অলরাউন্ড পারফর্মেন্সে ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে বাংলাদেশ

ছবি: ছবি- সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানদের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে উইন্ডিজদের বিপক্ষে পাঁচ উইকেটের জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। সোমবার ডাবলিনে অনুষ্ঠিত এই ম্যাচ জয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখেই ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে টাইগাররা।
ব্যাটসম্যানদের জন্য পথটা সহজ করে দিয়েছিলেন দলের দুই পেসার মাশরাফি বিন মর্তুজা এবং মুস্তাফিজুর রহমান। দুইজন মিলিতভাবে সাত উইকেট নিয়ে উইন্ডিজদের আড়াইশ রানের নিচে থামিয়ে দিয়েছিলেন। বাংলাদেশের সামনে লক্ষ্য দাঁড়িয়েছিল ২৪৮ রানের।
বোলারদের পর ব্যাটসম্যানরা ৪৭.২ ওভারে জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে। এ ম্যাচে ওপেনার তামিম ইকবাল (২১) বড় ইনিংস খেলতে ব্যর্থ হলেও ব্যক্তিগত অর্ধশতক তুলে নিয়েছিলেন আরেক ওপেনার সৌম্য সরকার। ৫৪ রানের ইনিংস খেলে অ্যাশলে নার্সের বলে আউট হয়েছিলেন বাঁহাতি এই ওপেনার। তামিমকেও সাজঘরে ফিরিয়েছিলেন নার্স।
বাংলাদেশ দলের হয়ে সর্বোচ্চ রানের ইনিংসটি খেলেছেন উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম। ৬৩ রানের ইনিংস খেলেছিলেন মুশফিক। তিনে নেমে ভালো শুরুর পর নিজের ইনিংস বড় করতে পারেন নি সহঅধিনায়ক সাকিব আল হাসান। ২৯ রান করে নার্সকেই উইকেট দিয়েছেন তিনি।
মোহাম্মদ মিঠুনও দলের জয়ে রেখেছেন অবদান। ৪৩ রানের ইনিংস খেলে মুশফিকের সাথে দারুণ একটি জুটি গড়েছিলেন তিনি। শেষের দিকে এসে অপরাজিত ৩০ রানের ইনিংস খেলে দলকে পাঁচ উইকেটের জয় এনে দেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ।
উইন্ডিজদের হয়ে দুর্দান্ত বোলিং করেছেন নার্স। তিনি একাই নিয়েছেন তিনটি উইকেট। কেমার রোচ এবং জেসন হোল্ডার একটি করে উইকেট নিয়েছেন।

এদিন টসে জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল উইন্ডিজ। শাই হোপ এবং অধিনায়ক জেসন হোল্ডারের ব্যাটে সম্মানজনক পুঁজি পেয়েছে তাঁরা। নির্ধারিত ৫০ ওভার ৯ উইকেটের বিনিময়ে ২৪৭ রান সংগ্রহ করেছিল তারা।
ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকেই দেখে শুনে খেলতে থাকেন দুই ক্যারিবিয়ান ওপেনার শেই হোপ ও সুনীল অ্যামব্রিস। এই দুজনের ব্যাটে উড়ন্ত সূচনা পায় উইন্ডিজ।
দুজনে যোগ করেন ৩৭ রান। ২৩ রান করা অ্যামব্রিস মাশরাফির বলে স্লিপে সৌম্যর দুর্দান্ত ক্যাচে আউট হয়েছেন। এরপর একপ্রান্ত আগলে রেখে খেলেছেন শেই হোপ।
মাশরাফির করা দশম ওভারের চতুর্থ বলে শর্টে ড্যারেন ব্রাভোর সহজ ক্যাচ ছাড়েন মেহেদী হাসান মিরাজ। এরপর বোলিংয়ে এসে সেই ব্রাভোকে ব্যক্তিগত ৬ রানে লেগ বিফোরের শিকার বানিয়ে আউট করেছেন মিরাজ।
বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি রস্টন চেজ। তিনি ১৯ রান করে শর্টে মাহমুদুল্লাহকে ক্যাচ দিয়েছেন সাকিবের বলে। পঞ্চম উইকেটে জেসন হোল্ডারকে নিয়ে ১০০ রানের জুটি গড়েন হোপ।
৮৭ রান করা হোপকে মুশফিকের ক্যাচ বানিয়ে এই জুটি ভাঙেছেন মাশরাফি। এরপর দ্রুত আরও বেশ কয়েকটি উইকেট হারিয়েছে উইন্ডিজ। হোপকে ফেরানোর পর ৬২ রান করা হোল্ডারকেও নিজের শিকার বানিয়েছেন মাশরাফি।
৭ রান করা ফ্যাবিয়ান অ্যালেনকে লেগ বিফোরের শিকার বানিয়ে আউট করেছেন সাকিব। ১৪ রান করে নার্স সাব্বিরের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন মুস্তাফিজের বলে। একই ওভারে রেমন রেইফারকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলে আউট করেছেন মুস্তাফিজ।
শেষ দিকে কটরেল ৭ ও রোচ ২ রানে অপরাজিত থাকলেও দলের সংগ্রহ বড় করতে পারেননি।
সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ
উইন্ডিজঃ ২৪৭/৯, ওভারঃ ৫০
হোপ ৮২, হোল্ডার ৬২; মুস্তাফিজুর ৪/৪৩, মাশরাফি ৩/৬০
বাংলাদেশঃ ২৪৮/৫, ওভারঃ ৪৭.২
মুশফিক ৬৩, সৌম্য ৫৪; নার্স ৩/৫৩, হোল্ডার ১/৪৩