বিসিএল

সাদমানের ২৪৬, সাউথ জোনের ৫০০

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
প্রকাশের তারিখ: 18:33 রবিবার, 05 মার্চ, 2023

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

চোট থেকে ফিরে বিসিএলের তৃতীয় রাউন্ডে সেঞ্চুরি তুলে খানিকটা খোলস ছেড়ে বেরিয়ে এসেছিলেন সাদমান ইসলাম। ফাইনালের প্রথম দিনে সেঞ্চুরি করে নিজের ফেরার গল্পটা আরও জোরালো করেন বাঁহাতি এই ওপেনার। তৃতীয় রাউন্ডে সেঞ্চুরির পর থামলেও এবার ছিলেন দুর্দান্ত।

ক্যারিয়ারের প্রথম শ্রেণিতে প্রথম ডাবল সেঞ্চুরির পর ২৪৬ রানে থামেন সাদমান। বাঁহাতি এই ওপেনার সঙ্গে মার্শাল আইয়ুবের অপরাজিত ১২০ এবং ফজলে মাহমুদ রাব্বির ৬১ রান। শেষ পর্যন্ত ৫ উইকেটে ৫০০ রান করে ইনিংস ঘোষণা করে বিসিবি সাউথ জোন। জবাব দিতে নেমে বিসিবি সেন্ট্রাল জোন তুলেছে বিনা উইকেটে ৩৩ রান।

কক্সবাজারের শেখ কামাল আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে আগের দিনের ৩ উইকেটে ২৩৪ রান নিয়ে ব্যাটিংয়ে নামেন সাদমান ও ফজলে রাব্বি। তবে এই জুটিকে বেশিক্ষণ টিকতে দেননি মুশফিক হাসান। দ্বিতীয় দিন সকালের অষ্টম ওভারে মুশফিকের বলে উইকেটের পেছনে থাকা জাকের আলীর গ্লাভসে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ফজলে রাব্বি। আগের দিন ৫৫ রানে অপরাজিত থাকা বাঁহাতি এই ব্যাটার মাত্র ৬ রান যোগ করে ৬১ রানে আউট হন।

ফজলে রাব্বি ফেরার পর সকালেই ব্যক্তিগত দেড়শ রান পূর্ণ করেন সাদমান। সৌম্য সরকারের বলে ডিপ পয়েন্টে ঠেলে দিয়ে এক রান নিয়ে ২৯৭ বলে দেড়শ করেন বাঁহাতি এই ওপেনার। তাকে দারুণভাবে সঙ্গ দিতে থাকেন মার্শাল। এদিকে দ্বিতীয় সেশনে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে নিজের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি করেন সাদমান। শুভাগত হোমের বলে কভারে ঠেলে দিয়ে এক রান নেন বাঁহাতি এই ব্যাটার। তাতে ৩৯৪ বলে ডাবল সেঞ্চুরি পূর্ণ হয় তার।

সেই সঙ্গে এদিন ছাপিয়ে গেছেন নিজের আগের সর্বোচ্চ ১৮৯ রানের ইনিংস। ২০১৮ সালে জাতীয় ক্রিকেট লিগে ঢাকা বিভাগের বিপক্ষে ইনিংসটি খেলেছিলেন সাদমান। এদিকে সাদমানের ডাবল সেঞ্চুরির পর হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন মার্শাল। হাসান মুরাদের বলে কভারে ঠেলে দিয়ে তিন রান নিয়ে ১৪১ বলে হাফ সেঞ্চুরি করেন ডানহাতি এই ব্যাটার। সেই মুরাদকেও ডিপ এক্সট্রা কভার দিয়ে চার মেরে সেঞ্চুরি ছুঁয়ে ফেলেন মার্শাল।

সেঞ্চুরি করতে অভিজ্ঞ এই ব্যাটার খেলেছেন ১৯৭ বল। এদিকে আড়াইশ ছোঁয়ার খুব কাছে ছিলেন সাদমান। তবে মোহাম্মদ মিঠুনের বলে জাকেরের গ্লাভসে দিয়ে ২৪৬ রানে ফিরে যেতে হয় তাকে। মঈন খানকে সঙ্গে নিয়ে দলে সাউথ জোনের রান ৫০০ তে নিয়ে যান মার্শাল। ডানহাতি এই ব্যাটার শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন ১২০ রানে। বিসিবি সেন্ট্রাল জোনের হয়ে মুরাদ দুটি এবং একটি করে উইকেট নিয়েছেন আবু হায়দার রনি, মুশফিক এবং মিঠুন।

শেষ বিকেলে এমন পাহাড়সম রানের জবাব দিতে নেমে কোনো উইকেট হারায়নি বিসিবি সেন্ট্রাল জোন। শুরু থেকেই দেখেশুনে খেলতে থাকেন সৌম্য ও আব্দুল মজিদ। তাদের দুজনের বিপক্ষে তেমন কোনো সুযোগও তৈরি করতে পারেনি সাউথ জোনের বোলাররা। দিন শেষে সেন্ট্রাল জোন থেমেছে বিনা উইকেটে ৩৩ রান নিয়ে। সৌম্য ১৫ এবং মজিদ অপরাজিত রয়েছেন ১৬ রানে।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

বিসিবি সাউথ জোন- ৫০০/৫ (১৬১.৪ ওভার) (সাদমান ২৪৬, মার্শাল ১২০*, ফজলে রাব্বি ৬১; মুরাদ ২/১৪৭, আবু হায়দার ১/৭০)

বিসিবি সেন্ট্রাল জোন- ৩৩/০ (১১ ওভার) (মজিদ ১৬*, সৌম্য ১৫*)