‘আফগানিস্তানে ১ হাজারের বেশি লেগ স্পিনার আছে’

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
আইসিসি র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষে গিল-থিকশানা, পেছালেন বাবর-রশিদ
১৯ ফেব্রুয়ারি ২৫
আফগানিস্তান থেকে উঠে এসে বিশ্ব ক্রিকেট মাতিয়ে বেড়াচ্ছেন রশিদ খান। ডানহাতি এই স্পিনারের ঘূর্ণিতে নাকানিচুবানি খাচ্ছেন বিশ্বের বাঘা বাঘা ব্যাটাররা। আফগানিস্তানের জার্সিতে খেলার পাশাপাশি ফ্র্যাঞ্চাইজিতেও নিয়মিত দাপট দেখাচ্ছেন রশিদ। বিশ্বের এমন কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট নেই যেখানে তার কদর নেই। শুধু রশিদ নয়, স্পিনে দাপট দেখাচ্ছেন মুজিব উর রহমান, কাইস আহমে, জহির খান কিংবা নূর আহমেদের মতো স্পিনাররা।
আফগানিস্তানের বেশিরভাগ লেগ স্পিনাররা বিশ্বের বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট মাতাচ্ছেন। আইপিএলের এবারের আসরে একই দলের হয়ে ঝলক দেখাচ্ছেন রশিদ ও নূর। গুজরাট টাইটান্সের বেশিরভাগ ম্যাচে অবদান রাখছেন এই আফগান জুটি। রাজস্থান রয়্যালসের বিপক্ষে গুজরাটকে জেতানোর পর রশিদ জানালেন, আফগানিস্তানে আরও ১ হাজারের বেশি লেগ স্পিনার রয়েছে।

ঘরের মাঠে গুজরাটের বিপক্ষে মাত্র ১১৮ রানে গুটিয়ে যায় রাজস্থান। যেখানে সবচেয়ে বড় অবদান রশিদ ও নূরের। তারা দুজনে মিলে ৭ ওভারে ৩৯ রান দিয়ে ৫ উইকেট নিয়েছেন। রশিদ ৪ ওভারে ১৪ রান দিয়ে তিনটি আর নূর তিন ওভারে ২৫ রানে শিকার করেছেন দুটি উইকেট।
পছন্দের দল হারে জেনেও ফাইনালে শেবাগের সমর্থন বেঙ্গালুরুতে
১ ঘন্টা আগে
গুজরাটের জার্সিতে সবশেষ ৬ ম্যাচে জুটি বেঁধে পারফর্ম করছেন রশিদ ও নূর। যেখানে তারা দুজনে মিলে নিয়েছেন ১৯ উইকেট। রশিদের ৯টি আর নূরের ঝুঁলিতে আছে ১০টি উইকেট। এদিকে রাজস্থানের বিপক্ষে জেতার দিনে ম্যাচ সেরা হয়েছেন রশিদ।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে হার্শা ভোগলে জানতে চেয়েছিলেন আফগানিস্তানে আরও কতজন লেগ স্পিনার আছে? এমন প্রশ্নের জবাবে রশিদ বলেন, ‘সত্যি বলতে এখনও ১ হাজারের বেশি লেগ স্পিনার আছে।’ এটা অবশ্য বিশ্বাস করতে খানিকটা কষ্টই হচ্ছিলো ভোগলের।
পরোক্ষণে অবশ্য আফগানিস্তানের লেগ স্পিনারদের গল্প শোনান রশিদ। ডানহাতি এই লেগ স্পিনার বলেন, ‘আমি অনেক একাডেমি গিয়েছি। সেখানে অনেক লেগ স্পিনার, চায়নম্যান (বাঁহাতি লেগ স্পিনার) আছে। একটি একাডেমিতেই ২৫০ জন ছিল। সেটি ছিল আইপিএলে আমার প্রথম বছর। তো এর প্রভাবই পড়েছিল দেশে। আমি এখন ৬-৭ বছর আইপিএল খেলে ফেলেছি। নিশ্চিতভাবেই (লেগ স্পিনার) আরও বেড়েছে।’
‘অনেক তরুণ বোলারের অনেক বার্তা ও ভিডিও পাচ্ছি। তারা দারুণ। তবে এখন তাদের সুযোগ পাওয়ার অপেক্ষা। এখন মুজিব (উর রহমান), জহির খান, কাইস আহমেদরা এই লিগে খেলার সুযোগ পায়নি। তবে ভবিষ্যতে সুযোগ পেলে আমার মনে হয় তারাও খুব কার্যকর হবে।’