একদিনে রেকর্ড ১৯ উইকেট, পাকিস্তানের লিড ২০২

আন্তর্জাতিক
একদিনে রেকর্ড ১৯ উইকেট, পাকিস্তানের লিড ২০২
ওয়েস্ট ইন্ডিজকে গুঁড়িয়ে দিতে বড় ভূমিকা রেখেছেন নোমান আলী
Author photo
ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
· ১ মিনিট পড়া
সকালের শুরুতে কেভিন সিনক্লেয়ার, জোমেল ওয়ারিকান মিলে ধসিয়ে দিলেন পাকিস্তানকে। ব্যাটিংয়ে নেমে ওয়েস্ট ইন্ডিজ গুঁড়িয়ে গেলে সেই স্পিনেই। গুড়াকেশ মোতি, ওয়ারিকান এবং জেইডেন সিলসের ব্যাটে ফলো অন এড়ালেও ১৩৭ রানে থামতে হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজকে। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে শান মাসুদের হাফ সেঞ্চুরিতে ৩ উইকেটে ১০৯ রান তুলেছে পাকিস্তান। স্বাগতিকদের লিড ছাড়িয়েছে দুইশ। এমন দিনে মুলতানে পড়েছে রেকর্ড ১৯ উইকেট। ছাড়িয়ে গেছে ২০০৩ সালে একদিনে সবচেয়ে বেশি উইকেট পড়ার রেকর্ডকে। সেবার বাংলাদেশ ও পাকিস্তান টেস্টের দ্বিতীয় দিনে দুই দল মিলে হারিয়েছিল ১৮ উইকেট।

মুলতানে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে পাকিস্তানকে দারুণ শুরু এনে দেন শান মাসুদ ও মোহাম্মদ হুরাইরা। উদ্বোধনী জুটিতে তারা দুজনে মিলে যোগ করেন ৬৭ রান। স্বাগতিকদের উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন ওয়ারিকান। বাঁহাতি স্পিনারের অফ স্টাম্পের বাইরে পড়ে ভেতরে ঢোকা ডেলিভারিতে সামনের পায়ে ভর করে ডিফেন্স করতে চেয়েছিলেন হুরাইরা। তবে ব্যাটে-বলে করতে পারেননি তরুণ এই ওপেনার। লেগ বিফোর উইকেট হয়ে ফিরতে হয় ২৯ রানে।

ঘরোয়া ক্রিকেটে আলো ছড়িয়ে পাকিস্তানের জার্সিতে অভিষেক হলেও নিজের প্রথম ম্যাচটা রাঙিয়ে রাখতে পারলেন না হুরাইরা। প্রথম ইনিংসে ডানহাতি ব্যাটার আউট হয়েছিলেন মাত্র ৬ রানে। তিনে নেমে আরও একবার ব্যর্থ হয়েছেন বাবর আজম। ওয়ারিকানের বলে পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়কও ফিরেছেন লেগ বিফোর হয়ে। প্রথম ইনিংসে ৮ রান করা বাবর এবার করেছেন ৫ রান। তাদের দুজনের বিদায়ের মাঝেও আক্রমণাত্বক ব্যাটিং করছিলেন শান মাসুদ। 

দারুণ ব্যাটিংয়ে সমান দুটি করে চার ও ছক্কায় ৬০ বলে হাফ সেঞ্চুরি করেছেন পাকিস্তানের অধিনায়ক। তবে শেষ বিকেলে রান আউট হয়ে ফিরতে হয়েছে তাকে। ওয়ারিকানের বলে পয়েন্টে ঠেলে দিয়ে এক রান নিতে চেয়েছিলেন শান মাসুদ। তবে কামরান গুলামের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউট হয়েছে ফিরতে হয়েছে ৫২ রান করা এই ব্যাটারকে। এরপর পাকিস্তানকে আর কোন উইকেট হারাতে দেননি কামরান ও সাউদ সাকিল। পাকিস্তান দিন শেষ করেছে ৩ উইকেটে ১০৯ রান তুলে।

এর আগে পাকিস্তানকে ২৩০ রানে থামিয়ে প্রথম ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ক্রেইগ বার্থওয়েট, মিকাইল লুইস, কেসি কার্টি, কাভেম হজ, অ্যালিক অ্যাথানাজেরা ফিরেছেন দ্রুতই। অষ্টম ব্যাটার হিসেবে সিনক্লেয়ার যখন আউট হলেন তখন ওয়েস্ট ইন্ডিজের রান ৬৬। এমন সময় একশর আগেই অল আউট হওয়ার শঙ্কা ছিল। তবে সেটা হতে দেননি ক্যারিবীয়দের শেষের তিন ব্যাটার। 

ওয়ারিকান ও মোতি মিলে জুটি গড়ে তোলেন। নবম উইকেটে তারা দুজনে মিলে যোগ করেন ২৫ রান। মোতি ফিরলে ভাঙে তাদের দুজনের জুটি। বাঁহাতি ব্যাটার ফিরেছেন ১৯ রানে। এরপর শেষ উইকেটে ৪৬ রান করেন ওয়ারিকান ও সিলস। শেষ ব্যাটার হিসেবে ২২ রানে ফেরেন সিলস। ওয়ারিকান অপরাজিত ছিলেন ৩১  রানের ইনিংস খেলে। পাকিস্তানের হয়ে একাই পাঁচ উইকেট নিয়েছেন নোমান আলী। চারটি উইকেট পেয়েছেন সাজিদ খান। বাকি একটি উইকেট শিকার করেছিলেন আরেক স্পিনার আবরার আহমেদ।

সকালের শুরুতে আগের দিনের ৪ উইকেটে ১৪৩ রান নিয়ে ব্যাটিংয়ে নামেন সাকিল ও মোহাম্মদ রিজওয়ান। তাদের দুজনের জুটি ভাঙেন সিনক্লেয়ার। ডানহাতি স্পিনারের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়েছেন ৮৪ রান করা সাকিল। আরেক ব্যাটার রিজওয়ান ফিরেছেন ৭১ রানের ইনিংস খেলে, সিনক্লেয়ারের বলে লেগ বিফোর হয়ে। শেষ দিকে বাকিরা কেউ দাঁড়াতে না পারায় ২৩০ রানে অল আউট হয় পাকিস্তান। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে তিনটি করে উইকেট হয়েছেন সিলস এবং ওয়ারিকান। 

আরো পড়ুন: পাকিস্তান