বাংলাদেশ ক্রিকেট

‘১০০ করার পরে ৫০ রান না করতে পারলে কোনও দাম নেই’, শান্তকে পাপন

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
প্রকাশের তারিখ: 15:24 শনিবার, 20 মে, 2023

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

সাম্প্রতিক সময়ে অসাধারণ খেলছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। গেল আয়ারল্যান্ড সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে দারুণ একটি সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে দল জিতিয়েছেন এই টপ অর্ডার ব্যাটার। যদিও তাতে মন ভরেনি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের। শান্ত যদি সিরিজের তৃতীয় ওয়ানডেতে অন্তত একটি হাফ সেঞ্চুরি করত, তাহলেই খুশি হতেন বাংলাদেশের ক্রিকেটের সর্বোচ্চ এই অভিভাবক।

ব্যাটার হিসেবে ক্যারিয়ারের অন্যতম সেরা সময় কাটাচ্ছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজে বাংলাদেশের সেরা ব্যাটার তিনিই। ৩ ম্যাচে তার ব্যাট থেকে এসেছে ১ সেঞ্চুরিতে ১৯৬ রান।

এটি তার ওয়ানডে ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরিও বটে। যদিও শেষ ওয়ানডে ভালো শুরুর পরও ইনিংস বড় করতে পারেননি শান্ত। ৩৫ রানে ক্রেইগ ইয়াংয়ের বলে ফিরে যান তিনি। শনিবার (২০ মে) শান্তর সঙ্গে মিরপুর শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দেখা হয় বিসিবি সভাপতির। শান্তর কাছে নিজের প্রত্যাশার কাছে জানিয়েছেন তিনি।

পরে গণমাধ্যমকে একটি কথা প্রসঙ্গে পাপন বলেন, 'শান্ত আয়ারল্যান্ড সিরিজে ভালো খেলেছে। আমি সাথে সাথে তাকে ফোন করে জানিয়েছি, তুমি খুব ভালো খেলেছো। আমি শেষ ম্যাচটা না দেখে চলে এসেছিলাম। আজকে দেখা হওয়ার পরে ওকে আবার বলেছি, একটা ১০০'র পরে আরেকটা মিনিমাম ৫০ না হলে ওই ১০০'র কোনো দাম নেই। তারমানে তাকে নিয়মিতই পারফরম্যান্স করতে হবে।'

ক্যারিয়ারের শুরুর ভাগে অবশ্য দিনের পর দিন ব্যর্থ হয়েছিলেন শান্ত। ২০১৭ সালে টেস্ট দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয় শান্তর। ২০১৮ সালে ওয়ানডেতে এবং তার পরের বছর অভিষেক হয়েছিল টি–টোয়েন্টিতে।

তিন সংস্করণ মিলিয়েই একটানা অফ-ফর্মে ছিলেন তিনি। ২০১৭ সালে এক ম্যাচ খেলে ১৫.০০, ২০১৮ সালে চার ম্যাচ খেলে ৭.৬০, ২০১৯ সালে দুই ম্যাচ খেলে ৮.০০ এবং ২০২০ সালে চার ম্যাচ খেলে ৩৭.৬০ গড়তে ব্যাটিং করেন তিনি।

মূলত ২০২১ সাল থেকে উপরে উঠতে থাকে শান্তর পারফরম্যান্স গ্রাফ। সেই বছরে টেস্টে দুটি সেঞ্চুরি পান। যদিও বছর শেষে ১৪ ম্যাচে গড় দাঁড়ায় ২৪.৮০ তে। ২০২২ সালে অবশ্য সেটা আরেকটু কমে। ২৮ ম্যাচে ২৩.১৯।

আর চলতি বছর ওয়ানডেতে আট ম্যাচে সাত ইনিংসে শান্তর ব্যাটিং গড় ৫২.৮৫। আছে ৩টি হাফ সেঞ্চুরি এবং একটি সেঞ্চুরি। টি–টোয়েন্টিতে ছয় ম্যাচে ৫৪.৬৬ গড়ে ১৬৪ রান। স্ট্রাইক রেট ১২১.৪৮।