নিরাপত্তাজনিত কারণে মাঝপথে পরিত্যক্ত আইপিএলের ম্যাচ

ছবি: ফ্লাডলাইটের কারণে আচমকা বন্ধ হয় পাঞ্জাব কিংস ও দিল্লি ক্যাপিটালসের ম্যাচ, বিসিসিআই

ধর্মশালার হিমাচল প্রদেশ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় রাত ৮ টায় খেলা শুরু হওয়ার কথা থাকলেও তাতে বাগড়া দেয় বৃষ্টি। ফলে ঘণ্টাখানেক পর বাংলাদেশ সময় রাত ৯ টায় মাঠে গড়ায় ম্যাচ। বৃষ্টিবিঘ্নিত দিনে টস জিতে আগে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেন পাঞ্জাবের অধিনায়ক শ্রেয়াস আইয়ার। ব্যাটিংয়ে নেমে পাঞ্জাবকে দারুণ শুরু এনে দেন প্রভসিমরান সিং ও প্রিয়ানশ।
বাংলাদেশ সিরিজ নিয়ে শঙ্কা দেখছে না পিসিবি
৭ ঘন্টা আগে
তাদের দুজনের দাপুটে ব্যাটিংয়ের সামনে মিচেল স্টার্ক-দুশমন্থ চামিরারা তেমন কিছুই করে দেখাতে পারেননি। পাওয়ার প্লেতে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৬৯ রান তোলে পাঞ্জাব। দারুণ ব্যাটিংয়ে ২৫ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন প্রিয়ানশ। মাত্র ৮.৫ ওভারে জুটির ও দলের একশ রান পূরণ করেন তারা দুজন। আরেক ওপেনার প্রভসিমরান পঞ্চাশ ছুঁয়েছেন ২৮ বলে।
এমন ব্যাটিংয়ে ছাড়িয়ে গেছেন ক্রিস গেইল, ডেভিড মিলার, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, লোকেশ রাহুলকে। তারা সবাইকে পাঞ্জাবের জার্সিতে টানা তিন ম্যাচে হাফ সেঞ্চুরি করেছিলন। যেখানে প্রভসিমরান হাফ সেঞ্চুরি করেছেন টানা চার ম্যাচে। হাফ সেঞ্চুরির পর দ্রুত রান তোলার চেষ্টায় থাকা প্রিয়ানশকে ফিরিয়েছেন থাঙ্গারাসু নাটারাজন। বাঁহাতি পেসারের বলে মাধব তিয়ারির হাতে ক্যাচ দিয়েছেন বাঁহাতি এই ওপেনার।

বুমরাহ নয় ভারতের অধিনায়ক হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে গিল
১০ ঘন্টা আগে
আউট হওয়া আগে ৬ ছক্কা ও ৫ চারে ৩৪ বলে ৭০ রানের ইনিংস খেলেছেন প্রিয়ানশ। তার বিদায়ে ভেঙেছে ১২২ রানের উদ্বোধনী জুটি। দিল্লির বিপক্ষে যেকোনো উইকেটে পাঞ্জাবের যৌথভাবে সর্বোচ্চ রানের জুটি। ২০২১ সালে মায়াঙ্ক আগারওয়ালকে সঙ্গে নিয়ে ১২২ রানের জুটি গড়েছিলেন রাহুল। এদিকে প্রিয়ানশ আউট হয়ে যাওয়ার পরই স্টেডিয়ামের এক পাশের ফ্লাডলাইট নিভে যায়।
একটু পর নিভে যায় আরেকটি অংশের আরেকটি ফ্লাডলাইট। কয়েক মিনিটের ব্যবধানে ধর্মশালা স্টেডিয়ামের তিনটি ফ্লাডলাইট নিভে যায়। এমন অবস্থা নিরাপত্তাজনিত কারণে দিল্লি ও পাঞ্জাবের ম্যাচ পরিত্যক্ত ঘোষণা করে আইপিএল কর্তৃপক্ষ। এমনকি ক্রিকেটার ও দর্শকদের দ্রুতই মাঠ খালি করার তাড়া দেয়া হয়। যদিও বিসিসিআইয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে পরিত্যক্ত করা হয়েছে ম্যাচটি।
ভারত ও পাকিস্তানের চলমান সংঘাতের প্রভাব পড়তে শুরু করেছে ক্রিকেটেও। আগামী ১১ মে ধর্মশালায় মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বিপক্ষে খেলার কথা ছিল পাঞ্জাব কিংসের। যুদ্ধের দামামার মধ্যে ম্যাচ অবশ্য চালিয়ে নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বোর্ড অব কন্ট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়া (বিসিসিআই)। জানা গেছে, ধর্মশালার পরিবর্তে মুম্বাই ও পাঞ্জাবের ম্যাচটি। প্রায় একই চিত্র পাকিস্তানেও।
ক্ষেপনাস্ত্র হামলার পর পাকিস্তানের বিভিন্ন জায়গায় ড্রোন হামলা চালিয়েছে ভারত। রাওয়ালপিন্ডি ক্রিকেট স্টেডিয়ামের পাশের ফুড স্ট্রিটের একটি ভবনে হামলা চালালে করাচি কিংস ও পেশাওয়ার জালমির ম্যাচ স্থগিত করে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। এবার নিরাপত্তা শঙ্কায় মাঝপথে আইপিএলের ম্যাচ পরিত্যক্ত করতে হয়েছে ভারতকে। এমনটা চলতে থাকলে পিএসএলের মতো আইপিএল নিয়েও শঙ্কা তৈরি হতে পারে।