আফগানিস্তানের বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে মাহিশ থিকশানার জায়গায় একাদশে সুযোগ পেয়েছিলেন ওয়েলালাগে। যদিও ম্যাচটা রাঙাতে পারেননি তিনি। ৪ ওভারে ৪৯ রান খরচায় নিয়েছেন মাত্র একটি উইকেট। যেখানে শেষ ওভারে ভুলে যাওয়ার মতো বোলিং করেছেন বাঁহাতি এই স্পিনার। পেসারদের ৪ ওভারের কোটা শেষ হয়ে যাওয়ায় ২০তম ওভারে বোলিংয়ে আনা হয় তাকে।
ওয়েলালাগের প্রথম বলেই লং অনের উপর দিয়ে ছক্কা মেরেছেন নবি। দ্বিতীয় বলে ডিপ মিড উইকেট এবং তৃতীয় বলে ডানহাতি ব্যাটার ছক্কা মেরেছেন লেগ সাইড দিয়ে। পরের ডেলিভারিটা ওয়েলালাগে করেন নো বল। ফ্রি হিট পেয়ে ওয়াইড লং অফের উপর দিয়ে ছক্কা মেরেছেন নবি। পঞ্চম বলেও ছক্কা মারেন তিনি। পাঁচ বলে পাঁচ ছক্কা মারায় সুযোগ ছিল ছয়টি মারারও।
যদিও নবিকে সেই রেকর্ডে নাম লেখাতে দেননি ওয়েলালাগে। শেষ বলটি করার আগে চারিথ আসালাঙ্কা এবং ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গার সঙ্গে কিছুটা সময় পরামর্শ করে নেন তিনি। সেই বলে দুই রান নিতে গিয়ে রান আউট হয়েছেন নবি। যার ফলে সেই ওভারে ৩২ রান খরচ করেছেন বাঁহাতি এই স্পিনার। বোলিংয়ে এমন বাজে দিন কাটানোর পর বাবার মৃত্যুর খবর পেয়েছেন তিনি।
শ্রীলঙ্কান সংবাদমাধ্যম নিউজওয়ার নিশ্চিত করেছে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ওয়েলালাগের বাবা সুরাঙ্গা ওয়েলালাগে। বাবার মৃত্যুর খবর শুনে ম্যাচ শেষে দ্রুতই মাঠ ছেড়েছেন তিনি। শ্রীলঙ্কার কাছে ৬ উইকেটে হেরে সুপার ফোরে খেলার স্বপ্ন শেষ হয়েছে আফগানিস্তানের। ম্যাচ শেষে টিম হোটেলে ফিরছিলেন নবি।
এমন সময় আফগানিস্তানের অলরাউন্ডারকে ওয়েললাগের বাবার মৃত্যুর খবর দেন ক্রিকফ্রেঞ্জির প্রতিনিধি তাসফিক শাহরিয়ার পলক। তখন তিনি জানতে চান, ‘কখন, কিভাবে মারা গেল?’ প্রতিউত্তরে নবিকে জানানো হয় হৃদরোগে মারা গেছেন ওয়েলালাগের বাবা। যাওয়ার সময় দুঃখপ্রকাশ করে, ‘সরি’ বলেন নবি।