ডিপিএল

রনি-অঙ্কনের জোড়া হাফ সেঞ্চুরিতে হারল মাশরাফির রূপগঞ্জ

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
প্রকাশের তারিখ: 17:55 সোমবার, 25 মার্চ, 2024

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

আগের রাউন্ডে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের বিপক্ষে পাঁচ উইকেট নিয়েছিলেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। তিনি প্রায় একাই দলটিকে গুঁড়িয়ে দিয়েছিলেন। তবে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের বিপক্ষে বল হাতে এদিন নিষ্প্রভ ছিলেন মাশরাফি। ৩ ওভারে ১১ রান দিয়ে ছিলেন উইকেটশূন্য। এমন দিনে মোহামেডানের কাছে ৬ উইকেটে হেরেছে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ।

এদিন আগে ব্যাট করে ১৭৮ রান করেই অল আউট হয়ে যায় রূপগঞ্জ। জবাবে খেলতে নেমে ৪ উইকেট হারিয়েই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ঐতিহ্যবাহী দলটি। তাদের দারুণ জয়ে সবচেয়ে বড় অবদান ছিলো ওপেনার রনি তালুকদার ও মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনের।

চলতি মৌসুমে নিজের দ্বিতীয় ম্যাচেই সেঞ্চুরির দেখে পেয়েছিলেন ইমরুল কায়েস। এরপর থেকেই রান খড়া চলছে দলটির অধিনায়কের। ১৭৯ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে এদিনও মাত্র একরান করেই ফিরেছেন তিনি। আল আমিন হোসেনের বলে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। এরপর উইকেটে আসা প্রান্তিক নাওরোজ ফিরেছেন দুই রানে।

মাত্র ৭ রানে দুই ব্যাটারকে হারিয়ে চাপে পর ঐতিহ্যবাহী দলটি। কিন্তু সেই ধাক্কা দারুণভাবে সামাল দিয়েছেন ওপেনার রনি ও মৌসুম জুড়ে দারুণ ছন্দে থাকা অঙ্কন। চলতি মৌসুমের প্রথম রাউন্ডে ৭১ রানের ইনিংস খেলেছিলেন রনি। পরের তিন রাউন্ডে রান খড়ায় থাকলেও আজ দারুণ ইনিংসে খেলেছেন এই ওপেনার।

ইনিংসের ২৪ তম ওভারে শুভাগত হোমকে কাউ কর্নার দিয়ে ছক্কা মেরে নিজের হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন রনি। উইকেটের অন্যপাশে অঙ্কনকও রান তুলতে থাকেন। ৬৬ বলেই নিজের হাফ সেঞ্চুরির দেখা পান। তাদের ১৩০ রানের জুটিতে জয়ের পথ সহজ হয় মোহামেডানের। কিন্তু অঙ্কনকে ফিরিয়ে ম্যাচে ফেরার চেষ্টা করেন আব্দুল হালিম।

এই পেসারের স্লোয়ার শর্ট ডেলিভারিতে মিড উইকেটে ক্যাচ তুলে দেন ৭৮ বলে ৫৯ করা এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার। এরপর আরিফুল ইসলামকেও ৬ রানে ফেরান হালিম। তবে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদকে নিয়ে বাকি পথটা পাড়ি দেন রনি। এই ওপেনার ৪ ছক্কা ও ৭ চারের সাহায্যে ৯২ রানে অপরাজিত থেকে দলের জয় নিশ্চিত করেন। রূপগঞ্জের হয়ে হালিম সর্বোচ্চ দুটি উইকেট নিয়েছেন। মাহমুদউল্লাহ ৩২ বলে ৯ রান করে অপরাজিত ছিলেন।

এদিন ফতুল্লাহর খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নামে রূপগঞ্জ। এদিন দলটি শুরু থেকেই নিয়মিত উইকেট হারাতে থাকে। মাত্র ৯৫ রানেই পাঁচ ব্যাটারকে হারিয়ে বসে তারা। এদিন দলটির হয়ে লড়াই করেছেন শামীম হোসেন পাটোয়ারি। মাঝে আমিনুল ইসলাম বিপ্লব ও মাশরাফিকে নিয়ে ছোটো ছোটো জুটি গড়েন দলকে লড়াইয়ের পুঁজি এনে দিয়েছেন তিনি।

এদিন মৌসুমে ব্যাট হাতে প্রথমবার মাঠে নামেন মাশরাফি। এক ছক্কায় ৩১ বলে করেন ২১ রান। আসিফ আলীর বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন সাজঘরে। বাকিদের যাওয়া আসার মাঝে শামীমের ব্যাট থেকে আসে ৫৯ রান।মোহামেডানের হয়ে নাসুম আহমেদ ও আসিফ নিয়েছেন সর্বোচ্চ তিনটি করে উইকেট।