দেশের ঘুমিয়ে থাকা ক্রিকেটকে জাগানোর আশায় সভাপতি বুলবুল

ছবি: বিসিবি

টেস্ট মর্যাদা পাওয়ার রজতজয়ন্তী উপলক্ষ্যে সবশেষ কয়েক দিন ধরেই দেশের বিভাগীয় পর্যায়ে অনূর্ধ্ব-১২ সিক্স-এ-সাইড টুর্নামেন্ট, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, ধারাভাষ্য প্রতিযোগিতা, ‘হিট দা স্টাম্প’ চ্যালেঞ্জসহ নানান আয়োজন করা হয়েছে। খুলনা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম ও সিলেটের পর ২৫ জানুয়ারি আয়োজন ছিল ঢাকার রিয়া গোপ উইমেন'স স্পোর্টস কমপ্লেক্সে। রজতজয়ন্তীর শেষ আয়োজন ২৬ জানুয়ারি, মিরপুরে।
বিজয় কেন পারছেন না, কোচকে প্রশ্ন করুন: বুলবুল
৫ ঘন্টা আগে
মিরপুর শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বিশেষ টি-শার্ট ও ক্যাপ পড়ে কেক কাটবেন প্রথম টেস্ট দলের সদস্যরা। পরবর্তীতে ক্রিকেটারদের বিশেষ ব্লেজার পড়িয়ে দেয়া হবে। বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট স্কোয়াডে থাকা মোহাম্মদ রফিক, হাসিবুল হোসেন, আকরাম খান, এনামুল হক, খালেদ মাসুদ পাইলট, হাবিবুল বাশার, আল শাহরিয়ার রোকন, জাভেদ ওমর বেলিম, ফাহিম মুনতাসির, মেহরাব হোসেন, শাহরিয়ার হোসেন, বিকাশ রঞ্জন দাস, রাজিন সালেহ, মঞ্জুরুল ইসলামরা সবাই থাকবেন বলে জানা গেছে।

যদিও সেই টেস্টের অধিনায়ক নাঈমুর রহমান দূর্জয় থাকতে পারবেন না। বুলবুল নিজেই নিশ্চিত করেছেন সেই স্কোয়াডের বাইরে মিনহাজুল আবেদিন নান্নু, আতাহার আলী খান, ফারুক আহমেদের মতো সাবেক ক্রিকেটাররা থাকবেন। এ প্রসঙ্গে বুলবুল বলেন, ‘আমাদের আগের ক্রিকেটার যারা ছিলেন, ফারুক (আহমেদ) ভাই, আতাহার (আলী খান) ভাই ছিলেন, (মিনহাজুল আবেদিন) নান্নু ভাই ছিলেন- অনেক ক্রিকেটার ছিল যারা টেস্ট খেলার সুযোগ পায়নি। আমরা ওই সময় নিজেদের ভাগ্যবান মনে করতাম যে, প্রথম টেস্টে খেলতে পেরেছিলাম।’
প্রথম ইনিংসে ২৭০-২৮০ রান চায় বাংলাদেশ
২ মিনিট আগে
বিসিবি সভাপতি আরও যোগ করেন, ‘সেই স্কোয়াডের যারা অ্যাভেইলেবল আছে, সবাইকে কালকে (বৃহস্পতিবার) আমাদের ক্রিকেট বোর্ডে দাওয়াত দিয়েছি। মূলত আমাদের ২৫ বছরের সেই স্মৃতিতে ফিরে যাওয়া, আমাদের সেই ক্রিকেটের বন্ধুত্ব যেন অটুট থাকে এবং তাদেরকে সম্মাননা জানানো।’
টেস্ট ক্রিকেটে মর্যাদার ২৫ বছর পেরিয়ে গেলেও বুলবুলের আগে এমন কিছু করেননি কোন বিসিবি সভাপতি। বর্তমানে দায়িত্বে থাকা বুলবুল মনে করেন, ২৫ বছরে এরকম ২৫টা আয়োজন হওয়া উচিত ছিল। প্রথমবারের মতো এমন আয়োজন হওয়ায় খানিকটা আক্ষেপও আছে তাঁর। হুট করেই এমন আয়োজনের দুটি কারণ জানিয়েছেন বুলবুল।
তিনি বলেন, ‘আশা করেছিলাম, ২৫ বছরে হয়তো ২৫টা আয়োজন হবে। ২৫তম বছরে এসে প্রথম করছি। দুটি কারণে করেছি- প্রথমত, টেস্ট ক্রিকেটের ২৫ বছর উদযাপন। আরেকটা হলো, দেশব্যাপী বহু জায়গায় ক্রিকেট ঘুমিয়ে ছিল, তাদের একটা ‘ওয়েক আপ’ কল দেওয়া। এটা আমরা অত্যন্ত সফলভাবে করার চেষ্টা করছি এবং করছি।’