আইপিএল

মুম্বাইকে হারিয়ে পাঁচে দিল্লি

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
প্রকাশের তারিখ: 20:17 শনিবার, 27 এপ্রিল, 2024

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

ম্যাচ জিততে শেষ ওভারে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের প্রয়োজন ছিল ২৫ রান। দারুণ ব্যাটিং করতে থাকা তিলক ভার্মা স্ট্রাইক প্রান্তে থাকায় স্বপ্ন বুনছিলেন সমর্থকরা। তবে প্রথম বলে রান আউটে কাটা পড়েন ৬৩ রান করা তিলক। পরের ৫ বলে লুক উড একটি ছক্কা এবং চাওলা মারলেন এক চার। সব মিলিয়ে শেষ ওভারে ১৪ তুলেও জিততে পারেনি মুম্বাই। জ্যাক ফ্রেজার-ম্যাকগার্ক ও ট্রিস্টিয়ান স্টাবসের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ২৫৭ রানের পুঁজি গড়া দিল্লি ক্যাপিটালস জয় পেয়েছে ১০ রানে। টানা জয়ে চেন্নাই সুপার কিংসকে পেছনে ফেলে পয়েন্ট টেবিলের পাঁচে উঠে এসেছে দিল্লি।

অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে জয়ের জন্য ২৫৮ রান তাড়ায় টপ অর্ডার থেকে বড় ইনিংস খেলার বিকল্প ছিল না মুম্বাইয়ের। কিন্তু সেটা করতে পারেননি মুম্বাইয়ের টপ অর্ডার ব্যাটারদের কেউ। ইনিংসের চতুর্থ ওভারের প্রথম বলে নিজেদের প্রথম উইকেট হারায় তারা। খলিল আহেমেদের লেংথ ডেলিভারিতে মিড অফ দিয়ে খেলতে চেয়েছিলেন রোহিত শর্মা। তবে লিডিং এজ হয়ে বল চলে যায় কভারে এবং সহজ ক্যাচ লুফে নেন শাই হোপ। ডানহাতি ওপেনারকে ফিরতে হয় ৮ বলে ৮ রানে। পরের ওভারে আউট হয়েছেন ইশান কিশানও।

মুকেশ কুমারের গুড লেংথ ডেলিভারিতে মিড অফের উপর দিয়ে খেলতে গিয়ে অক্ষর প্যাটেলের হাতে ধরা পড়েন তিনি। মুম্বাইয়ের এই উইকেটকিপার ব্যাটার আউট হয়েছেন ২০ রানে। ইমপ্যাক্ট সাব হিসেবে তিনে নেমে ভালো শুরু করেছিলেন সূর্যকুমার যাদব। তবে তারকা এই ব্যাটারকে ইনিংস বড় করতে দেননি খলিল। বাঁহাতি এই পেসারের স্লোয়ার ডেলিভারিতে ব্যাক ফুটে ড্রাইভ করতে গিয়ে লিজাড উইলিয়ামসের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন। সূর্যকুমারকে ফিরতে হয় ২০০ স্ট্রাইক রেটে ২৬ রান তুলে।

এরপর জুটি গড়ে তোলেন হার্দিক ও তিলক। তারা দুজনে মিলে যোগ করেন ৩৯ বলে ৭১ রান। দিল্লির বোলারদের বিপক্ষে দ্রুতই রান তুলছিলেন তারা দুজন। অধিনায়ক হার্দিকও খেলছিলেন সাবলীলভাবে। তবে রাসিক সালামের অফ স্টাম্পের বাইরের ফুলার লেংথ ডেলিভারিতে উড়িয়ে মারতে গিয়ে মুকেশের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন। দারুণ ব্যাটিং করতে থাকা হার্দিককে ফিরতে হয় ২৪ বলে ৪৬ রানের ইনিংস খেলে। একই ওভারে বিদায় নিয়েছেন নেহাল ওয়াদেরাও। রাসিকের বলে ফিরেছেন পান্তের গ্লাভসে ক্যাচ দিয়ে।

ওয়াদেরা ফেরার পর তিলকের সঙ্গে দ্রুত রান তোলার চেষ্টা করেছেন ডেভিড। তারা দুজনে যোগ করেছেন ৭০ রান। শেষদিকে ১৭ বলে ৩৭ রান করা অস্ট্রেলিয়ান ডেভিডের বিদায়ে ভাঙে এই জুটি। মুকেশের উইকেটে করা ডেলিভারিতে বলের লাইন মিস করে লেগ বিফোর হয়েছেন। মোহাম্মদ নবি দ্রুত বিদায় নেয়ার পর শেষ ওভারে তিলক আউট হয়েছেন ৩২ বলে ৬৩ রানের ইনিংস খেলে। এরপর আর জিততে পারেনি মুম্বাই।

এই ম্যাচে টস জিতে দিল্লীকে আগে ব্যটিংয়ে পাঠিয়ে বিপাকে পরেন হার্দিক। দলটির ওপেনার ম্যাকগার্গ এদিন প্রথম ওভার থেকেই তাণ্ডব চালানো শুরু করেন। আরেক ওপেনার অভিষেক পুরেলকে দর্শক বানিয়ে এদিন মাত্র ১৫ বলে চলতি আসরে নিজের তৃতীয় হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন। তার ঝড়েই পাওয়ার প্লেতে ৯২ রান তুলে দিল্লি। এ সময় দ্রুততম সেঞ্চুরির সম্ভাবনা জাগান তিনি। তবে সেটা আর হতে দেননি লেগ স্পিনার চাওলা।

এদিন ৬ ছক্কা ও ১১ চারে ২৭ বলে ৮৪ রান করা ম্যাকগার্গকে থামিয়েছেন চাওলা। ১১৪ রানের উদ্বোধনী জুটি ভাঙার কিছুক্ষণ পর পুরেল ফিরেছেন ৩৬ রানে। এরপর ১৭ বলে ৪১ রানের ইনিংস খেলেন শাই হোপ। সবশেষ রিশাভ পান্ত ও ট্রিশটান স্টাবসের জুটিতে আইপিএলে নিজেদের সর্বোচ্চ সংগ্রহের পথে হাটতে থাকে দিল্লী। পন্ত ১৯ বলে ২৯ করে ফিরলেও, স্টাবসের ২৫ বলে ৪৮ রানের ইনিংসে নিজেদের রেকর্ড সংগ্রহ পায় দলটি।