গত বছরের অক্টোবরে-নভেম্বরে সিরিজ জেতার আগের ৩৬ বছরে ভারতে টেস্ট জয়ের কীর্তি ছিল না নিউজিল্যান্ডের। অথচ ব্যাটে-বলে ভারতকে দুঃস্বপ্নের মতো সময় উপহার দিয়েছে কিউইরা। দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে ভারতকে হোয়াইটওয়াশ করেন টম লাথাম, ম্যাট হেনরিরা। নিউজিল্যান্ডের মতো ওয়েস্ট ইন্ডিজের চিত্রটাও একই রকম।
গত ৪২ বছরে ভারতের মাটিতে কোনো টেস্ট সিরিজ জিততে পারেনি তারা। ভারতের মাটিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সবশেষ টেস্ট সিরিজ জিতেছে ১৯৮৩ সালে। সেবার ক্লাইভ লয়েডের অধীনে ৬ ম্যাচের টেস্ট সিরিজে ৩-০ ব্যবধানে জয় পেয়েছিল সফরকারীরা। এদিকে ২০০২ সালের পর ভারতের বিপক্ষে টেস্ট জয়ের রেকর্ডই নেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের। এত বছরের অপেক্ষার অবসান ঘটাতে মুখিয়ে আছে তারা।
যদিও সাম্প্রতিক সময়ে টেস্টে ভালো করতে পারছে না ওয়েস্ট ইন্ডিজ। কিছুদিন আগেও ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়ার কাছে তিন টেস্টের সিরিজে সবকটিতে হেরেছে তারা। তবে ভারতের মাটিতে নিউজিল্যান্ডের পাওয়া জয় থেকে অনুপ্রেরণা খুঁজছেন স্যামি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রধান কোচের চাওয়া, কিউইদের অনুসরণ করে ভারতের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ জিতবেন তারা।
এ প্রসঙ্গে স্যামি বলেন, ‘আমরা অবশ্যই সেখানে (ভারতে) জয়ের মানসিকতা নিয়ে যাচ্ছি। আমরা শুধু এভাবে ভাবতি যাচ্ছি না যে, ‘আচ্ছা, এটা তো ভারত।‘ না। নিউজিল্যান্ড সেখানে গিয়ে দারুণ খেলেছে এবং আমাদেরও সেটি থেকে অনুপ্রেরণা নেয়া উচিত। তবে আবারও বলি, ওই কন্ডিশনে নিউজিল্যান্ড যেসব কাজ করেছে সেগুলো বোঝা এবং আমাদের ছেলেদের দিয়েও সেগুলো অনুসরণ করানোর চেষ্টা করা জরুরি।’
দুই টেস্টের সিরিজ খেলতে আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর ভারত যাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ২ অক্টোবর আহমেদাবাদে শুরু হবে সিরিজের প্রথম টেস্ট। ফলে সিরিজ শুরুর আগে সপ্তাহখানেকের বেশি সময় অনুশীলন করার সুযোগ পাবেন তারা। কন্ডিশন সম্পর্কে ধারণা নিতে সময়টা কাজে লাগাতে চান স্যামি। সেই সঙ্গে ভারতকে কিভাবে হারানো যায় সেটার পরিকল্পনাও করতে চান ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রধান কোচ।
স্যামি বলেন, ‘আমার দিক থেকে বললে (ভারতে) প্রথম টেস্ট ম্যাচের আগে যে ১০ দিন সময় আছে। সেই সময়টুকুতে আমরা সবকিছু নিয়ে কঠোর পরিশ্রম করবো এবং খুব ভালোভাবে পরিকল্পনা করবো কীভাবে ভারতে গিয়ে ভারতকে হারানো যায়।’