সবশেষ কয়েক বছরে আম্পায়ারিংয়ে চোখে পড়ার মতো উন্নতি করেছে বাংলাদেশ। প্রায় প্রতি বছর ম্যাচ রেফারির কোর্স হলেও এখন পর্যন্ত আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সেভাবে নিজেদের জাত চেনাতে পারেননি। ম্যাচ রেফারিংয়ে উন্নতি করতে এবার প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটারদের নিয়ে কাজ করছে বিসিবি। শনিবার (২৬ জুলাই) শুরু হওয়ায় দুই দিনের প্রশিক্ষণ ও কর্মশালায় যোগ দিতে আমন্ত্রণ জানানো বেশ কয়েকজনকে।
হাবিবুল বাশার সুমনের পাশাপাশি সেই তালিকায় আছেন আবদুর রাজ্জাক, ধীমান ঘোষ, ফজলে মাহমুদ, নাঈম ইসলাম, ইলিয়াস সানিরা। বাংলাদেশের সাবেক টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহও পেয়েছিলেন আমন্ত্রণ। তবে ঘরোয়া ক্রিকেট খেলার আশায় বিসিবির প্রস্তাবে না করেছেন তিনি। নিয়ম অনুযায়ী, পেশাদার ক্রিকেট থেকে অবসর না নিলে ম্যাচ রেফারি হতে পারবেন না কোন ক্রিকেটার।
কোর্সে মাহমুদউল্লাহ যোগ না দেয়ার বিষয়ে ইফতেখার রহমান মিঠু বলেন, ‘এটা আসলে গ্রহণ করার বিষয় না। তার কথা হচ্ছে আমি আরও কয়েকদিন খেলব...ও (মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ) আরও কয়েকদিন স্থানীয় লিগ খেলতে চায়। আমার সাথে ওর কথা হয়েছে... ক্যারিয়ার শেষ হলে এটা শুরু হবে। খেলোয়াড়ি জীবনে তো আপনি ম্যাচ রেফারি হতে পারবেন না। সে জন্য কোর্সে আসেনি।’
আন্তর্জাতিক মানের ম্যাচ রেফারি তৈরি করতে এবার ভিন্ন পথে হেঁটেছে বিসিবি। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলেননি এমন কাউকে কোর্সে অংশগ্রহণের সুযোগ দেয়নি তারা। দুই দিনের কোর্সে অংশ নেয়া ৩০ ক্রিকেটারই প্রথম শ্রেণির পাশাপাশি জাতীয় দলেরও খেলেছেন। রাকিবুল হাসান জানান, জাতীয় দলের কিংবা প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলা কোনো ক্রিকেটার ম্যাচ রেফারি হিসেবে থাকলে ক্রিকেটাররা সমীহ করেন।
এ প্রসঙ্গে রাকিবুল বলেন, ‘ম্যাচ রেফারির দুই-একটা কোর্স আমাদের হয়ে গেছে। কিন্তু এবার আমরা যেটা করলাম মিঠু, আমি এবং আমাদের সভাপতি মিলে—আপনাকে জাতীয় দলের কিংবা প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলা খেলোয়াড় হতে হবে। কারণ একটা খেলোয়াড় যখন খেলতে নামে এবং সে যখন দেখে তাঁর আম্পায়ার সাবেক টেস্ট ক্রিকেটার কিংবা প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটার—তখন আম্পায়ারের প্রতি তাঁর সম্মান বেড়ে যায় এবং আম্পয়ারকে সে তখন সমীহ করে। ম্যাচ কন্ট্রোল করতে তখন প্রথম থেকেই একটা বাড়তি সুবিধা থাকে।’