শাস্তি পেলেও রাগ পুষে রাখছেন না স্যামি

ছবি: ফাইল ছবি

বার্বাডোজের পেস সহায়ক উইকেটে সুবিধা করতে পারছিলেন না ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটাররা। তবে মিডল অর্ডারে সাবলীল ব্যাটিংয়ে ক্যারিবীয়দের পথ দেখান চেজ ও হোপ। তাদের দুজনকে ফিরিয়ে পথের কাঁটা সাফ করে অস্ট্রেলিয়া। তবে স্বাগতিক দুই ব্যাটারের আউট নিয়েই বিতর্ক তৈরি হয়। প্রথম ঘটনাটি ঘটে ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রথম ইনিংসের ৫০তম ওভারে। কামিন্সের দারুণ এক ডেলিভারিতে চেজকে লেগ বিফোর উইকেট দেন কেটেলবরো।
আম্পায়ারকে নিয়ে প্রশ্ন তোলায় স্যামির শাস্তি
২৯ জুন ২৫
বল ব্যাটে লেগেছে এমন ভাবনা থেকে তাৎক্ষণিকভাবে রিভিউ নেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের অধিনায়ক। টিভি আম্পায়ার হোল্ডস্টক জানান, ব্যাট ও বলের মাঝে ফাঁকা আছে। আলস্ট্রা এজে বড় কোন স্পাইক না পাওয়া গেলেও ছোট দুটি স্পাইক দেখা যায়। তাতেই চেজ এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের দাবি বল ব্যাটে লেগেছে। পরের ঘটনাটি বাউ ওয়েবস্টারের ভেতরে ঢোকা বল ব্যাটের কানায় লেগে পেছনে গেলে দারুণ এক ক্যাচ লুফে নেন অ্যালেক্স ক্যারি।

ক্যাচ ধরে মাটিতে পড়ার সময় বল ঘাস ছুঁয়ে কিনা এমন প্রশ্ন তোলা হয়। যদিও হোপকে আউট দেন হোল্ডস্টক। এমন সিদ্ধান্তের পর ড্রেসিংরুমে বসেই হতাশা প্রকাশ করেন স্যামি। প্রথম টেস্ট শেষে আম্পায়ারিং নিয়ে প্রশ্ন তোলেন চেজও। হোল্ডস্টককে নিয়ে প্রকাশ্যে সমালোচনা করায় স্যামিকে শাস্তি দেয় ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। ম্যাচ ফির ১৫ শতাংশ জরিমানা করার সঙ্গে একটি ডিমেরিট পয়েন্ট দেয়া হয়। স্যামি নিশ্চিত করেছেন, শাস্তি পেলেও তিনি রাগ পুষে রাখছেন না।
গ্রেনাডায় ফিরলেও স্লিপে ফিল্ডিং করতে পারবেন না স্মিথ
৩০ জুন ২৫
হোল্ডস্টককে শুভ কামনা জানিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের অধিনায়ক বলেন, ‘আমি রাগ পুষে রাখছি না। যা দেখেছি তার উপর ভিত্তি করেই আমি বলেছি। এর এজন্য আমাকে শাস্তি দেয়া হয়েছে। আদ্রিয়ানের জন্য শুভ কামনা জানাই। সত্যি বলতে, আমরা সবাই মানুষ। আমি আম্পায়ারদের বিরুদ্ধে নই। আমি সত্যিই চাই তাঁর জন্য ভালো একটা ম্যাচ হোক।’
প্রথম টেস্টের পর ম্যাচ অফিসিয়ালসদের পক্ষ থেকে ভুল স্বীকার করা হয়েছেও বলে নিশ্চিত স্যামি। তিনি বলেন, ‘আমি বলেছিলাম আমার খেলোয়াড়রা সংবাদ সম্মেলনে এসব প্রশ্ন নিয়ে কথা না বলুক। আমার মনে হয় এটা তাদেরকে বলানো হয়েছে। আমি যা বলেছি তা আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি। আমাদের (ম্যাচ অফিসিয়ালসদের সঙ্গে) কথা হয়েছে। তারা কিছু বিষয় স্পষ্ট করেছে। সেখানে কিছুটা ভুল ছিল সেটা তারা স্বীকার করেছে। ওইটা বার্বাডোজের ঘটনা, আমরা এখন গ্রেনাডায়। সেটা আমরা পেছনে ফেলে এসেছি।’
বার্বাডোজে শামার জোসেফ, জেইডেন সিলস এবং আলজারি জোসেফরা ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ভালো শুরুই এনে দিয়েছিলেন। তবে ব্যাটাররা সেটার ফায়দা নিতে পারেননি। দ্বিতীয় ইনিংসে অ্যালেক্স ক্যারি, ট্রাভিস হেডরা হাফ সেঞ্চুরি করে অস্ট্রেলিয়াকে তিনশ ছাড়ানো পুঁজি এনে দেন। জশ হ্যাজেলউডের আগুনে বোলিংয়ের সামনে দাঁড়াতেই পারেননি স্বাগতিকরা। ১৫৯ রানের জয়ে সিরিজে এগিয়ে অস্ট্রেলিয়া। ৩ জুলাই গ্রেনাডায় শুরু হবে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট।