স্টোকসকে গম্ভীরের প্রশ্ন, ‘ইংল্যান্ডের কেউ ৮৫-৯০ রানে থাকলে মাঠ ছাড়তো?’

ছবি: গৌতম গম্ভীর (বামে) ও বেন স্টোকস (ডানে), ফাইল ফটো

প্রথম ইনিংসে দ্রুত দুই ওপেনার হারিয়ে চাপে পড়ে ভারত। এরপর লোকেশ রাহুল ও শুভমান গিল মিলে গড়েন ৬০ ওভারের বড় জুটি, চতুর্থ দিনের খেলা চলাকালীন যা কিছুটা স্থিতি এনে দেয়।
টেস্টে ‘ইনজুরি বদলি’ চাওয়া গম্ভীরের, ‘হাস্যকর’ বলছেন স্টোকস
৪ ঘন্টা আগে
কিন্তু সেই জুটি চতুর্থ দিনের প্রথম সেশনেই ভেঙে গেলে ম্যাচ আবার ইংল্যান্ডের নিয়ন্ত্রণে চলে যায়। এরপর পরিস্থিতি পাল্টে দেন জাদেজা ও ওয়াশিংটন। দু’জন মিলে ২০০'র বেশি রানের জুটি গড়ে পুরো দুই সেশন ব্যাট করেন এবং ইংল্যান্ডের জয় প্রায় অসম্ভব করে তোলেন।
জাদেজা তখন ব্যাট করছিলেন ৮৯ রানে, ওয়াশিংটনের সংগ্রহ ৮০। এমন সময় বেন স্টোকস বুঝে যান যে ম্যাচ জেতা আর সম্ভব নয়। তাই তিনি ভারতীয়দের ড্র মেনে নিতে হাত মেলানোর প্রস্তাব দেন। কিন্তু ভারতের দুই ব্যাটার তখন সেটি মানতে নারাজ।
কেননা তারা চাচ্ছিলেন নিজেদের ইনিংসের স্বীকৃতি শতরান দিয়ে পরিপূর্ণ করতে। ইংল্যান্ডের খেলোয়াড়রা বিষয়টিতে অসন্তোষ প্রকাশ করেন। স্টোকস তখন জাদেজাকে হ্যারি ব্রুকের মতো পার্ট টাইম বোলারের বিপক্ষে ব্যাট করতে বলেন, যাতে শতরানটা দ্রুত হয়ে যায়।

‘যা চেয়েছো নির্বাচকরা সবই দিয়েছে, এবার রেজাল্ট এনে দাও’
২৮ জুন ২৫
অবশেষে দুজনই শতরান পূর্ণ করেন। তারপরেই ম্যাচ ড্র ঘোষণা করা হয়। তবে শেষ বেলাতেও স্টোকসের মুখে ছিল অসন্তোষের ছাপ। ম্যাচ শেষে সংবাদ মাধ্যমে এ নিয়ে মুখ খোলেন গৌতম গম্ভীর।
ভারতের প্রধান কোচ বলেন, 'যদি একজন ৯০ রানে ব্যাট করে আর আরেকজন ৮৫-তে থাকে, তাহলে কি তারা শতরান পাওয়ার যোগ্য নয়? তারা কি তখন মাঠ ছেড়ে চলে যেত? যদি ইংল্যান্ডের কোনো ব্যাটার ৯০ বা ৮৫ রানে থাকতেন, আর প্রথম টেস্ট শতরান করার সুযোগ থাকত, তাহলে কি আপনারা তাকে সেই সুযোগটা দিতেন না?'
'দেখুন, এটা সম্পূর্ণ তাদের (জাদেজা ও ওয়াশিংটন) সিদ্ধান্ত। ওরা যেভাবে খেলতে চায়, সেটাই ঠিক। আমার মতে, দুজনই শতরান পাওয়ার যোগ্য ছিল এবং তারা সেটা পেয়েছে।'
খেলা শেষে এ নিয়ে স্টোকস বলেন, 'ভারত চাপে ছিল। আমরা জেতার সুযোগ পেয়েছিলাম। কিন্তু ওদের জুটি আমাদের আটকে দিল। জাদেজা ও ওয়াশিংটন দুর্দান্ত খেলেছে। আমার মনে হয়, কঠিন পরিস্থিতিতে ৮০-৯০ অপরাজিত থেকে দলকে বাঁচিয়ে মাঠ ছাড়ার থেকে বেশি তৃপ্তি শতরান দিতে পারে না।'
'তোমরা দলের জন্য কী করেছ দেখো। তোমরাও জানো, ১০ রান না করলে কিছু বদলে যেত না। যে কঠিন পরিস্থিতি থেকে তোমরা সিরিজ় হারের হাত থেকে দলকে বাঁচিয়েছ, তার গুরুত্ব শতরান দিয়ে মাপা যায় না।'