শেয়ার অ্যান্ড কেয়ার প্রোগ্রামে বিসিবির পারফরম্যান্স মূল্যায়ন করলেন লিটন-মিরাজরা
ছবি: বিসিবি

ক্রিকেটারদের পাশাপাশি সাপোর্ট স্টাফ, কোচিং স্টাফের সদস্যরাও ছিলেন তাদের সঙ্গে। ক্রিকেটারদের মতো বিসিবির পারফরম্যান্স পর্যালোচনা করতে ক্রিকেটারদের কাছে ৮টা প্রশ্ন রেখেছিল দেশের ক্রিকেট বোর্ড। যেখানে ১-৫ নম্বরের মধ্যে মার্কিং করেছেন ক্রিকেটাররা। ক্রিকেটার, কোচিং স্টাফ কিংবা বোর্ডের কোথায় আরও উন্নতি করতে হবে সেসবই বোর্ড সভাপতিকে জানিয়েছেন তারা। ‘শেয়ার অ্যান্ড কেয়ার’ প্রোগ্রাম শেষে সেটার কিছুটা ধারণা দেয়ার চেষ্টা করেছেন বিসিবি সভাপতি।
লিটন আমাকে ফোন দিয়ে বলেছে, ‘তুই আমার দলের মেইন প্লেয়ার’: সাইফউদ্দিন
২৫ জুলাই ২৫
গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে বুলবুল বলেন, ‘‘আজকে দুটি বড় বড় কাজ করেছি আমরা। জাতীয় দলের যারা ক্রিকেটার আছে, লাল ও সাদা বলে খেলছে, পাশাপাশি আমাদের সাপোর্ট স্টাফ, কোচরা যারা আছেন, সবাই একত্রিত হয়েছিলাম। বোর্ডের পরিচালকরা সবাই এখানে ছিলেন। প্রোগ্রামটির নাম ‘শেয়ার অ্যান্ড কেয়ার।’ আমরা মনে করি, যে দলটা মাঠে খেলে, সেটা আমাদের একটি দল। যে দলটি ডাগ আউটে বসে থাকে, তারা একটি দল। আর আমরা যারা বোর্ডে কাজ করি, তারা একটি দল।’
‘তিনটি দলের সত্যিকারের পারফরম্যান্স কী (সেসব আলোচনা হয়েছে)…। আমরা তাদেরকে ৮টি প্রশ্ন করেছিলাম। ৮টি প্রশ্ন করার পর তারা আমাদের কাছে ফিরে এসেছে। সেগুলোর আমরা ডেটা অ্যানালাইসিস করেছি। অ্যানালাইসিস করে তাদের সঙ্গে শেয়ার করেছি, আমাদের যে উন্নতির জায়গাগুলো আছে, কীভাবে আমরা আরও ভালো করতে পারি।’

বিসিবির দেয়া নির্দিষ্ট ৮ প্রশ্নের বাইরেও নিজেদের থেকে আরও বেশ কিছু বিষয় সামনে এনেছেন ক্রিকেটাররা। যদিও বুলবুল খোলাসা করেননি ক্রিকেটাররা আসলে কী ধরনের পরামর্শ দিয়েছেন কিংবা চাওয়া-পাওয়ার কথা জানিয়েছেন। লিটন-মিরাজ-নাজমুল হোসেন শান্তরা নিজেদের মনের কথাগুলো বলায় বেশ আনন্দিত বিসিবি সভাপতি।
১৫ দিনের ছুটিতে মিরাজ
৮ ঘন্টা আগে
বুলবুল বলেন, ‘ইন্টারেস্টিং ব্যাপার হলো, আমাদের যে এজেন্ডা ছিল, এর বাইরেও ক্রিকেটাররা লাফিয়ে লাফিয়ে এসে মাইক্রোফোন হাতে নিয়ে কথা বলছিল। মনের কথাগুলো প্রকাশ করছিল। এটিই সবচেয়ে আনন্দের ব্যাপার। মনে হচ্ছিল যে আমরা সবাই একটি টিম এবং দল হিসেবে কাজ করলে যে আমরা কত সামনে এগিয়ে যেতে পারব, তার একটি বড় প্রতিচ্ছবি আমরা আজকে দেখেছি।’
প্রোগ্রাম শেষে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পুরো আয়োজনের বিস্তারিত জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে বিসিবি। যেখানে প্রধান কোচ ফিল সিমন্ম, ওয়ানডে অধিনায়ক মিরাজ ও টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক লিটন নিজেদের মতামত জানিয়েছেন। লিটনের বিশ্বাস নিজেদের কাজ ও এফোর্টের প্রতি ফোকাসড থাকলে সামনে ভালো ফলাফল করা সম্ভব। মিরাজের কাছে নিজেদের শক্তির জায়গাগুলো কাজে লাগানো গুরুত্বপূর্ণ।
এ প্রসঙ্গে টি-টোয়েন্টি লিটন বলেন, ‘প্রতিদিন আমরা মাঠে যে কঠোর পরিশ্রম করি সেটা সবাই দেখে। কিন্তু অনেকেই দেখেন না প্রক্রিয়ার ভেতরে কী হচ্ছে। আমাদের জন্য ব্যাপারটা হচ্ছে আমাদের এফোর্টের দিক থেকে সৎ থাকা এবং পুরো জার্নিটাকে বিশ্বাস করা। আমরা যদি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ও ফোকাসড থাকি, আমার বিশ্বাস সামনের দিনে আমাদের ডেডিকেশন ফলাফলে রূপান্তর হবে।’
ওয়ানডে অধিনায়ক মিরাজের ভাবনা, ‘একজন খেলোয়াড় হিসেবে যখন সারা বছর সমর্থন পাই তখন আমরা সবচেয়ে বেশি লাভবান হই। এজন্য বিনিয়োগ করা এবং স্থানীয় স্টাফদের উন্নতি করা গুরুত্বপূর্ণ। পাশাপাশি আমাদের যে জ্ঞান এবং রিসোর্স আছে সেগুলোও ব্যবহার করা গুরুত্বপূর্ণ। আমরা যখন আমাদের এই শক্তির জায়গাগুলো একত্রে করি এবং এমন একটা পরিবেশ তৈরি করে যেখানে খেলোয়াড়রা সত্যিকার অর্থে বেড়ে উঠতে পারে এবং নিজেদের সেরাটা দিয়ে পারফর্ম করতে পারে।’