রাসেলের বিদায়ী ম্যাচে অস্ট্রেলিয়াকে জেতালেন ইংলিস-গ্রিন

ছবি: আন্দ্রে রাসেলের বিদায়ী ম্যাচে অস্ট্রেলিয়াকে জেতালেন ইংলিস-গ্রিন, ফাইল ফটো

কিন্তু বিদায়ী ম্যাচটি স্মরণীয় হলো না ফলাফলের দিক থেকে। দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ভর করে অস্ট্রেলিয়া ৮ উইকেটের বিশাল জয়ে সিরিজ নিজেদের করে নেয়। প্রথমে ব্যাট করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ তুলেছিল আট উইকেটে ১৭২ রান। জবাবে মাত্র ৯২ বলেই লক্ষ্য ছুঁয়ে ফেলে সফরকারীরা, হাতে থাকে আরও ২৮টি বল।
মনে হয়েছে এখনই থেমে যাওয়ার সময়: রাসেল
২ ঘন্টা আগে
অস্ট্রেলিয়ার জয়ের নায়ক জস ইংলিস ও ক্যামেরন গ্রিন। তৃতীয় উইকেটে এই দুই ব্যাটার গড়েন ১৩১ রানের জুটি, যা অজিদের টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে তৃতীয় উইকেটের সবচেয়ে বড় জুটি। পুরোনো রেকর্ড ছিল ২০১৪ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে ১১৮ রানের জুটিটি, যা গড়েছিলেন অ্যারন ফিঞ্চ ও গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। আজ সে রেকর্ডও পেছনে ফেলল ইংলিশ-গ্রিন জুটি।
৩৩ বলে ৭৮ রানে অপরাজিত থাকেন ইংলিস। ৩২ বলে ৫৬ রানে অপরাজিত ছিলেন ক্যামেরন গ্রিন। বিদায়ী ম্যাচে এক ওভার বোলিং করে ১৬ রান খরচা করেন রাসেল। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে জিততে না পারলেও ব্যাট হাতে আলো ছড়িয়েছেন তিনি।

শেষ আন্তর্জাতিক ইনিংসে ১৫ বলে তার খেলা ৩৬ রানের ইনিংসে ছিল চারটি বিশাল ছক্কা ও দুটি চার, স্ট্রাইক রেট ২৪০! ইনিংসের সেই মুহূর্তেই ম্যাচের উত্তেজনা চূড়া ছুঁয়েছিল। তার ক্যামিও ইনিংসেই লড়াইয়ের মতো স্কোর পায় স্বাগতিকরা। এ ছাড়া ৩৬ বলে ৫১ রান আসে ব্রেন্ডন কিংয়ের ব্যাটে। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ২৯ রান খরচায় তিন উইকেট নেন অ্যাডাম জাম্পা।
ওয়েনের অলরাউন্ড নৈপুণ্যে জয়ে সিরিজ শুরু অস্ট্রেলিয়ার
২১ জুলাই ২৫
ম্যাচ শুরুর আগে দুই দলের ক্রিকেটারদের কাছ থেকে রাসেল পান ‘গার্ড অব অনার’। স্টেডিয়ামে দাঁড়িয়ে, মাথা নত করে, হাততালিতে বরণ করে নেয়া হয় ক্যারিবীয় দানবকে। আর ম্যাচ শেষেও সতীর্থরা সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে যান।
৩৭ বছর বয়সী এই অলরাউন্ডার আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার শেষ করছেন ১৪৩টি ম্যাচ খেলে। যার মধ্যে একটি টেস্ট, ৫৬টি ওয়ানডে এবং ৮৬টি টি-টোয়েন্টি। ২০১২ ও ২০১৬ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপজয়ী দলে রাসেল ছিলেন নির্ভরতার আরেক নাম হয়ে।
ম্যাচ শেষে আবেগঘন বার্তায় রাসেল বলেন, ‘আমি ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে খেলা আমার জীবনের গর্বের অধ্যায়। মেরুন জার্সিতে আমি চেয়েছিলাম নিজের ছাপ রেখে যেতে, যেন ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য অনুপ্রেরণা হতে পারি। ঘরের মাঠে, পরিবারের সামনে খেলা আমার জন্য দারুণ অনুভূতি। আমি চেয়েছিলাম আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারটা যেন উচ্চতায় শেষ হয়।’
অবসরের আগে নিজের মতো করে ঝড় তুলে গেলেন রাসেল। হয়তো ম্যাচ জিততে পারেননি, কিন্তু মন জয় করে নিয়েছেন কোটি ভক্তের।