ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম ওভারেই তানজিদ হাসান তামিমের উইকেট হারায় বাংলাদেশ। স্কোর বোর্ডে কোনো রান যোগ হওয়ার আগে বিদায় নেন পারভেজ হোসেন ইমনও। দুজন শুন্য রানে ফেরার পর তাওহীদ হৃদয় ফিরেন ৯ বলে ৮ রান করে।
দলীয় ৩৮ রানে শেখ মেহেদীও ফিরে যান। লিটন ২৬ বলে ২৮ রান করে ফিরলে ৫৩ রানে পাঁচ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। সেখান থেকে জাকের আলী অনিকের ৩৪ বলে অপরাজিত ৪১ এবং শামিম হোসেন পাটোয়ারির ৩৪ বলে অপরাজিত ৪২ রানের ইনিংসে পাঁচ উইকেটে ১৩৯ রান করে বাংলাদেশ।
জবাবে পাওয়ার প্লে'তেই শ্রীলঙ্কা তোলে এক উইকেটে ৫৫ রান, যেখানে বাংলাদেশ তোলে তিন উইকেটে ৩০ রান। শেষ পর্যন্ত পাথুম নিশাঙ্কার ৩৪ বলে ৫০ এবং কামিল মিশারার ৩২ বলে অপরাজিত ৪৬ রানের সুবাদে ১৪.৪ ওভারেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় শ্রীলঙ্কা। ম্যাচ শেষে লিটনের উপলদ্ধি পাওয়ার প্লে'তেই হেরেছে বাংলাদেশ।
লিটন বলেন, 'আমার মনে হয় আমরা পাওয়ার প্লেতে'ই ম্যাচটা হেরে গিয়েছিলাম। উইকেট ব্যাটিংয়ের জন্য দারুণ ছিল। যদি ১৭০-১৮০ রান করতে পারতাম, তাহলে ম্যাচটা একেবারে ভিন্ন রকম হতো। ভালো উইকেটে যদি মাত্র ১৪০ রান করো, তাহলে বোলিং ও ফিল্ডিং-এ খুব ভালো করতে হয়। আমরা সেটা করতে পারিনি।'
আবুধাবির মাটিতে বাংলাদেশি সমর্থকদের ধন্যবাদ জানান লিটন। শেষ ম্যাচের গুরুত্বও ফুটে উঠে তার কণ্ঠে। হংকংকে সাত উইকেটে হারানোয় ইতোমধ্যেই দুই পয়েন্ট পেয়েছে বাংলাদেশ। আফগানিস্তানকে হারানোর পাশাপাশি এই গ্রুপের অন্যান্য ম্যাচের ফলাফল ও রান রেটেও নজর রাখতে হবে তাদের।
লিটন বলেন, 'আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচটা এখন আমাদের জন্য বাঁচা-মরার লড়াই। সকল সমর্থকদের ধন্যবাদ। আশা করি তারা আবার আসবে এবং আমাদের খেলা দেখবে।'