promotional_ad

নিহাদের লড়াইয়ের পরও গুলশানের হার, শিরোপার আরও কাছে আবাহনী

আবাহনীর জার্সিতে পারভেজ হোসেন ইমন, আবাহনী
টেবিলের শীর্ষস্থানে থেকে ঢাকা প্রিমিয়ার লীগের (ডিপিএল) সুপার লিগ শুরু করেছিল আবাহনী লিমিটেড। সুপার লিগে প্রথম ম্যাচের পর এবার দ্বিতীয়টিতেও জয়ের দেখা পেয়েছে দলটি। এদিন গুলশান ক্রিকেট ক্লাবকে ৫০ রানে হারিয়েছে হান্নান সরকারের শিষ্যরা। জয়ের জন্য ২৭৯ রানের লক্ষ্যে নেমে ২২৮ রানেই গুটিয়ে যায় খালেদ মাহমুদ সুজনের শিষ্যরা।

promotional_ad

এদিন আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা একেবারেই ভালো হয়নি আবাহনীর। ইনিংসের চতুর্থ ওভারে শাহরিয়ার কমল বিদায় নেন ২ রান করেই। এরপর তিনে নেমে পারভেজ হোসেন ইমনের সঙ্গে জুটি গড়েন জিসান আলম। দুজনের ব্যাটে দলীয় রান ৫০ পার করে টেবিল টপাররা।


আরো পড়ুন

১৩ বছরে ৯ শিরোপা জিতেছি, ডেডিকেশন ছিল আবাহনীতেই খেলার: মোসাদ্দেক

২৯ এপ্রিল ২৫
আবাহনীর অনুশীলন জার্সিতে মোসাদ্দেক হোসেন

 


এই জুটিতে অবশ্য ভালোই এগোচ্ছিল আবাহনী। তবে দলীয় রান ১০০ হওয়ার পূর্বে জিসানকে ২৬ রানে বিদায় করেন নিহাদউজ্জামান। সঙ্গীকে হারালেও মোহাম্মদ মিঠুনকে সঙ্গে নিয়ে রান বাড়াতে থাকেন ইমন। তুলে নেন হাফ সেঞ্চুরি।


 


দুই ব্যাটারের কল্যানে দলীয় রান ১৫০'র পথেই যাচ্ছিল। কিন্তু সেঞ্চুরির আশায় থাকা ইমন ৭০ বলে ৮৩ রান করে নিহাদের দ্বিতীয় শিকার হয়ে সাজঘরে ফেরেন। এরপর মেহরাব হোসেন অহিনকে নিয়ে দলকে ২০০'র দিকে নিয়ে যেতে থাকেন মিঠুন। কিন্তু ১৬ রান করা অহিন ফাঁদে পড়েন রান আউটের।


 


promotional_ad

এরপর ক্রিজে আসা মোসাদ্দেক হোসেনকে নিয়ে রান বাড়াতে থাকেন মিঠুন। কিন্তু হাফ সেঞ্চুরির ঠিক আগে তিনিও বিদায় নেন ৪৫ রানে। এর এক রান পর বিদায় নেন মোসাদ্দেকও। ব্যাটারদের এমন দ্রুত আসা-যাওয়ার মিছিলে মাহফুজুর রাব্বির ২২ ও মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরীর ২৬ রানের সুবাদে ৪৯.৫ ওভারে ২৭৮ রানে অল আউট হয় আবাহনী। ৩ উইকেট নেন ফরহাদ রেজা।


আরো পড়ুন

ডিপিএল শেষে মুখ খুললেন হৃদয়

২৯ এপ্রিল ২৫
তামিম ইকবালের সঙ্গে তাওহীদ হৃদয়, ক্রিকফ্রেঞ্জি

 


লক্ষ্য তাড়ায় ব্যাট করতে নেমে পাওয়ার প্লে'তেও এলোমেলো হয়ে যায় গুলশান। ১০ ওভারে ২৫ রান তুলতেই বিদায় নেন ৪ ব্যাটার। এক রানে ফেরেন ওপেনার আফিফ হাসান। মোহাম্মদ ইলিয়াস ফেরেন ৫ রানে। কোন রান না করেই বিদায় নেন খালিদ হাসান।


 


ব্যাটারদের এমন আসা-যাওয়ার ভীড়ে টিকতে পারেননি নাঈম ইসলামও। ২৫ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলা দলটিকে বিপদ থেকে টেনে তোলেন শাকিব শাহরিয়ার ও শাহাদাৎ হোসেন। দুই ব্যাটার মিলে সাময়িক বিপদ কাটালেও দলীয় ৭১ রানে শাকিব ফেরেন ৪২ রানে।


 


এরপর দলকে ১০০'র ঘরে নিয়ে গিয়ে দলীয় ১১০ রানে ৩৫ রান করা শাহাদাৎ বিদায় নেন সৈকতকে উইকেট দিয়ে। ১১৯ রানে মেহেদি হাসানকেও বিদায় করেন এই অলরাউন্ডার। ৭ উইকেট হারানো গুলশান অবশ্য নীচের দিকের ব্যাটারদের কল্যানে ১৫০ পার হয়।


দলীয় ১৫৪ রানে অবশ্য ফরহাদ রেজা সাজঘরে ফেরেন ১৭ রানে। খানিক পর রাকিবুলকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ফেরেন আসাদউজ্জামান পায়েল। ১৬২ রানে ৯ উইকেট হারানো দলটিকে টেনে নিয়ে ২০০'র ঘরে নিয়ে যান নিহাদউজ্জামান। ঝড়ো ব্যাটিংয়ে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নিয়ে শুধু দলের পরাজয়ের ব্যবধান তিনি কমিয়েছেন।


শেষ পর্যন্ত ইনিংসের শেষ বলে অল আউট হয়ে গুলশানের ইনিংস থামে ২২৮ রানে। নিহাদ ৬টি চার ও ৫টি ছক্কায় অপরাজিত থাকেন ৮২ রানে। ৫০ রানে জয় পায় আবাহনী, পারভেজ হোসেন ইমন হন ম্যাচ সেরা।



আরো খবর

সম্পাদক এবং প্রকাশক: মোঃ কামাল হোসেন

বাংলাদেশের ক্রিকেট জগতে এক অপার আস্থার নাম ক্রিকফ্রেঞ্জি। সুদীর্ঘ ১০ বছর ধরে ক্রিকেট বিষয়ক সকল সংবাদ পরম দায়িত্ববোধের সঙ্গে প্রকাশ করে আসছে ক্রিকফ্রেঞ্জি। প্রথমে শুধুমাত্র সংবাদ দিয়ে শুরু করলেও বর্তমানে ক্রিকফ্রেঞ্জি একটি পরিপূর্ণ অনলাইন মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম।

মেইল: cricfrenzy@gmail.com
ফোন: +880 1305-271894
ঠিকানা: ২য় তলা , হাউজ ১৮, রোড-২
মোহাম্মাদিয়া হাউজিং সোসাইটি,
মোহাম্মাদপুর, ঢাকা
নিয়োগ ও বিজ্ঞপ্তি
বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ
নিয়ম ও শর্তাবলী
নীতিমালা
© ২০১৪-২০২৪ ক্রিকফ্রেঞ্জি । সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
footer ball