promotional_ad

বাড়তি এক ম্যাচ খেলে আরব আমিরাতের কাছে সিরিজ হারল বাংলাদেশ

সিরিজ জয়ের উল্লাসে আরব আমিরাত, ফাইল ফটো
শেষদিকে জাকের আলীর ৩৪ বলে ৪১ এবং হাসান মাহমুদের ১৫ বলে ২৬ রানের ঝড়ো ইনিংসে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৬২ রান করেছিল বাংলাদেশ। যদিও আত্মবিশ্বাসের তুঙ্গে থাকা আরব আমিরাতের কাছে এই লক্ষ্য যেন একেবারেই ঠুনকো। শুরুতে ইনফর্ম ওপেনার মোহাম্মদ ওয়াসিমের উইকেট হারালেও আলিশান শারাফুর হাফ সেঞ্চুরি এবং আসিফ খানের ঝড়ো ইনিংসে বাংলাদেশকে সাত উইকেটে হারিয়েছে আরব আমিরাত। শুরুতে ১-০ তে পিছিয়ে পড়লেও বাংলাদেশকে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ হারিয়েছে আরব আমিরাত।

promotional_ad

১৬৩ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দ্বিতীয় ওভারেই মোহাম্মদ ওয়াসিমের উইকেট হারায় আরব আমিরাত। শরিফুল ইসলামের পঞ্চম স্টাম্প তাক করা লেংথ ডেলিভারিটি কভারে খেলতে গিয়ে স্লিপে ক্যাচ তুলে দেন ওয়াসিম। এ দিন ছয় বলে ৯ রান আসে তার ব্যাটে। যদিও আরেক ওপেনার মোহাম্মদ জোহাইব ও আলিশান শারাফু একটুও বিচলিত হননি। পাওয়ার প্লে'তে এক উইকেট হারিয়ে ৫০ রান করে আরব আমিরাত।


আরো পড়ুন

নাইম-বিজয়ের আক্ষেপের দিনে মিরপুরে বৃষ্টির দাপট

১৩ ঘন্টা আগে
নাইম শেখ ও এনামুল হক বিজয়, বিসিবি

বোলিংয়ে এসেই উইকেট নেন রিশাদ হোসেন। আরব আমিরাতকে দ্রুত রান এনে দেয়া মোহাম্মদ জোহাইবকে ফ্লাইট করা গুড লেংথ ডেলিভারিতে বোল্ড করে ফেরান তিনি। ফেরার আগে জোহাইব করেন ২৩ বলে ২৯ রান। ১০ ওভার শেষে আরব আমিরাতের রান ছিল দুই উইকেটে ৭৬।


১১তম ওভারে বাংলাদেশকে উইকেট এনে দেন তানজিম। তার স্লোয়ার বাউন্সারে উড়িয়ে মারতে গিয়ে বাউন্ডারি লাইন ধরা পড়েন ১৩ বলে ১৩ রান করা রাহুল চোপড়া। ৭৯ রানে তৃতীয় উইকেট হারায় আরব আমিরাত। যদিও শারাফুর নৈপুণ্যে ১৩ ওভারে একশ রান স্পর্শ করে আরব আমিরাত।


১১ থেকে ১৫ ওভারে তেমন সুবিধা করতে পারেনি আরব আমিরাত। যদিও রিশাদ হোসেনের করা ১৬তম ওভারে তাকে তিনটি ছক্কা হাঁকান আমিরাতের ব্যাটাররা। শারাফু ছক্কা হাঁকিয়ে হাফ সেঞ্চুরি করার পর আরো দুটি ছক্কা হাঁকান আসিফ খান। এই ওভারে ১৯ রান নেয় দলটি। এরপর আর ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিতে পারেনি বাংলাদেশ। শারাফু ৪৭ বলে ৬৮ এবং আসিফ ২৬ বলে পাঁচ ছক্কায় ৪১ রানে অপরাজিত থেকে বাংলাদেশের সিরিজ হার নিশ্চিত করেন।


টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে এ দিন পয়েন্টে চার মেরে দারুণ কিছুর ইঙ্গিত দেন তানজিদ। প্রথম ওভারের শেষ বলে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্ট দিয়ে মেরেছিলেন একটি ছক্কাও। তবে পরের ওভারেই সঙ্গী পারভেজ হোসেন ইমন আউট হয়ে যান শূন্য রানে। ধ্রুব পারাসারের বলে লং অফে ধরা পড়ে আউট হন এক ম্যাচ আগেই সেঞ্চুরি হাঁকানো বাংলাদেশের এই ওপেনার।


promotional_ad



আরো পড়ুন

বাংলাদেশকে আবারও কঠিন সময় দিয়ে সিরিজ জিততে চায় আরব আমিরাত

২০ মে ২৫
সংযুক্ত আরব আমিরাত ক্রিকেট বোর্ড

আগের দুই ম্যাচে ব্যাট হাতে খুব একটা ভালো করতে পারেননি লিটন দাস। তৃতীয় ম্যাচেও ইনিংস বড় করতে ব্যর্থ হয়েছেন তিনি। ১০ বলে ১৪ রান করেই ফিরতে হয়েছে তাকে। হায়দার আলীর বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফিরতে হয়েছে বাংলাদেশ অধিনায়ককে। একবল পরেই শূন্য রানে এলবিডব্লিউ হয়ে ফিরে গেছেন তাওহীদ হৃদয়ও। ফলে ৩১ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ।


৪ নম্বরে প্রমোশন নিয়েও ৯ বলে ২ রান করে ফিরে যান শেখ মেহেদী। আলী হায়দারের বলে বোল্ড হন তিনি। বাংলাদেশের ইনিংসের একপ্রান্ত আগলে রেখে আসেন তানজিদ। ছিলেন হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেয়ার দ্বারপ্রান্তে। তবে হাফ সেঞ্চুরি করতে পারলেন না বাংলাদেশের এই ওপেনার।


আকিফ রাজার একটু লাফিয়ে ওঠা বলে বোল্ড হন তিনি। আর তাতেই ৫৭ রানে পঞ্চম উইকেট হারায় বাংলাদেশ। তানজিদ আউট হন ১৮ বলে ৪০ রান করে। চারটি চার ও চারটি ছক্কায় এই রান করেন তানজিদ। অর্থাৎ তার করা ৪০ রানই আসে বাউন্ডারি থেকে।


১০ ওভারে বাংলাদেশের রান ছিল পাঁচ উইকেটে ৬৯ রান। ১১তম ওভারের প্রথম বলেই ফিরে যান শামীম পাটোয়ারি। মাতিউল্লাহর ওয়াইড লেংথের বলে কাভারে খেলতে গিয়ে উইকেটরক্ষককে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন এই ব্যাটার। ফেরার আগে করেন ১২ বলে ৯ রান। ৬৯ রানে ষষ্ঠ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।


এর দুই বল পর রিশাদ হোসেনকে বোল্ড করে ফেরান মাতিউল্লাহ। তার সজোরে আসা লেংথ ডেলিভারিতে লাইনে খেলতে গিয়ে সেটি মিস করেন রিশাদ। দুই বল খেলা রিশাদ এ দিন রানের খাতাই খুলতে পারেননি। একই ওভারে শামীম এবং রিশাদকে হারানোর পর কয়েক ওভার দেখেশুনে পার করেন তানজিম ও জাকের।


বাউন্ডারি মারার দুঃসাহস না দেখালেও সিঙ্গেলস নেয়ার চেষ্টায় ছিলেন তারা। যদিও সগির খানের করা ১৪তম ওভারের শেষ বলে লং অনে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন এই পেসার। স্লোয়ার বাউন্সারে পরাস্ত হন তিনি। ফেরার আগে করেন ১২ বলে ছয় রান। ১৬.২ ওভারে জাকেরের ছক্কায় একশ রান পার করে বাংলাদেশ।


শেষদিকে আগ্রাসী ভঙ্গিমায় খেলতে থাকেন জাকের ও হাসান। শেষ চার ওভারে বাংলাদেশ নেয় ৬৩ রান। শেষ চার ওভারেই চার এবং ছক্কার মার ছিল বাংলাদেশের ইনিংসে। ৩৪ বলে ৪১ রান করে জাকের ফিরলেও শেষ পর্যন্ত ছিলেন হাসান। জাকেরের মতো তিনটি ছক্কা ছিল তার ১৫ বলে ২৬ রানের ইনিংসেও। ব্যাটারদের লজ্জা দিতে শরিফুল সাত বলে ১৬ রানে অপরাজিত ছিলেন। এই সিরিজে প্রথমে দুটি ম্যাচ খেলার কথা থাকলেও পরবর্তীতে এক ম্যাচ বাড়িয়ে খেলতে চায় বিসিবি। সিরিজ হেরে এর চরম প্রতিদান দিলো লিটনের বাংলাদেশ।



আরো খবর

সম্পাদক এবং প্রকাশক: মোঃ কামাল হোসেন

বাংলাদেশের ক্রিকেট জগতে এক অপার আস্থার নাম ক্রিকফ্রেঞ্জি। সুদীর্ঘ ১০ বছর ধরে ক্রিকেট বিষয়ক সকল সংবাদ পরম দায়িত্ববোধের সঙ্গে প্রকাশ করে আসছে ক্রিকফ্রেঞ্জি। প্রথমে শুধুমাত্র সংবাদ দিয়ে শুরু করলেও বর্তমানে ক্রিকফ্রেঞ্জি একটি পরিপূর্ণ অনলাইন মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম।

মেইল: cricfrenzy@gmail.com
ফোন: +880 1305-271894
ঠিকানা: ২য় তলা , হাউজ ১৮, রোড-২
মোহাম্মাদিয়া হাউজিং সোসাইটি,
মোহাম্মাদপুর, ঢাকা
নিয়োগ ও বিজ্ঞপ্তি
বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ
নিয়ম ও শর্তাবলী
নীতিমালা
© ২০১৪-২০২৪ ক্রিকফ্রেঞ্জি । সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
footer ball