অধিনায়কত্ব হারাতে যাচ্ছেন রিজওয়ান-শান মাসুদ

ছবি: শান মাসুদ (বামে) ও মোহাম্মদ রিজওয়ান (ডানে)

২০২৪ সালে জিম্বাবুয়ে সফরে বিশ্রাম পেয়েছিলেন মোহাম্মদ রিজওয়ান। অধিনায়ক বিশ্রামে থাকায় ভারপ্রাপ্ত অধিনায়কের দায়িত্ব পেয়েছিলেন সালমান। কিছুদিনের ব্যবধানে টি-টোয়েন্টি দলের নেতৃত্ব হারান রিজওয়ান। ডানহাতি উইকেটকিপারের জায়গায় দায়িত্ব দেয়া হয় সালমানকে। তরুণ ক্রিকেটারদের নিয়ে নিউজিল্যান্ডে অবশ্য একেবারেই ভালো করতে পারেননি তিনি।
পাকিস্তানের ২২ সদস্যের ক্যাম্পে ডাক পাচ্ছেন বাবর-রিজওয়ান-আফ্রিদি
৩ জুন ২৫
পিএসএল শেষে বাংলাদেশের বিপক্ষে ভালো ক্রিকেট খেলে সবার মন জয় করে নিয়েছেন সালমান। রিজওয়ান, বাবর আজম, শাহীন শাহ আফ্রিদির মতো তারকা ক্রিকেটারদের ছাড়া বাংলাদেশের বিপক্ষে সালমানের দল যেভাবে খেলেছে তাতে মুগ্ধ হয়েছেন সবাই। যার ফল হিসেবেই টি-টোয়েন্টির পাশাপাশি ওয়ানডে এবং টেস্ট দলেরও অধিনায়ক হতে যাচ্ছেন তিনি।

পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) একটি সূত্র জিও নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। সূত্রটি বলেন, ‘নতুন প্রধান কোচ মাইক হেসন, নির্বাচক কমিটি এবং পিসিবির চেয়ারম্যান মহসিন নাকভির মতে অধিনায়ক হিসেবে সালমান দারুণ করেছে। তারা সবাই একমত হয়েছে যে সালমানের সব সংস্করণে অধিনায়ক হওয়া উচিত।’
পাকিস্তানের নতুন টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক সালমান, বাদ বাবর-রিজওয়ান
৪ মার্চ ২৫
সালমান তিন ফরম্যাটের অধিনায়ক হলে কপাল পুড়বে রিজওয়ান ও শান মাসুদের। বাবর দায়িত্ব ছাড়ার পর থেকেই ওয়ানডে দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন রিজওয়ান। সবশেষ নিউজিল্যান্ড সফর শেষে সমালোচনায় করায় খানিকটা বিপাকে পড়তে হচ্ছে তাকে। গুঞ্জন রয়েছে ঈদের ছুটি শেষেই রিজওয়ানের কাছে ওয়ানডে দলের নেতৃত্ব যেতে পারে সালমানের কাছে।
এদিকে টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে পরিসংখ্যান মোটেও ভালো নয় শান মাসুদের। ২০২৩ সালের ডিসেম্বর থেকে এখন পর্যন্ত ১২ টেস্টের ৯টিতেই হেরেছে পাকিস্তান। গত বছরের সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশের বিপক্ষে দুই টেস্টের সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হওয়া সবচেয়ে বাজে ফলাফল। এ ছাড়া ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ১-১ ব্যবধানে ড্র করে পাকিস্তান। এমন পারফরম্যান্সেই নেতৃত্ব হারাতে যাচ্ছেন বাঁহাতি ব্যাটার।