আর্চারকে নিয়ে বাজি ধরেছে ইংল্যান্ড, ধারণা নাসেরের

ছবি: ফাইল ছবি

পিঠের পাশাপাশি কনুই এবং আঙুলের চোটে মাঠের বাইরেই বেশি সময় পার করেছেন আর্চার। ২০১৯ সালের আগষ্টে টেস্টে অভিষেক হওয়ায় ডানহাতি পেসার এখন পর্যন্ত খেলেছেন ১৩ টেস্ট। চোটের কারণে সাদা পোশাকের ক্রিকেটে বাইরে থাকা আর্চার ৪ বছরের বেশি সময় পর ফিরেছেন প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে।
৪ বছর পর ইংল্যান্ডের টেস্ট দলে আর্চার
২৬ জুন ২৫
২০২১ সালের মে মাসে সবশেষ প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলেছিলেন আর্চার। কেন্টের বিপক্ষে সেই ম্যাচের পর সাদা পোশাকের ক্রিকেটে খেলা হয়নি তাঁর। নানারকম চোট কাটিয়ে টি-টোয়েন্টি, ওয়ানডে এবং ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট ফিরলেও টেস্টে ছিলেন না তিনি। মূলত এক দ্রুতই আর্চারের উপর চাপ বাড়িয়ে ঝুঁকি নিতে চায়নি ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি)।
জাতীয় দলের জার্সিতে ফেরার আগে সাসেক্সের হয়ে খেলতে নামেন ডানহাতি এই পেসার। ডারহামের বিপক্ষে ব্যাটিংয়ে ৩১ রান করার পাশাপাশি নিয়েছেন একটি উইকেট। এরপরই জাতীয় দলে ডাকা হয়েছে তাকে। ইংলিশ সমর্থক হিসেবে আর্চারকে লাল বলে ইংল্যান্ডের স্কোয়াডে ফিরতে দেখে খুশি নাসের। তিনি বলেন, ‘স্বাভাবিকভাবেই আপনি যদি ইংল্যান্ডের সমর্থন হউন তাহলে জফরা আর্চারকে লাল বলের স্কোয়াডে দেখে আপনার খুশি হওয়া উচিত।’

আর্চারকে নিয়ে তাড়াহুড়ো না করার পরামর্শ ভনের
২৬ জুন ২৫
ইংলিশ সমর্থক হিসেবে খুশি হলেও নাসেরের মনে খানিকটা সংশয়ও আছে। লম্বা সময় লাল বলের ক্রিকেটে না থাকায় আচমকা আর্চারকে দলে ফেরানো কতটা ফলপ্রসূ হবে সেটা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে। ভন যেমন বলেছিলেন, জাতীয় দলে নেয়ার আগে ডানহাতি পেসারকে যেন অন্তত আরেকটি চারদিনের ম্যাচ খেলানো হয়। যদিও নির্বাচক কিংবা টিম ম্যানেজমেন্ট সেই পথে হাঁটেনি। ভনের মতো নাসেরের ভাবনাও প্রায় একই রকম।
নাসের জানান, তিনি আরও এক সপ্তাহ পর লর্ডসে ইংল্যান্ডের স্কোয়াডে নিতেন। অর্থাৎ ইংল্যান্ডের সাবেক অধিনায়কও হয়ত ঘরোয়াতে আর্চারকে আরেকটি ম্যাচ দেখতেই চেয়েছিলেন। লম্বা সময় পর টেস্টে ফেরায় ইনজুরি প্রবণ আর্চারের শরীর কতটা সায় দেয় সেটাও আলোচনার বিষয় হতে পারে। নাসের মনে করেন, আর্চারকে নিয়ে অনেকাংশেই বাজি ধরেছে ইংল্যান্ড।
এ প্রসঙ্গে নাসের বলেন, ‘আমার মনে হয় চলতি সপ্তাহের জন্য এটা অনেক বড় একটা ঝুঁকি। কিন্তু সেটা ভালোও হতে পারে। আমি জানি না জফরা আর্চারের শরীরের এখন কী অবস্থা। ঠিকঠাক গেছে এজন্য হয়ত তারা বলেছে আমরা এই সপ্তাহে খেলাবো। তারপর সমস্যা হচ্ছে কাকে বাইরে রাখবে? আমার মনে হয় বাজি ধরার জন্য ঠিক আছে। আমি জানি না এটা ভালো হবে কিনা। আমি হয়ত এটা পরের সপ্তাহে লর্ডসে করতাম।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘চার বছর পর ফিরে চলতি সপ্তাহে সাসেক্সের হয়ে মাত্র একটি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলেছে। যেখানে সে ১৮ ওভার বোলিং করেছে। আর্চার যখন ফিট থাকে সে তখন বিশ্বের অন্যতম সেরা বোলার। সে একেবারেই বক্স অফিস বোলার। তাঁর র পেস রয়েছে। কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে, লম্বা সময় ধরেই সে পুরোপুরি ফিট না। আমার মনে হয় তাকে নিয়ে তারা বাজি ধরেছে।’