সোহান-অঙ্কনের সেঞ্চুরিতে সিরিজ জিতল বাংলাদেশ

ছবি: ২২৫ রানের জুটি গড়েন নুরুল হাসান সোহান-মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন, ক্রিকফ্রেঞ্জি

টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি নিউজিল্যান্ডের। স্কোরবোর্ডে ১২ রান তুলতেই পারভেজ হোসেন ইমনের উইকেট হারায় তারা। ১০ বলে আট রান করা এই ওপেনারকে বিদায় করেন ক্রিস্টিয়ান ক্লার্ক।
কিউইদের হেসেখেলে হারাল বাংলাদেশ
৫ মে ২৫
তারপর ৭৩ রানের জুটি গড়েন নাইম শেখ এবং এনামুল হক বিজয়। গত ম্যাচের মতো এই ম্যাচেও হাফ সেঞ্চুরি করতে পারেননি বিজয়। ৩৪ বলে ৩৯ রান করা এই ব্যাটারকে রান আউটের মাধ্যমে বিদায় করে নিউজিল্যান্ড।
দলীয় একশ রান পূরণ হওয়ার আগে ফিরে যান নাইমও। ইনফর্ম এই ব্যাটার করেন ছয়টি চারে ৪১ বলে ৪০ রান। তাকে ফেরান আদিত্য অশোক। ৯৭ রানে তিন উইকেট হারানো বাংলাদেশকে পথ দেখান অঙ্কন-সোহান জুটি।

২২৫ রানের এই জুটি ভাঙে ৪৭ ওভারে। ততক্ষণে সেঞ্চুরি তুলে নেন সোহান। ক্লার্কের দ্বিতীয় শিকার হওয়ার আগে সাতটি চার ও সমান সংখ্যক ছক্কায় ১১২ রান করেন তিনি। শেষ ওভারে ফিরে যান অঙ্কনও। তার ব্যাটে আসে ১০৮ বলে সাতটি চার ও পাঁচটি ছক্কায় ১০৫ রান।
ঘরোয়া ক্রিকেটে রানবন্যা বইয়ে ‘এ’ দলে অমিত
৪ মে ২৫
শেষদিকে মোসাদ্দেক ১০ বলে ১৩ এবং শামীম পাটোয়ারি এক বলে এক রানে অপরাজিত থাকেন। নিউজিল্যান্ডের হয়ে দুটি উইকেট নেন ক্লার্ক। একটি করে উইকেট নেন জাকারি ফোকস এবং আদিত্য।
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ওপেনিং জুটিতে ৫২ রান তোলে কিউইরা। ১৬ বলে পাঁচ রান করা কার্টিস হিপিকে বিদায় করে এই জুটি ভাঙেন মোসাদ্দেক। তিনি ফিরলেও দলকে একশ রানের কাছাকাছি নিয়ে যান আরেক ওপেনার ডেল ফিলিপস।
৫৪ বলে ১৪টি চার ও দুটি ছক্কায় ৭৯ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলা এই ওপেনারকে বিদায় করেন শরিফুল ইসলাম। ৯৯ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারানো দলটি ১১৬ রানের মধ্যে হারায় আরও তিন উইকেট। এক রান করা ম্যাথু বয়েলকে মোসাদ্দেক, ১৩ রান করা জো কার্টারকে শামীম, ১৪ রান করা নিক কেলিকে মোসাদ্দেক বিদায় করেন।
এই তিনজনের মতো বোল্ড হন ৩১ বলে ৩৪ রান করা জশ ক্লার্ক। তাকে বোল্ড করেন তানভির। এরপর মিচেল হে'র ৩৮, ক্রিস্টিয়ান ক্লার্কের ৩৬ বলে অপরাজিত ৩৯ রানের ইনিংসে আড়াইশ রান পার করে কিউইরা। বাংলাদেশের হয়ে তিনটি উইকেট নেন মোসাদ্দেক। দুটি করে উইকেট নেন তানভির, শরিফুল ও শামীম।