শেবাগকে বাদ দিয়েছিলেন ধোনি, ক্যারিয়ার বাঁচান শচীন

ছবি: ফাইল ছবি

২০০৭ সালে পোর্ট অব স্পেনে বারমুডার বিপক্ষে ১১৪ রানের ইনিংস খেলার পর থেকে ব্যাট হাতে ছন্দ খুঁজে পাচ্ছিলেন না শেবাগ। পরের ছয় ম্যাচের একটিতেও হাফ সেঞ্চুরি করতে পারেননি তিনি। সেই সেঞ্চুরির পর পঞ্চাশছোঁয়া ইনিংস খেলেছিলেন সাউথ আফ্রিকা একাদশের বিপক্ষে এশিয়া একাদশের হয়ে। যদিও জাতীয় দলের হয়ে ৬ ইনিংসে দুইটা চল্লিশোর্ধ্ব রানের ইনিংস খেলেছিলেন তিনি।
পছন্দের দল হারে জেনেও ফাইনালে শেবাগের সমর্থন বেঙ্গালুরুতে
৩ জুন ২৫
এর কিছুদিন পর শ্রীলঙ্কা ও অস্ট্রেলিয়াকে নিয়ে আয়োজিত কমনওয়েলথ ব্যাংক সিরিজের স্কোয়াডে ছিলেন শেবাগ। তবে সেই সিরিজেও ব্যাট হাতে জ্বলে উঠতে পারেননি। প্রথম ৫ ম্যাচে ১৬.২০ গড়ে ৮১ রান করলে ষষ্ঠ ম্যাচে একাদশ থেকে জায়গা হারান তিনি। শেবাগের পরিবর্তে শেষের তিন ম্যাচে শচীনের সাথে ওপেনিং করেন রবি উথাপ্পা। শ্রীলঙ্কা ও অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে শিরোপা জেতে মহেন্দ্র সিং ধোনির ভারত।

সিরিজের শেষ তিন ম্যাচে একাদশে সুযোগ না পাওয়ায় অভিমানে অবসরের কথাও ভেবেছিলেন শেবাগ। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘২০০৭-০৮ অস্ট্রেলিয়া সিরিজে আমি প্রথম পাঁচ ম্যাচ খেলি, এরপর ধোনি আমাকে একাদশ থেকে বাদ দেয়। এরপর বেশ কিছু আমি একাদশে ছিলাম না। তখন মনে হলো, যদি একাদশে সুযোগই না পাই, তাহলে ওয়ানডে খেলার কোনো মানে নেই।’
আলোর মুখ দেখছে ধোনির ১০০ কোটি টাকার মামলার শুনানি
১২ আগস্ট ২৫
অবসরের ভাবনা আসতেই শচীনের সঙ্গে আলাপ করেন শেবাগ। ভারতের হয়ে সেঞ্চুরির সেঞ্চুরি করা শচীন তখন শেবাগকে আবেগের বশে অবসর না নেয়ার পরামর্শ দেন। তাঁর কথা শুনেই ওয়ানডে ক্রিকেট না ছেড়ে জাতীয় দলে ফেরার অপেক্ষায় থাকেন তিনি। একই বছরের জুনে বাংলাদেশে আয়োজিত ত্রিদেশীয় সিরিজে ভারতের একাদশে ফেরেন শেবাগ। মিরপুরে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৮৯ রানের ইনিংস খেলার পরের ম্যাচে বাংলাদেশের সঙ্গে করেন ৫৯ রান।
পরবর্তীতে লম্বা সময় জাতীয় দলে খেলে ২০১১ সালে ঘরের মাঠে ওয়ানডে বিশ্বকাপও জিতেছেন সাবেক এই ওপেনার। বিশ্বকাপে একটি করে সেঞ্চুরি ও হাফ সেঞ্চুরিও করেছিলেন তিনি। অবসর না নেয়া প্রসঙ্গে শেবাগ বলেন, ‘আমি গিয়ে শচীনকে বলি, ওয়ানডে থেকে অবসরের কথা ভাবছি। শচীন তখন বললেন, আমিও ১৯৯৯-২০০০ সালে একই পরিস্থিতিতে পড়েছিলাম।’
‘তখন মনে হয়েছিল ক্রিকেট ছেড়ে দেব, কিন্তু সেই সময় কেটে গেছে। তুমিও এখন খারাপ সময় পার করছ; কিন্তু এটা কেটে যাবে। আবেগের বশে সিদ্ধান্ত নিয়ো না। নিজেকে কিছু সময় দাও। এরপর আমি আবার খেলি, রান করি এবং ২০১১ বিশ্বকাপ জিতি।’