নিহাদের লড়াইয়ের পরও গুলশানের হার, শিরোপার আরও কাছে আবাহনী

ছবি: আবাহনীর জার্সিতে পারভেজ হোসেন ইমন, আবাহনী

এদিন আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা একেবারেই ভালো হয়নি আবাহনীর। ইনিংসের চতুর্থ ওভারে শাহরিয়ার কমল বিদায় নেন ২ রান করেই। এরপর তিনে নেমে পারভেজ হোসেন ইমনের সঙ্গে জুটি গড়েন জিসান আলম। দুজনের ব্যাটে দলীয় রান ৫০ পার করে টেবিল টপাররা।
১৩ বছরে ৯ শিরোপা জিতেছি, ডেডিকেশন ছিল আবাহনীতেই খেলার: মোসাদ্দেক
২৯ এপ্রিল ২৫
এই জুটিতে অবশ্য ভালোই এগোচ্ছিল আবাহনী। তবে দলীয় রান ১০০ হওয়ার পূর্বে জিসানকে ২৬ রানে বিদায় করেন নিহাদউজ্জামান। সঙ্গীকে হারালেও মোহাম্মদ মিঠুনকে সঙ্গে নিয়ে রান বাড়াতে থাকেন ইমন। তুলে নেন হাফ সেঞ্চুরি।
দুই ব্যাটারের কল্যানে দলীয় রান ১৫০'র পথেই যাচ্ছিল। কিন্তু সেঞ্চুরির আশায় থাকা ইমন ৭০ বলে ৮৩ রান করে নিহাদের দ্বিতীয় শিকার হয়ে সাজঘরে ফেরেন। এরপর মেহরাব হোসেন অহিনকে নিয়ে দলকে ২০০'র দিকে নিয়ে যেতে থাকেন মিঠুন। কিন্তু ১৬ রান করা অহিন ফাঁদে পড়েন রান আউটের।

এরপর ক্রিজে আসা মোসাদ্দেক হোসেনকে নিয়ে রান বাড়াতে থাকেন মিঠুন। কিন্তু হাফ সেঞ্চুরির ঠিক আগে তিনিও বিদায় নেন ৪৫ রানে। এর এক রান পর বিদায় নেন মোসাদ্দেকও। ব্যাটারদের এমন দ্রুত আসা-যাওয়ার মিছিলে মাহফুজুর রাব্বির ২২ ও মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরীর ২৬ রানের সুবাদে ৪৯.৫ ওভারে ২৭৮ রানে অল আউট হয় আবাহনী। ৩ উইকেট নেন ফরহাদ রেজা।
ডিপিএল শেষে মুখ খুললেন হৃদয়
২৯ এপ্রিল ২৫
লক্ষ্য তাড়ায় ব্যাট করতে নেমে পাওয়ার প্লে'তেও এলোমেলো হয়ে যায় গুলশান। ১০ ওভারে ২৫ রান তুলতেই বিদায় নেন ৪ ব্যাটার। এক রানে ফেরেন ওপেনার আফিফ হাসান। মোহাম্মদ ইলিয়াস ফেরেন ৫ রানে। কোন রান না করেই বিদায় নেন খালিদ হাসান।
ব্যাটারদের এমন আসা-যাওয়ার ভীড়ে টিকতে পারেননি নাঈম ইসলামও। ২৫ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলা দলটিকে বিপদ থেকে টেনে তোলেন শাকিব শাহরিয়ার ও শাহাদাৎ হোসেন। দুই ব্যাটার মিলে সাময়িক বিপদ কাটালেও দলীয় ৭১ রানে শাকিব ফেরেন ৪২ রানে।
এরপর দলকে ১০০'র ঘরে নিয়ে গিয়ে দলীয় ১১০ রানে ৩৫ রান করা শাহাদাৎ বিদায় নেন সৈকতকে উইকেট দিয়ে। ১১৯ রানে মেহেদি হাসানকেও বিদায় করেন এই অলরাউন্ডার। ৭ উইকেট হারানো গুলশান অবশ্য নীচের দিকের ব্যাটারদের কল্যানে ১৫০ পার হয়।
দলীয় ১৫৪ রানে অবশ্য ফরহাদ রেজা সাজঘরে ফেরেন ১৭ রানে। খানিক পর রাকিবুলকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ফেরেন আসাদউজ্জামান পায়েল। ১৬২ রানে ৯ উইকেট হারানো দলটিকে টেনে নিয়ে ২০০'র ঘরে নিয়ে যান নিহাদউজ্জামান। ঝড়ো ব্যাটিংয়ে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নিয়ে শুধু দলের পরাজয়ের ব্যবধান তিনি কমিয়েছেন।
শেষ পর্যন্ত ইনিংসের শেষ বলে অল আউট হয়ে গুলশানের ইনিংস থামে ২২৮ রানে। নিহাদ ৬টি চার ও ৫টি ছক্কায় অপরাজিত থাকেন ৮২ রানে। ৫০ রানে জয় পায় আবাহনী, পারভেজ হোসেন ইমন হন ম্যাচ সেরা।