দিলেন জাফর
ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) উত্তরখণ্ডের কোচের পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন ওয়াসিম জাফর। তবে ভারতের সাবেক এই ওপেনারের বিপক্ষে ধর্মীয় গোঁড়ামির অভিযোগ তুলেছেন উত্তরাখণ্ড ক্রিকেট সংস্থার সচিব মহিম ভার্মা। শুধু তাই নয়, মহিমের দাবি, অনুশীলনের সময় জাফরের নমাজ পড়া দলের ক্ষতি করেছে।
যদিও উত্তরখণ্ডের সচিবের এমন অভিযোগ নাকোচ করে দিয়েছেন জাফর। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার ডিজিটালের সঙ্গে আলাপকালে ভারতের সাবেক এই ক্রিকেটার জানিয়েছেন, তিনি অনুশীলনের সময় নামাজ পড়েছেন কিন্তু ক্রিকেটের কোনো ক্ষতি করেননি। সেই সঙ্গে এমন অভিযোগ করায় নিজের কষ্টের কথা জানাতেও ভুলেননি।

এ প্রসঙ্গে জাফর বলেন, ‘হ্যাঁ আমি নমাজ পড়ি। তবে নমাজ পড়তে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সময় তো লাগে না। ক্রিকেটের ক্ষতি হয় না। এটা কয়েক মিনিটের ব্যাপার। আমি কিন্তু ক্রিকেটের ক্ষতি করিনি। কারণ ওয়াসিম জাফরকে একজন মুসলমান নয়, সবাই ভারতের একজন সাবেক ক্রিকেটার হিসেবেই সম্মান করে। শুধু উত্তরাখণ্ড ক্রিকেট সংস্থার গুটিকয়েক নির্বোধ কর্তা ছাড়া।’
জাফর ছাড়াও দলে বেশ কয়েকজন মুসলমান ক্রিকেটার রয়েছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তাঁদের সঙ্গে ড্রেসিং রুমেই নামাজ পড়তেন তিনি। তবে শুক্রবারে দলের অনুমতি নিয়ে মাঠের এক প্রান্তে সবাই মিলে নামাজ পড়তেন বলে জানিয়েছেন তিনি। ক্রিকেটের ক্ষতি করতে চাইলে ১২ টার আগে অনুশীলন বন্ধ করে দিতেন কিন্তু তিনি তা করেননি। তিনি মনে করেন, ক্রিকেটই তাঁর কাছে সবকিছু।
এ প্রসঙ্গে তাঁর ভাষ্য, ‘সেই দলে যে কয়েকজন মুসলমান ছেলে ছিল। তাদের নিয়ে তো ড্রেসিংরুমেই নমাজ পড়ে নিতাম। শুধু শুক্রবার দলের অনুমতি নিয়ে মাঠের ধারে নমাজ পড়তাম। এতে ভুল কোথায়! আমি সাম্প্রদায়িক হলে তো সামাদ ফালহাকে লাগাতার খেলিয়ে যেতাম। প্রতিদিন দুপুর ১২টার আগে অনুশীলন বন্ধ করে দিতাম! সেগুলো কিন্তু করিনি। কারণ ক্রিকেট আমার কাছে সবকিছু।’
তাঁর বিপক্ষে এমন অভিযোগ মেনে নিতে পারছেন না মুম্বাইকে রঞ্জি ট্রফি জেতানো এই ক্রিকেটার। অনেকটা কষ্ট নিয়েই তিনি বলেন, ‘আমার বিপক্ষে এত বড় অভিযোগ করা হলো। আমিও কিন্তু দেশের জন্য খেলেছি। শচিন, দাদা (সৌরভ গাঙ্গুলি), রাহুল, লক্ষ্মণের বিপক্ষে এমন গুরুতর অভিযোগ কি করতে পারতো! এর চেয়ে অসম্মান ও দুঃখের কিছু হতে পারে না।’