কার্তিকের কাছে পান্তই ভারতের সবচেয়ে সফল উইকেটকিপার ব্যাটার

ছবি: ইংল্যান্ডে পান্তের সেঞ্চুরি সংখ্যা এখন তিনটা, ফাইল ছবি

২০২২ সালে এজবাস্টনে খেলা টেস্টে ১৪৬ রানের ইনিংস খেলেছিলেন পান্ত। দুই বছরের বেশি সময় পর বাঁহাতি ব্যাটার আবার যখন ইংল্যান্ডে ফিরলেন তখন খেললেন ১৭৮ বলে ১৩৪ রানের ইনিংস। হেডিংলিতে পাওয়া সেঞ্চুরিতে ছাড়িয়ে গেলেন ভারতের অন্যতম সেরা উইকেটকিপার ব্যাটার ধোনি। ভারতের সাবেক অধিনায়ক ১৪৪ ইনিংসে ৬ সেঞ্চুরি করেছিলেন। পান্ত এতদিন ধোনির পাশেই ছিলেন। ব্রাইডন কার্স, জশ টাং ও ক্রিস ওকসের বিপক্ষে ঝড়ো ব্যাটিংয়ে পাওয়া সেঞ্চুরিতে এখন সবার উপরে পান্ত।
ভারতের ব্যাটিং ধ্বসের দায় গম্ভীরকে দিচ্ছেন কার্তিক
১২ ঘন্টা আগে
মাত্র ৭৬ ইনিংসেই সাতটি সেঞ্চুরি করেছেন তিনি। ২৭ বছর বয়সি ব্যাটার ক্যারিয়ারের ৭ টেস্টের তিনটিই করেছেন ইংল্যান্ডের মাটিতে। সেটাও মাত্র ১০ টেস্ট খেলে। ইংল্যান্ডের মাটিতে একটির বেশি সেঞ্চুরি নেই আর কোন সফরকারী উইকেটকিপার ব্যাটারের। ইংল্যান্ডের পাশাপাশি অস্ট্রেলিয়া ও সাউথ আফ্রিকায় সেঞ্চুরি করায় ভারতীয়দের মাঝে সবার চেয়ে এগিয়ে থাকছেন পান্ত। কার্তিকও মনে করেন, পান্তই সবার সেরা।

ক্রিকবাজে হার্শা ভোগলের সঙ্গে আলাপকালে কার্তিক বলেন, ‘কোন সন্দেহ ছাড়াই, পান্ত ভারতের সবচেয়ে সফল উইকেটকিপার-ব্যাটার। সত্যি বলতে সে তার কিপিংয়ে অনেক উন্নতি করেছে। কিন্তু ঋষভ পান্তের মতো ক্রিকেটারের ক্ষেত্রে খেলোয়াড় হিসেবে সে বিদেশের মাটিতে কতটা ভালোভাবে মানিয়ে নিয়েছে সেটাই বড় কথা। সে অস্ট্রেলিয়ায় গিয়ে সেঞ্চুরি করেছে, সাউথ আফ্রিকায় গিয়ে সেঞ্চুরি করেছে এবং ইংল্যান্ডে এখন তাঁর তিনটা সেঞ্চুরি। এটাই বলে দেয় দুনিয়ার যেকোন জায়গায় টেস্ট খেলতে সে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে।’
ভারতের কোচ হতে তৈরি সৌরভ
২ ঘন্টা আগে
‘স্বাভাবিকভাবেই এটা তাঁর মধ্য থেকে আসে, সে খুবই আক্রমণাত্বক ঘরানার। দেখুন, সে একজন সুপারস্টার। সবসময় সে ঝুঁকি নেবে। সে সবসময়ই প্রতিকূল পরিস্থিতির বিরুদ্ধে গিয়ে কিছু একটা করবেই। যদি আপনি ভাবেন তাকে ডিফেন্ড করতে হবে, সে মারতে চাইবে। আবার যখন ভাববেন তাকে ডিফেন্ড করতে হবে তখন দেখা যাবে সে মারবে। এতে তাঁর খেলার ধরণ স্পষ্ট। এজন্য আমি তাকে তার শট নির্বাচনের উপর ভিত্তি করে বিচার করব না।’
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে টেস্টের চার কিংবা পাঁচ নম্বরে একজন আক্রমণাত্বক ব্যাটার খেলাচ্ছে দলগুলো। অস্ট্রেলিয়াতে যেমন মিডল অর্ডারে ব্যাটিংয়ে এসেই প্রতিপক্ষের উপর চড়াও হন ট্রাভিস হেড। ইংল্যান্ডের ক্ষেত্রে নামটা হ্যারি ব্রুক। সবশেষ কয়েক বছরে ভারতের হয়ে কাজটা করছেন পান্ত। এমন ঘরানার ব্যাটারদের ক্ষেত্রে সফলতার পাশাপাশি ব্যর্থ হওয়ার সম্ভাবনাও থাকে বেশি। কার্তিক তাই মনে করিয়ে দিয়েছেন, ভালো করলে যেমন প্রশংসা করতে হবে তেমনি ব্যর্থ হলে পাশে থাকতে হবে।
ভারতের সাবেক উইকেটকিপার ব্যাটার বলেন, ‘আরেকটা কথা সে কিন্তু এখন সহ-অধিনায়ক। এমন পরিস্থিতিতে তাকে সবসময় দায়িত্বশীল হতে হবে আবার নিজের খেলাটাও দেখাতে হবে নিজের মতো করে। তাঁর মানে শুধু ডিফেন্ড করবে এমন নয়। এটাই তাকে করে যেতে হবে। সে যখনই আউট হবে তখনই মনে হবে, ‘আরে এমন অবস্থায় এই শটটা কেন খেললো?’ যখন ভালো খেলে তখন আমরা হাত তালি দিয়ে বলি, ‘ওয়াও, সুন্দর, দারুণ।’ কিন্তু পান্ত যখন ব্যর্থ হবে তখনো আমাদের এটাই বলতে হবে।’