আইপিএলে চ্যাম্পিয়ন দল পাবে ২০ কোটি, রানার্সআপ দল পাবে ১৩ কোটি

ছবি: আইপিএল শিরোপা, বিসিসিআই

মাত্র ৪.৮ কোটি রুপি প্রাইজমানি দিয়ে ২০০৮ সালে শুরু হয়েছিল ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) আসর। সময়ের পরিক্রমায় আইপিএল রূপ নিয়েছে বিলিয়ন ডলার লিগে। সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে প্রাইজমানিও। মঙ্গলবার আইপিএলের ১৮তম আসরের ফাইনালে মুখোমুখি হচ্ছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু ও পাঞ্জাব কিংস।
সর্বত্র সম্মান অর্জন করতে চাইলে টেস্ট ক্রিকেট বেছে নাও: কোহলি
১৮ ঘন্টা আগে
এবার দুই দলের জন্য কত বরাদ্দ থাকছে বা প্লে অফে খেলা বাকি দুই দলই কত পাচ্ছে? তা নিয়ে কৌতুহলের শেষ নেই। ভারতীয় বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে আইপিএলের এবারের আসরে চ্যাম্পিয়ন দল পাবে ২০ কোটি রুপি। আর রানার্স আপ দলের জন্য রাখা হয়েছে ১৩ কোটি রুপি।
মোট প্রাইজমানি রাখা হয়েছে ৪৭ কোটি রুপির কিছু বেশি। শীর্ষ চার দল ও ব্যক্তিগত পুরষ্কারের পেছনে এই অর্থ ব্যয় করা হবে। এর মধ্যে রয়েছে সর্বোচ্চ রান, সর্বোচ্চ উইকেট, মৌসুমের সেরা উঠতি খেলোয়াড়, মোস্ট ভ্যালুয়েবল প্লেয়ার, মৌসুমের সুপার স্ট্রাইকার, মৌসুমের ফ্যান্টাসি খেলোয়াড় এবং সর্বোচ্চ ছক্কা মারা ক্রিকেটার পাবেন বিভিন্ন অঙ্কের আর্থিক পুরষ্কার।

আইপিএলে কোটি কোটি টাকার পুরষ্কার কারা পেল
২২ ঘন্টা আগে
২০০৮-২০০৯ আইপিএলে চ্যাম্পিয়ন দল ৪.৮ কোটি রুপি পেলেও রানার্স আপ দল পেয়েছিল মাত্র ২.৪ কোটি রুপি। এরপর ২০১০ সাল থেকে ২০১৩ আইপিএলে প্রাইজমানি বেড়েছে উল্লেখযোগ্য হারে। চ্যাম্পিয়ন দল পেয়েছে ১০ কোটি রুপি আর রানার্স আপ দল পেয়েছে ৫ কোটি রুপি।
এরপরের দুই আইপিএলে চ্যাম্পিয়ন দল পেয়েছে ১৫ কোটি রুপি। আর রানার্সআপ দল পেয়েছে ১০ কোটি রুপি। ২০১৬ আইপিএলে প্রাইজমানি ১ কোটি বাড়িয়ে চ্যাম্পিয়ন দলের প্রাইজমানি করা হয় ১৬ কোটি রুপি। রানার্সআপের প্রাইজমানি বাড়ানো হয়নি সেবার। অবশ্য ২০১৭ আইপিএলে আবার ১ কোটি কমিয়ে ১৫ কোটি রুপিতে ফিরিয়ে আনা হয় প্রাইজমানি।
তবে বাড়ানো হয় রানার্স আপ দলের প্রাইজমানি। আড়াই কোটি বাড়িয়ে তাদের দেয়া হয় ১২.৫ কোটি রুপি। ২০২০ সালে করোনা মহামারির সময় অর্থনৈতিক সমস্যায় পড়ে আইপিএল। সেই সময় তাদের প্রাইজমানি ১০ কোটি রুপিতে নামিয়ে আনা হয়। রানার্স আপ দল পায় সেবার ৬.২৫ কোটি রুপি।
মহামারি শেষে ২০২১ আইপিএলে চ্যাম্পিয়ন দলের জন্য বরাদ্দ করা হয় ১০ কোটি রুপি। আর রানার্স আপ দল পায় ১২.২ কোটি রুপি। ২০২২ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত চ্যাম্পিয়ন দলের প্রাইজমানি অপরিবর্তিত থাকে। ২০ কোটি রুপি করে পায় চ্যাম্পিয়ন দল। আর রানার্সআপ দল পায় ১৩ কোটি রুপি।