টেস্টে ‘ইনজুরি বদলি’ চাওয়া গম্ভীরের, ‘হাস্যকর’ বলছেন স্টোকস

ছবি: বেন স্টোকস (বামে) ও গৌতম গম্ভীর (ডানে), ফাইল ফটো

প্রথম ইনিংসে ভারতীয় উইকেটরক্ষক ব্যাটার ঋষভ পান্তের পায়ে চোট লাগে। স্ক্যান করে দেখা যায় তার আঙুলে চিড়। এরপরই চতুর্থ টেস্ট শেষে সংবাদ সম্মেলনে স্টোকসকে প্রশ্ন করা হয়, এ ধরনের গুরুতর ইনজুরির ক্ষেত্রে কি বদলি খেলোয়াড়ের অনুমতি দেয়া উচিত?
স্টোকসকে গম্ভীরের প্রশ্ন, ‘ইংল্যান্ডের কেউ ৮৫-৯০ রানে থাকলে মাঠ ছাড়তো?’
৭ ঘন্টা আগে
স্টোকস বলেন, 'আমি মনে করি, ইনজুরি বদলি নিয়ে আলোচনা করাটাই একেবারেই হাস্যকর। আপনি একাদশ নির্বাচন করেন পুরো ম্যাচের জন্য। ইনজুরি তো খেলারই অংশ। আমি পুরোপুরি সমর্থন করি কনকাশন রিপ্লেসমেন্টকে। খেলোয়াড়ের নিরাপত্তা, স্বাস্থ্যের প্রশ্ন আসে সেখানে। কিন্তু ইনজুরি হলে বদলি দেয়া যাবে— এই আলোচনা এখানেই থামা উচিত।'
তিনি আরও বলেন, 'এই নিয়ম চালু হলে ফাঁকফোকর থেকে যাবে। আপনি যদি আমাকে এমআরআই স্ক্যানারে পাঠান, ওখানেই কিছু একটা পাওয়া যাবে। আর আমি সঙ্গে সঙ্গে রিপ্লেসমেন্ট দাবি করতে পারব। এটা যদি চালু হয়, তাহলে যে কোনো পেসার বলবে, ‘হ্যাঁ, হাঁটুতে সামান্য ইনফ্ল্যামেশন আছে’, ব্যস—নতুন বোলার চলে আসবে। আমি বলব, এই আলোচনা একেবারেই বন্ধ করে দেয়া উচিত।'

‘যা চেয়েছো নির্বাচকরা সবই দিয়েছে, এবার রেজাল্ট এনে দাও’
২৮ জুন ২৫
বর্তমান আইসিসি নিয়ম অনুযায়ী, শুধুমাত্র কনকাশনের ক্ষেত্রে ম্যাচ চলাকালীন বিকল্প খেলোয়াড় নামানোর অনুমতি আছে। তবে পায়ের আঙুল ভাঙা বা অন্যান্য বাহ্যিক ইনজুরির ক্ষেত্রে রিপ্লেসমেন্ট অনুমোদিত নয়।
এদিকে ভারতের কোচ গৌতম গম্ভীর স্টোকসের সঙ্গে একমত নন। তিনি বলেন, 'আমি সম্পূর্ণভাবে ইনজুরি রিপ্লেসমেন্টের পক্ষে। যদি আম্পায়ার ও ম্যাচ রেফারি মনে করেন যে ইনজুরিটা গুরুতর, তাহলে বদলি দেয়া একদম জরুরি। বিশেষ করে যখন ইনজুরিটা চোখে দেখা যায়, তখন এতে কোনও সমস্যা দেখি না।'
গম্ভীর আরও বলেন, 'এটা তো এমন একটা সিরিজ, যেখানে আগের তিনটা টেস্টেই হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছে। এখন আপনি কল্পনা করুন, যদি আমাদের ১১ জনের বদলে ১০ জন নিয়ে খেলতে হতো, তাহলে সেটা কতটা দুর্ভাগ্যজনক হতো আমাদের জন্য।'