তোমরা বিশ্বকাপে উঠে গেছো, জ্যোতিকে ফোন করে বলেছিলেন পাকিস্তানের ফাতিমা

ছবি: নিগার সুলতানা জ্যোতি (বামে) ও ফাতিমা সানা (ডানে)

নারী বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে বাংলাদেশের শুরুটা হয়েছিল দারুণভাবে। প্রথম তিন ম্যাচ জিতে ভারত বিশ্বকাপ খেলার খুব কাছেই ছিল বাংলাদেশের মেয়েরা। চতুর্থ ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারাতে পারলেই কারও দিকে তাকিয়ে থাকতে হতো না তাদের। অথচ পুরো টুর্নামেন্ট জুড়ে দারুণ ক্রিকেট খেলা জ্যোতিরা হেরে বসলেন সেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গেই। যাদের সঙ্গে সিরিজ হেরে সরাসরি বিশ্বকাপ খেলার সুযোগ হাত ছাড়া করেছিলেন টুর্নামেন্টের কয়েকমাস আগেই।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে একই গ্রুপে ভারত, পাকিস্তান ও অস্ট্রেলিয়া
১৮ জুন ২৫
শেষ ম্যাচে পাকিস্তানকে হারাতে পারলেও বিশ্বকাপের টিকিট পেতেন বাংলাদেশের মেয়েরা। তবে প্রথম চার ম্যাচের চারটিতেই জেতা পাকিস্তানের সঙ্গেও পেরে উঠতে পারেননি জ্যোতিরা। শেষের দুই ম্যাচ হেরে বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে যাওয়ার শঙ্কায় ছিলেন তারা। যদিও ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও থাইল্যান্ড ম্যাচ হওয়ার আগে পয়েন্ট টেবিলের দুইয়েই ছিল বাংলাদেশ। থাইল্যান্ডকে হারিয়ে বিশ্বকাপের খুব কাছেও ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
১৬৭ রানের লক্ষ্য ছুঁতে হতো ১০ ওভারে। স্কোর সমান হয়ে যাওয়ার পর ছক্কা মারলে ১১ ওভারে জিতলেই চলত। এমন সময় ১১তম ওভারের পঞ্চম বলে ছক্কা মেরে দলকে জেতান অধিনায়ক স্টেফানি টেলর। ছক্কা মারতে হতো ১১তম ওভারের শেষ বলে। সেই শর্ত পূরণ করতে না পারায় নেট রানরেটে বাংলাদেশকে টপকে যেতে পারেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ। যার ফলে শেষের দুই ম্যাচ হেরেও বিশ্বকাপে জায়গা করে নেয় বাংলাদেশ।

কলম্বোতে পাকিস্তান, আর বেঙ্গালুরুতে ভারতের বিপক্ষে খেলবে বাংলাদেশ
১৬ জুন ২৫
বিশ্বকাপে জায়গা করে নেয়ার খবর ফাতিমার কাছে শুনতে পেয়েছিলেন জ্যোতি। ম্যাচ শেষ হতে না হতেই বাংলাদেশের অধিনায়ককে ফোন করেছিলেন পাকিস্তানের অধিনায়ক। সম্প্রতি এক পডকাস্টে জ্যোতি বলেন, ‘ব্যাপারটা হচ্ছে, আমি প্রথম কলটা পেয়েছিলাম পাকিস্তানের অধিনায়ক ফাতিমা সানার কাছ থেকে। সে এবং সিদরা আমিনসহ আরও বেশ কয়েকজন খেলোয়াড় ছিল তখন।’
‘তারা ফোন করেই আমাকে বলে, ‘ইয়েস, তোমরা বিশ্বকাপের টিকিট পেয়ে গেছো।’ আমি বলি, ‘সত্যি বলছো?’ তোমরা কী বলছো?’ তখন প্রতিউত্তরে বলে, ‘হ্যাঁ, তোমরা বিশ্বকাপে উঠে গেছো।’ এটা আমার জন্য বিশেষ একটা মুহূর্ত ছিল। কারণ এটা দ্বিতীয়বারের মতো আমরা ওয়ানডে বিশ্বকাপ খেলতে যাচ্ছি।’
কদিন আগেই বিশ্বকাপের ভেন্যু ও সময় প্রকাশ করেছে আইসিসি। ৩০ সেপ্টেম্বর বেঙ্গালুরুতে পর্দা উঠবে নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপের ১৩তম আসরের। উদ্বোধনী দিনেই মাঠে নামবে স্বাগতিক ভারত। রাউন্ড রবিন পদ্ধতিতে হবে মোট ২৮ ম্যাচ। ৮ দলের টুর্নামেন্টে পয়েন্ট টেবিলের সেরা চারে থাকা দলগুলো জায়গা করে নেবে সেমিফাইনালে।
আইসিসির প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, ২৯ অক্টোবর হবে প্রথম সেমিফাইনাল। পরদিন ৩০ অক্টোবর হবে দ্বিতীয় সেমিফাইনাল। ভারতের বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়াম, গুয়াহাটির এসিএ স্টেডিয়াম, ইন্দোরের হলকার স্টেডিয়াম, বিশাখাপত্তনমের এসিএ-ভিডিসিএ স্টেডিয়ামের পাশাপাশি শ্রীলঙ্কার কলম্বোতে হবে বিশ্বকাপে। সমঝোতা চুক্তি অনুযায়ী পাকিস্তান সবগুলো ম্যাচ খেলবে কলম্বোতে।