গেল ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে ওপেনার সাইফ হাসান করেন পাঁচটি ছক্কা ও তিনটি চারে ৬৯ রানের ইনিংস। আসরে ৩ ম্যাচ খেলে প্রায় ৫৩ গড়ে এই ব্যাটারের রান এখন ১৬০। আর তাতেই সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের তালিকায় দুইয়ে উঠে এসেছেন ডানহাতি এই ব্যাটার।
ভারতের বিপক্ষে অবশ্য বেশ কয়েকবার ক্যাচ আউট হওয়ার সম্ভাবনা জাগিয়েও আউট হননি সাইফ। এখানেই তার ভাগ্যের নিদর্শন দেখছেন মালিক। সাইফের খেলার ধরনও দুবাই কন্ডিশনের উপযোগী বলে মনে করেন তিনি।
মালিক বলেন, 'এসব উইকেট স্লো। এখানে ফ্রন্ট ফুটে যে সামনে এসে খেলবে সে বেশি রান করবে। দুবাইয়ের কন্ডিশন সাইফের সঙ্গে যায়। সে বেশীরভাগ ছক্কাই দেখবেন সামনে মেরেছে। বাংলাদেশ যদি ফাইনাল খেলতে চায় সাইফকেই জ্বলে উঠতে হবে।'
'ফর্ম এবং ভাগ্য সবই সাইফের সঙ্গে আছে। সে উপরে মারছে কিন্তু বল কারো মুঠোয় যাচ্ছে না। সে কোয়ালিটি ব্যাটার, স্কিলও আছে। খুবই প্রতিভাবান। স্ট্রাইক রোটেডও সে করতে পারে। কুলদিপের বল বোঝা যাচ্ছিল না, হাতও দেখা যাচ্ছিল না। কিন্তু সাইফ ঠিকই তাকে খেলার উপায় বের করে নেয়।'
এদিকে ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের ৪১ রানের হারের সমালোচনা করেছেন পাকিস্তানের আরেক সাবেক ক্রিকেটার মিসবাহ উল হক। সাবেক এই অধিনায়কের মতে, পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ জিতে ফাইনালে যাওয়ার সুযোগ থাকায় ভারতের বিরুদ্ধে ম্যাচটি গুরুত্ব সহকারে নেয়নি বাংলাদেশ।
তিনি বলেন, 'বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্সে ওঠানামা ছিল। বাংলাদেশ এই ম্যাচ খেলেছে ঠিকই, কিন্তু মনে হচ্ছিল ওদের নজর পরের ম্যাচে। ওরা ভেবে নিয়েছিল পরের ম্যাচই আমাদের আসল ম্যাচ।'
'আপনি কখনোই এটা চিন্তা করতে পারেন না যে আমি এই ম্যাচ না পরের ম্যাচে খেলব। খেলতে হলে আপনি সবসময় মাঠে নেমে জিততে চাইবেন। নয়ত স্পোর্টসম্যানশিপ জিনিসটাই নষ্ট হবে, পারফরম্যান্সে প্রভাব পড়বে।'
পরের ম্যাচে বাংলাদেশের একাদশে কী ধরনের পরিবর্তন আসতে পারে সেটা নিয়ে একই অনুষ্ঠানে কথা বলেছেন বাজিদ খান। পাকিস্তানের এই সাবেক ক্রিকেটার অবশ্য বাংলাদেশের ম্যানেজমেন্টের সামনে দারুণ এক ধাঁধা দেখছেন।
বাজিদ বলেন, 'বাংলাদেশ দল থেকে কারা বাদ পড়বে? ইমন তো আজকে ঠিকভাবেই খেলছিল, যদিও সে আউট হয়ে গেছে। তানজিদ নাকি ইমন এই সিদ্ধান্ত তাদের নিতে হবে। মেহেদীকে যদি ফেরান তাহলে রিশাদকে বাদ দিতে হবে। এরকম পারফর্ম করা রিশাদকে কীভাবে বাদ দিবেন? আমি দ্বিধায় আছি, সম্ভবত বাংলাদেশের ম্যানেজমেন্ট জানে।'