ডিপিএল

রিশাদের ৫ উইকেটের পরও শাইনপুকুরের হার

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
প্রকাশের তারিখ: 17:21 বৃহস্পতিবার, 28 মার্চ, 2024

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

ঘরোয়া লিগে কখনই নিয়মিত সুযোগ পেতেন না রিশাদ হোসেন। তবে জাতীয় দলের হয়ে আলো ছড়ানোর পরই বদলে গেছে চিত্র। সবশেষ শ্রীলঙ্কা সিরিজে ব্যাটে-বলে নিজের জাত চেনানো রিশাদ সুযোগ পেলেন ডিপিএলের সবশেষ তিন রাউন্ডেই। প্রথম দুই ম্যাচে ধারাবাহিকভাবে ভালো বোলিং করা তরুণ এই লেগ স্পিনার বাজিমাত করেছেন ব্রাদার্স ইউনিয়নের বিপক্ষে। দারুণ বোলিংয়ে ৪৯ রানে তুলে নিয়েছেন সাদা বলের ক্রিকেটে প্রথম ৫ উইকেট। রিশাদের এমন বোলিংয়ের পরও জিততে পারেনি শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাব। ২২৩ রান তাড়ায় তানজিদ হাসান তামিমের ৪১ রানের ইনিংসের পরও শাইনপুকুর হেরেছে ২৬ রানে।

বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (বিকেএসপি) ৩ নম্বর মাঠে জয়ের জন্য ২২৩ রান তাড়ায় তানজিদ তামিম এবং খালিদ হাসানের ব্যাটে উড়ন্ত শুরু পায় শাইনপুকুর। শুরু থেকেই ব্রাদার্সের বোলারদের ওপর রীতিমতো তাণ্ডব চালাতে থাকেন তানজিদ তামিম। অন্য প্রান্তে তরুণ এই ওপেনারকে সঙ্গ দিয়ে যাচ্ছিলেন খালিদ। যদিও বেশিক্ষণ টিকতে পারেনিন বাঁহাতি এই ব্যাটার। ইনিংসের পঞ্চম ওভারে আসিফ আহমেদ রাতুলের বলে সাজঘরে ফিরতে হয়েছে তাকে।

ডানহাতি এই অফ স্পিনারের লেংথ ডেলিভারিতে এক্সট্রা কভারে উপর দিয়ে খেলতে চেয়েছিলেন খালিদ। তবে টাইমিংয়ে গড়বড় হওয়ায় শর্ট থার্ডম্যানে থাকা আবু জায়েদ রাহির হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন ১১ রান করা বাঁহাতি এই ওপেনার। এদিকে ঝড়ো ব্যাটিং করলেও শেষ পর্যন্ত হাফ সেঞ্চুরি পাওয়া হয়নি তানজিদ তামিম। রহমতউল্লাহ আলির বলে মারাজ মাহবুব নিলয়ের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরার আগে ২৪ বলে ৪১ রানের ইনিংস খেলেছেন বাঁহাতি এই ওপেনার।

তিনে নেমে ব্যাট হাতে নিজের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি রিশাদ। কদিন আগে লঙ্কানদের বিপক্ষে ব্যাটিং তাণ্ডব দেখালেও এদিন ৩১ বলে মাত্র ৯ রানে ফিরতে হয়েছে তাকে। রহমতউল্লাহর শর্ট ডেলিভারিতে মিড উইকেটের ওপর দিয়ে উড়িয়ে মারতে গিয়ে সীমানার কাছে দাঁড়িয়ে থাকা আসিফকে ক্যাচ দিয়েছেন রিশাদ। এক প্রান্তে এস এম মেহেরব টিকে থাকলেও অন্য প্রান্তের কেউই দলকে জেতানোর মতো ইনিংস খেলতে পারেননি।

ব্যাট হাতে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছেন আকবর আলী এবং মার্শাল আইয়ুব। উইকেটকিপার ব্যাটার ইরফান শুক্কুর ভালো শুরু পেলেও শেষ পর্যন্ত ইনিংস বড় করতে পারেননি। মনির হোসেন বলে ফেরার আগে করেছেন ২৩ রান। অনেকটা সময় থিতু হয়ে থাকা মেহেরব আউট হয়েছেন ৩৬ রানে। শেষদিকে জাওয়াদ রোয়েন ২৯ এবং রবিউল হক ১৮ রান করলেও শাইনপুকুরের জয়ের জন্য যথেষ্ট ছিল না। ২৬ রানে হারের দিনে আকবরের দলকে থামতে হয় ১৯৬ রানে। ব্রাদার্সের হয়ে তিনটি করে উইকেট নিয়েছেন রহমতউল্লাহ এবং মনির।

এর আগে ব্যাটিং করতে নেমে রহমতউল্লাহ এবং আব্দুল মজিদের ব্যাটে ভালো শুরু পায় ব্রাদার্স। সাবধানী ব্যাটিংয়ে উদ্বোধনী জুটিতে তারা দুজনে মিলে যোগ করেন ৪৫ রান। রিশাদের বলে লেগ বিফোর উইকেট হয়ে ২০ রান করা রহমতউল্লাহ ফিরলে ভাঙে তাদের এই জুটি। এরপর দ্রুতই বিদায় নিয়েছেন জাকিরুল আহমেদ জেম এবং সাকিল হোসেন। মাঝে অবশ্য দারুণ ব্যাটিং করতে থাকা মজিদকে সঙ্গ দিয়েছেন মাহমুদুল হাসান ও রাহাতুল ফেরদৌস।

তারা দুজনই খেলেছেন ত্রিশ পেরোনো ইনিংস। এদিকে দুর্দান্ত ব্যাটিং করলেও সেঞ্চুরি পাওয়া হয়নি মজিদের। মাত্র ৫ রানের জন্য সেঞ্চুরি না পাওয়ার আক্ষেপে পুড়তে হয়েছে তাকে। ৯৫ রানের ইনিংস খেলা ব্রাদার্সের এই ব্যাটারকে ফিরিয়েছেন আরাফাত সানি। শেষদিকে আর কেউ ব্যাট হাতে জ্বলে উঠতে না পারায় ২২২ রানে থামতে হয় তাদের। শাইনপুকুরের হয়ে রিশাদ ৫টি এবং সানি নিয়েছেন দুটি উইকেট।