ব্যাটে-বলে আধিপত্য দেখিয়ে ইংল্যান্ডকে উড়িয়ে দিলো অস্ট্রেলিয়া

ছবি:

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
কিছুদিন আগে আইপিএলে প্রায় নিয়মিতই দেখা গেছে দুইশ রানের ঝলক। এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সেটা দেখা যায়নি শুরু থেকে। অবশেষে ১৭তম ম্যাচে দেখা গেল দুইশ রান। ব্রিজটাউনে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে আগে ব্যাটিং করে অস্ট্রেলিয়া তোলে ৭ উইকেটে ২০১ রান। জবাবে ইংল্যান্ডের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ১৬৫ রান। ম্যাচটি ৩৬ রানে জিতেছে মিচেল মার্শের দল।
অস্ট্রেলিয়ার ইনিংসের শুরুটা ছিল দারুণ। ট্রাভিস হেড ও ডেভিড ওয়ার্নার মিলে ৫ ওভারের মধ্যেই তোলেন ৭০ রান। পুরো আইপিএলে অফ-ফর্মে থাকলেও সেই ম্যাচে পাওয়া গেছে পুরানো ওয়ার্নারকে। ১৬ বলে চারটি ছক্কা এবং দুটি চারে ৩৯ রান আসে অজি এই ওপেনারের ব্যাটে।
সঙ্গে দুরন্ত ছন্দে থাকা হেড করেন তিনটি ছক্কা ও দুটি চারে ১৮ বলে ৩৪ রান। ৫.৪ ওভারের মধ্যেই দলীয় ৭৪ রানে এই দুজন বোল্ড হন। ওয়ার্নারকে ফেরান মঈন আলী, হেডকে জফরা আর্চার। দুই ওপেনারের রানের গতি বজায় থাকে মিচেল মার্শ, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ও মার্কাস স্টইনিসের ব্যাটেও।

মার্শ ২৫ বলে ৩৫, ম্যাক্সওয়েল ২৫ বলে ২৮ এবং স্টইনিস ১৭ বলে ৩০ রান করে অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস বয়ে নিয়ে যান। শেষদিকে ম্যাথু ওয়েড ১০ বলে অপরাজিত ১৭ রান করলে দুইশ রান ছাড়ায় অস্ট্রেলিয়া। বর্তমান বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের হয়ে ৪৪ রান খরচায় দুই উইকেট নেন ক্রিস জর্ডান।
কেনসিংটন ওভালে ২০১ রান তাড়ায় ইংল্যান্ডের শুরুটাও উপভোগ্য ছিল। ফিল সল্ট ও জস বাটলার উদ্বোধনী জুটিতে ৭ ওভারে তোলেন ৭৩ রান। যদিও অ্যাডাম জাম্পার পরপর দুই ওভারে ফিরে যান সল্ট ও বাটলার।
নিজের প্রথম বলেই ২৩ বলে ৩৭ রান করা সল্টকে বোল্ড করেন জাম্পা। পরের ওভারে ফেরান ২৮ বলে ৪২ রান করা বাটলারকে। তবুও দশ ওভারের মধ্যে ৯০ রান পেরিয়ে যায় ইংল্যান্ড। তবে দুই ওপেনারের বিদায়ে রানের গতি কিছুটা কমে আসে দলটির।
ম্যাচের মাঝের দিকে নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেন অস্ট্রেলিয়ার পেসাররা। যার কারণে ইংল্যান্ড হারাতে থাকে উইকেটও। উইল জ্যাকস ১০ বলে ১০, জনি বেয়ারস্টো ১৩ বলে ৭ রান করে ফিরে যান। ম্যাক্সওয়েলের এক ওভারে মঈন তিনটি ছক্কা মেরে অবশ্য সবাইকে নাড়িয়ে দেন।
যদিও ১৫ বলে ২৫ করে ফিরে গেছেন তিনি। এরপর আর কোনো রোমাঞ্চই ছিল না এই ম্যাচে। বড় হারে মাঠ ছাড়ে বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। অজিদের হয়ে জাম্পা ছাড়াও দুই উইকেট নেন প্যাট কামিন্স। দুই ম্যাচের দুটিতেই জিতে অস্ট্রেলিয়ার পয়েন্ট ৪। তিন পয়েন্ট নিয়ে এই গ্রুপের দ্বিতীয় স্থানে স্কটল্যান্ড।