আত্মহত্যা করতে চেয়েছিলেন চাহাল

ছবি: ফাইল ছবি

২০২০ সালের ডিসেম্বরে ধনশ্রীর সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন চাহাল। তবে অল্প সময়ের ব্যবধানেই সম্পর্কে ফাঁটল ধরতে শুরু করে। দুজন দুজনার পেশা নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ায় কেউ কাউকে সময় দিতে পারছিলেন না। পরবর্তীতে ২০২২ সালের জুন থেকে আলাদা থাকতে শুরু করেন তারা দুজন। যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে কেউই এসব নিয়ে মুখ খোলেননি। তবে ইনস্টাগ্রামে দুজনকে আনফলো করায় বিষয়টি সামনে আসে।
মুম্বাইয়ের বিপক্ষে ম্যাচের আগে চাহালকে নিয়ে শঙ্কা
২৬ মে ২৫
এমনকি নিজেদের বিয়ের ছবি সরিয়ে দেয়ায় গুঞ্জন আরও জোরালো হতে থাকে। চাহাল নিজেও স্বীকার করেছেন তাদের বিবাহ বিচ্ছেদের বিষয়টি আগে থেকেই আলোচনা হয়ে আসছিল। তবে তারা দুজনে মিলে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন আনুষ্ঠানিকভাবে বিবাহ বিচ্ছেদ হওয়ার আগে কাউকে কিছু জানাবেন না। ভারতীয় ইউটিউবার রাজ শামানির পডকাস্টে মন খুলে কথা বলতে গিয়ে এসব তথ্য জানান চাহাল।

ভারতের এই লেগ স্পিনার বলেন, ‘এটা আসলে অনেকদিন ধরেই চলছিল। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম আমরা মানুষকে ব্যাপারটা বুঝতে দিব না। কে জানে যদি এমনটা (বিবাহ বিচ্ছেদ) না হয়। তাহলে তখন হয়ত ভিন্ন একটা পরিস্থিতি হতো। যতক্ষণ না পর্যন্ত আমরা মনে করছি আমাদের আর কোনো সুযোগ নেই ততক্ষণ পর্যন্ত কিছুই বলব না। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আমরা সাধারণ একটা জুটির মতোই চলব।’
১৫ উইকেটের দিনে আলো কেড়ে নিলেন সিরাজ-কৃষ্ণা
৬ ঘন্টা আগে
শেষ পর্যন্ত বনিবনা না হওয়ায় চলতি বছরের মার্চে ৫ বছরের সম্পর্ক ছিন্ন করেন তারা দুজন। বিবাহ বিচ্ছেদ হওয়ার পর তোপের মুখে পড়তে হয়েছিল চাহালকে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হাসি কিংবা মজার ভিডিও পোস্ট করায় অনেকে তাকে প্রতারক বলতে শুরু করেন। যদিও এমন অভিযোগ একেবারে উড়িয়ে দিয়েছেন তিনি। চাহাল জানান, তিনি কখনো কারও সঙ্গে প্রতারণা করেননি।
এ প্রসঙ্গে চাহাল বলেন, ‘আমার মনে যখন আমার ডিভোর্স হয় তখন আমাকে প্রতারক বলতে থাকে। আমার জীবনে আমি কখনোই প্রতারণা করিনি। আমি ওরকম মানুষই নই। আমার মতো লয়্যাল কাউকে আপনি খুঁজে পাবেন না। আমার মনে হয় আমার হৃদয়ের একটা দিক বন্ধ। কারণ আমি কখনো কারও কাছে কিছু চাই না, সবসময় দিই। মানুষ কিছু জানেই না কিন্তু আমাকে দায় দিতে থাকে।’
নিজের কঠিন সময়ের কথা উল্লেখ করে ডানহাতি এই লেগ স্পিনার বলেন, ‘আমি তো আত্মহত্যার কথাও ভেবেছি। আমি সেটার চেষ্টাও করেছি। বন্ধুদের কাছে এসব শেয়ার করতাম। একটা সময় আমি ভয় পেতে থাকি। প্রতিদিন আমি ২ ঘণ্টা করে কাঁদতাম। আমি ২ ঘণ্টার বেশি ঘুমাতে পারতাম না। ৪০-৪৫ দিন এভাবে কেটেছে।’