গত কয়েকবছর ধরে সাদা বলের ক্রিকেটে ধারাবাহিকভাবে ভালো পারফরম্যান্স করলেও জাতীয় দলের ওয়ানডে স্কোয়াডে জায়গা মিলছে না নুরুল হাসান সোহানের। বারবারই নির্বাচকদের চোখ এড়িয়ে যাচ্ছে তাকে।
গত দুই মৌসুমে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স ছিল সোহানের। যদিও ব্যাট হাতে ধারাবাহিকতা আর কিপিংয়ে নির্ভরযোগ্যতা দেখিয়েও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ঘোষিত ১৬ সদস্যের ওয়ানডে দলে জায়গা পাননি এই ৩১ বছর বয়সী উইকেটরক্ষক-ব্যাটার।
ঘরোয়া ও ‘এ’ দলের হয়েও বারবারই নিজেকে প্রমাণ করে চলেছেন সোহান। কিছুদিন আগেই নিউজিল্যান্ড ‘এ’ দলের বিপক্ষে চারদিনের ম্যাচে করেছিলেন ১০৭ রান, আর ওয়ানডে সিরিজে ঝলসে উঠেছিলেন ১১২ রানের ইনিংসে।
এ বছরের প্রিমিয়ার লিগে ধানমন্ডি ক্লাবের হয়ে ১১ ম্যাচে করেছেন ৫১২ রান—দুটি শতরান ও দুটি অর্ধশতক। ব্যাটিং গড় ৫৮ এবং স্ট্রাইকরেট ৯৩.৫৪। গতবারও করেছিলেন ৪৯৫ রান।
এবার গ্লোবাল সুপার লিগেও (জিএসএল) ব্যাট হাতেও আলো ছড়িয়েছেন সোহান। গায়ানা অ্যামাজন ওয়ারিয়র্সের বিপক্ষে ১০ বলে ১৮ রান করার পর হোবার্ট হারিকেন্সের বিপক্ষে আট বলে তিন রান করলেও দুবাই ক্যাপিটালসের বিপক্ষে ১৮ বলে অপরাজিত ৩৪ রান করেছিলেন তিনি।
অসাধারণ নেতৃত্বে দলকে ইতোমধ্যেই ফাইনালে পৌঁছে দিয়েছেন তিনি, যদিও নির্বাচকদের সুনজরে নেই তিনি। সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ দলের টি-টোয়েন্টি পারফরম্যান্স সুখকর ছিল না।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ হারের পর পাকিস্তানেও ৩-০ ব্যবধানে সিরিজ হারে বাংলাদেশ। এরপর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম ম্যাচটি হারলেও পরের দুটি ম্যাচ জিতে সিরিজ নিজেদের করে নেয় বাংলাদেশ। নির্বাচকরা তাই এই দলের প্রতিই আস্থা রাখছে।
বাংলাদেশ স্কোয়াড: লিটন দাস (অধিনায়ক), তানজিদ হাসান তামিম, পারভেজ হোসেন ইমন, নাঈম শেখ, তাওহীদ হৃদয়, জাকের আলী, শামীম হোসেন, মেহেদী হাসান মিরাজ, রিশাদ হোসেন, শেখ মেহেদী হাসান, নাসুম আহমেদ, তাসকিন আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমান, শরিফুল ইসলাম, তানজিম হাসান সাকিব ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন।