অধিনায়কত্বকে চাপ হিসেবে নিচ্ছেন না লিটন

ছবি: অনুশীলন ক্যাম্পে ঘাম ঝরাচ্ছেন লিটন দাস, ক্রিকফ্রেঞ্জি

তামিম ইকবাল অবসর নেয়ার পর বাংলাদেশের অধিনায়ক হওয়ার দৌড়ে সবচেয়ে বেশি এগিয়ে ছিলেন লিটন। তবে ২০২৩ বিশ্বকাপের আগে সাকিব আল হাসানের কাঁধে দায়িত্ব তুলে দেয় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। ভারতের যাওয়ার আগে সহ-অধিনায়কের পদ থেকে সরিয়ে দেয়া হয় লিটনকে। পুরো বিশ্বকাপে সাকিবের ডেপুটি ছিলেন শান্ত। বিশ্বকাপ শেষে বাঁহাতি ব্যাটারই তিন সংস্করণের দায়িত্ব পান।
অধিনায়ক হিসেবে বড় কিছু অর্জনের লক্ষ্য লিটনের
৬ ঘন্টা আগে
যদিও ব্যাটিংয়ের সঙ্গে অধিনায়কত্বের চাপে টি-টোয়েন্টির অধিনায়কত্ব থেকে সরে এসেছেন শান্ত। চোটের কারণে সবশেষ ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে বাঁহাতি ব্যাটার না থাকায় টি-টোয়েন্টি দলকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন লিটন। তাঁর অধীনে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হোয়াইটওয়াশ করে বাংলাদেশ। অধিনায়ক হিসেবে সাফল্য পেলেও ব্যাটার হিসেবে আরও একবার ব্যর্থ ছিলেন লিটন। পুরো সিরিজে করেছিলেন মাত্র ১৭ রান। এ ছাড়া লম্বা সময় ধরেই রান নেই লিটনের ব্যাটে।
নিজের খেলা সবশেষ ২৪ ইনিংসে ডানহাতি ব্যাটার হাফ সেঞ্চুরি করতে পেরেছেন একটিতে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের পর স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠে দলে তাঁর জায়গা নিয়ে। টি-টোয়েন্টির মতো ওয়ানডেতেও ছন্দ না থাকায় বাদ পড়েন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দল থেকে। ডিসেম্বরের পর থেকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের বাইরে থাকা লিটন এবার পেয়েছেন অধিনায়কত্বের দায়িত্ব। অফ ফর্মের সঙ্গে অধিনায়কত্ব চাপ বয়ে আনার সম্ভাবনা থাকলেও তিনি এটাকে চাপ হিসেবে নিচ্ছেন না।

ভারতের বিপক্ষে খেললে কোহলিকে মিস করবেন লিটন
৭ ঘন্টা আগে
সংবাদ সম্মেলনে এ প্রসঙ্গে লিটন বলেন, ‘দেখুন— চাপের কিছু নাই। আমি যেটা আগেও বললাম অধিনায়ক ছিলাম না তখনো পারফর্ম খারাপ করেছি। এখানে এমন না যে অধিনায়ক হলে আবার খারাপ হবে। এটা একটা বাড়তি সুবিধা হতেও পারে। যেহেতু একটা সুযোগ এসেছে—আমরা সবাই বিশ্বাস করি যে যারা ইতিবাচকভাবে চিন্তা করে তারা এক-দুদিন পরেও রেজাল্টটা আসে। আমি ওই জায়গায় আছি। চেষ্টা করব ইতিবাচকভাবে চিন্তা করার যেন রেজাল্টটা আমার দিকে নিয়ে আসতে পারি।’
অধিনায়ক হওয়ার পর ব্যাটার হিসেবে সেরা সময় পার করেছেন রিকি পন্টিং। ডানহাতি ব্যাটারের অধীনে অস্ট্রেলিয়া বিশ্বকাপও জিতেছে। আবার অনেকের ক্ষেত্রে অধিনায়কত্বের চাপে নুইয়ে পড়ে দায়িত্বও ছেড়েছেন। সাম্প্রতিক সময়ের বিরাট কোহলি, শান্তরাই সেটার প্রমাণ। ব্যাটিংয়ে ছন্দ না থাকায় এমন কিছু হতে পারে লিটনের ক্ষেত্রেও। তবে এসব নিয়ে খুব বেশি চিন্তা না করে ভালো-মন্দ দুটোর জন্যই প্রস্তুত থাকছেন তিনি।
লিটন বলেন, ‘অধিনায়কত্ব ছাড়া তো আমি খারাপ খেলেছি, এখন অধিনায়ক হয়ে আসতেছি—বিপরীত জিনিসও হতে পারে যে আসার পর থেকে ভালো খেলতেও পারি। আমি যেটা বললাম ইতিবাচক-নেতিবাচক দুইটা জিনিসই থাকবে কিন্তু ওইভাবে আমার রোল মডেল নেই যে যাকে আমি ফলো করব।’
২০২৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পর্যন্ত নেতৃত্ব পাওয়ায় এটাকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন লিটন। তিনি বলেন, ‘স্বাভাবিক, এটা তো ইতিবাচকই। কারণ আপনি যখন একটা লম্বা সময়ের জন্য সুযোগ পাবেন আপনি অনেক কিছু চিন্তা করতে পারবেন। এখন দেখার বিষয় হচ্ছে এই সময়ের ভেতরে আমি আমার দলকে গুছিয়ে নিতে পারি। আমি অনেক আশাবাদী এটা নিয়ে যে লম্বা সময়ের একটা চিন্তা-ধারা থাকলে..। আমার হাতে যে খেলোয়াড়গুলো আছে ভালো কিছুই উপহার দিতে পারব।