শুরুতে আফগানিস্তানকে সেভাবে কেউ গোনায় ধরেনি। যুদ্ধবিধ্বস্ত একটি দেশ, যেখানকার ক্রিকেট–সংস্কৃতি আবার প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান থেকে ধার করা। এমন দলকে সেভাবে পাত্তাই দিতে চায়নি কেউ।
কিন্তু মাত্র ১৬ বছরে আফগানিস্তান টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সেমিফাইনালের দেখা পেয়েছে। ওয়ানডে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালেও প্রায় উঠে যেত। পারেনি ২০২৩ সালের আসরে গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের অতিমানবীয় ইনিংসে। অথচ বৈশ্বিক আসরে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সাফল্য সেখানে ২০১৭ চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সেমিফাইনাল।
২০২৩ বিশ্বকাপ, ২০২৪ টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপ এবং এবারের চ্যাম্পিয়নস ট্রফি আফগানিস্তানের কাছে হেরেছে অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান ও ইংল্যান্ড। আইসিসি ইভেন্টে এ পর্যন্ত ১১০ ম্যাচে বাংলাদেশের জয় যেখানে মাত্র ৩০টি, আফগানিস্তানের ৫৮ ম্যাচেই ১৮টি। বাংলাদেশের জয়ের হার যেখানে ২৭.২ শতাংশ, আফগানিস্তানের ৩১.০৩ শতাংশ।
এশিয়া কাপে বাংলাদেশ-হংকং চায়নার ম্যাচ বিশ্লেষণ করতে গিয়ে মুরালি বলেন, 'আফগানিস্তানের সঙ্গে তুলনা করলে বাংলাদেশ কখন খেলা শুরু করেছিল? দেখুন আফগানিস্তান কতটা এগিয়েছে। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে আবেগ এবং উন্মাদনার কোনো অভাব নেই, কিন্তু তারা কি সেটাকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ধারাবাহিক পারফরম্যান্সে রূপান্তর করতে পারছে? সেটা কিন্তু হয়নি।'
ক্রিকবাজের অনুষ্ঠানে হার্শা ভোগলের সঙ্গে আলোচনায় মুরালি আরো বলেন, 'আমি বা আপনি যদি বাংলাদেশের কোনো খেলোয়াড়ের বিরুদ্ধে কিছু বলি, তারা আমাদের পেছনে লেগে যাবে। তাদের নিয়ে মানুষ খুব আবেগপ্রবণ। আফগানিস্তান সীমিত সম্পদ, তাদের ইতিহাস এবং পেছনের সব গল্প নিয়েও কী অর্জন করতে পেরেছে। আমি মনে করি বাংলাদেশ আফগানিস্তানের কাছ থেকে শিক্ষা নিতে পারে। দিন শেষে এত ভালো মানের খেলোয়াড় থাকা সত্ত্বেও, এই ধরনের পর্যায়ে সম্মিলিত পারফরম্যান্সই গুরুত্বপূর্ণ।'