মিরপুরে রজতজয়ন্তী উদযাপন, কলম্বোতে বাংলাদেশের হতাশার দিন

ছবি: কলম্বোতে বাংলাদেশের হতাশার দিন, ফাইল ফটো

ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকেই আত্মবিশ্বাস নিয়ে খেলতে থাকেন লঙ্কান দুই ওপেনার নিশাঙ্কা এবং লাহিরু উদারা। আগের ম্যাচে সেঞ্চুরি করা নিশাঙ্কা এই ম্যাচেও বাংলাদেশের বোলারদের শুরু থেকে ব্যস্ত রাখেন। বাংলাদেশের বোলাররা একেবারেই চ্যালেঞ্জ জানাতে পারেননি। ফলে ৮.৫ ওভারেই দলীয় পঞ্চাশ রান তোলে শ্রীলঙ্কা।
টেস্টেও ‘স্টপ ক্লক’, নিয়ম বদলে যাচ্ছে আরও কয়েকটি
২৩ মিনিট আগে
প্রথম ৫৩ বলে ৫০ রান করলেও আস্তে আস্তে রানের চাকায় গতি কমে শ্রীলঙ্কার। ২১ ওভারে বিনা উইকেটে ৮৩ রান তুলে লাঞ্চে যায় স্বাগতিকরা। লাঞ্চ থেকে ফেরার দুই ওভার পরই উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা। ৮৮ রানে ভাঙে দলটির ওপেনিং জুটি। তাইজুলের টার্ন এবং স্কিড করা বলটি খেলতে গিয়ে লাইন মিস করেন উদারা।
বলটি তার ব্যাটে লাগে নাকি প্যাডে এই সংশয়ে প্রথমে আউট দেননি আম্পায়ার। পরে রিভিউ নিয়ে দেখা যায় বলটি প্যাডে লাগে, ফিরতে হয় ৬৫ বলে ৪০ রান করা উদারাকে। সঙ্গী ফেরার একটু পরই হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন নিশাঙ্কা। ৭৯ বলে হাফ সেঞ্চুরি আসে তার ব্যাটে।
উইকেটে এসে শুরু থেকেই আগ্রাসী ভঙ্গিমায় খেলতে থাকেন দীনেশ চান্দিমাল। ২৫.৫ ওভারে দীনেশ চান্দিমালের ছক্কায় দলীয় শতরানে পৌঁছায় লঙ্কানরা। ৬৪ বলে জুটির পঞ্চাশ রান তোলেন নিশাঙ্কা-চান্দিমাল। ৩৯.৩ ওভারে গালি অঞ্চলে চার মেরে দলকে দেড়শ রান পার করান চান্দিমাল। ৭০ বলে হাফ সেঞ্চুরি পূরণ করেন তিনি।

নিশাঙ্কা আমাদের দেখিয়ে দিয়েছে কিভাবে ব্যাটিং করা উচিত: সিমন্স
২ ঘন্টা আগে
১৫৫ বলে এই জুটি শতরান স্পর্শ করে। দ্বিতীয় সেশনে আরো উজ্জ্বল ছিল শ্রীলঙ্কার পারফরম্যান্স। এই সেশনে ২৯ ওভারে উদারার উইকেট হারিয়ে ১০৭ রান তোলে শ্রীলঙ্কা।
চা-বিরতির পর ডিপ পয়েন্টে চার মেরে শ্রীলঙ্কাকে ৫৩.৪ ওভারে দুইশ রানে পৌঁছান নিশাঙ্কা। একইসঙ্গে ক্যারিয়ারের চতুর্থ সেঞ্চুরিও তুলে নেন এই ওপেনার। ১৬৭ বলে সিরিজের দ্বিতীয় সেঞ্চুরিটি তুলে নেন নিশাঙ্কা।
২৬১ বলে নিশাঙ্কা-চান্দিমাল জুটি দেড়শ রান তুলে। ৬৯ ওভারে বাংলাদেশের বিপক্ষে লিড পায় শ্রীলঙ্কা, দলটির রান আড়াইশ পেরিয়ে যায়। সেঞ্চুরির কাছাকাছি গিয়ে নাঈম হাসানের বলে রিভার্স সুইপ খেলতে গিয়ে বিপদ ডেকে আনেন চান্দিমাল। বলটি তার গ্লাভসে লেগে উইকেটরক্ষকের মুঠোয় চলে যায়। ফলে সেঞ্চুরি করতে পারেননি চান্দিমাল। ১৫৩ বলে ১০টি চার ও একটি ছক্কায় ৯৩ রানে ফিরে যান এই ব্যাটার। ফলে এই দুজনের ১৯৪ রানের জুটি ভাঙে। বাকি সময়টা নাইটওয়াচম্যান প্রবাথ জয়সুরিয়াকে নিয়ে কাটিয়ে দেন নিশাঙ্কা। ২৩৮ বলে ১৪৬ রানে অপরাজিত আছেন নিশাঙ্কা, পাঁচ রানে ব্যাটিংয়ে আছেন প্রবাথ।
এর আগে তাইজুল ইসলামের নৈপুণ্যে আড়াইশ'র কাছাকাছি পৌঁছাতে পারে বাংলাদেশ। শেষ উইকেট হিসেবে বিদায় নেয়ার আগে তাইজুল করেন ৬০ বলে ৩৩ রান। দিনুশার টসড আপ ডেলিভারিতে সজোরে হাঁকাতে গিয়ে টাইমিংয়ে ভুল করেন তাইজুল। বল চলে যায় মিড উইকেটে, যা লুফে নেন দীনেশ চান্দিমাল। শেষদিনে আধা ঘণ্টার মত উইকেটে থেকে শেষ দুই ব্যাটারকে হারিয়ে স্কোরবোর্ডে ২৭ রান যোগ করতে পেরেছে বাংলাদেশ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
বাংলাদেশ (প্রথম ইনিংস)- ২৪৭/১০ (৭৯.৩ ওভার) (সাদমান ৪৬, মুশফিক ৩৫, লিটন ৩৪, মিরাজ ৩১, তাইজুল ৩৩; দিনুশা ৩/২২, আসিথা ৩/৫১)
শ্রীলঙ্কা (প্রথম ইনিংস)- ২৯০/২ (৭৮.০ ওভার) (নিশাঙ্কা ১৪৬*, উদারা ৪০, চান্দিমাল ৯৩, প্রবাথ ৫*)