হেড ঝড়ে পাওয়ার প্লেতে বিশ্ব রেকর্ড গড়ে জিতল অস্ট্রেলিয়া

ছবি:

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
শন অ্যাবট তিন উইকেট নিলেও জাভিয়ের ব্রার্টলেট, অ্যাডাম জাম্পারাও অবদান রাখলেও স্কটল্যান্ডকে দেড়শর ঘরে আটকে দিতে। সহজ লক্ষ্য তাড়ায় প্রথম ওভারেই ফিরলেন অভিষিক্ত জেইক-ফ্রেজার ম্যাকগার্ক। তরুণ ওপেনার ফিরলেও একপ্রান্তে চার-ছক্কার বৃষ্টিতে রীতিমতো তাণ্ডব চালালেন ট্রাভিস হেড। একের পর এক বাউন্ডারিতে সীমানা ছাড়া করলেন নিয়মিতই।
স্কটল্যান্ডের বোলারদের ভুলে যাওয়ার মতো দিনে খুনে ব্যাটিংয়ে বাঁহাতি ওপেনার ৩২০ স্ট্রাইক রেটে মাত্র ২৫ বলে খেললেন ৮০ রানের ইনিংস। পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে অস্ট্রেলিয়া তুলল সবচেয়ে বেশি ১১৩ রান। এমন বিশ্ব রেকর্ডের দিনে ব্যাট হাতে ঝড়ে তুলেছেন অধিনায়ক মিচেল মার্শ, উইকেটকিপার ব্যাটার জশ ইংলিশও। স্কটিশদের দেয়া ১৫৫ রানের লক্ষ্য অস্ট্রেলিয়া পেরিয়ে গেছে ৭ উইকেটে হাতে রেখে, ৬২ বল বাকি থাকতে।

এডিনবার্গে অস্ট্রেলিয়ার জন্য লক্ষ্যটা সহজই ছিল। তবে ইনিংসের প্রথম ওভারে ম্যাকগার্ক ফিরলে খানিকটা ব্যাকফুটে পরে যায় সফরকারীরা। ডেভিড ওয়ার্নারের ফেলে যাওয়া জায়গায় স্কটিশদের বিপক্ষে অভিষেক হওয়ায় তরুণ ওপেনারকে ফিরিয়েছেন ব্রেন্ডন ম্যাকমালান। ডানহাতি এই পেসারের শর্ট অব লেংথ ডেলিভারিতে পুল করতে গিয়ে ব্যাটে-বলে করতে পারেননি ম্যাকগার্ক। যার ফলে মিড অনে থাকা চার্লি ক্যাসেলকে ক্যাচ দিয়ে ফিরতে হয়েছে রানের খাতা খোলার আগেই।
তিনে নেমে চার মেরে রানের খাতা খুলেছেন মার্শ। পরের গল্পটা কেবলই হেডের। সাম্প্রতিক সময়ে বিধ্বংসী ব্যাটার হিসেবে বিশ্ব জুড়ে খ্যাতি পাওয়া হেড শুরু থেকেই তাণ্ডব চালিয়েছেন। তিন চারে ব্র্যাড হোয়াইয়েলের করা ওভারে ১৩ রান এনেছেন। পরের ওভারে ম্যাকমালাকে বাঁহাতি ওপেনার মেরেছেন দুই ছক্কার সঙ্গে দুই চার। তৃতীয় ওভার থেকে এসেছে ২০ রান। ক্যাসেলের পরের ওভার থেকে মার্শ ও হেড মিলে এনেছেন ১৯ রান।
বোলার পরিবর্তন করলেও অজিদের ঝড় থামাতে পারছিলেন না স্কটল্যান্ডের অধিনায়ক। রিচি বেরিংটন। পঞ্চম ওভারে বোলিংয়ে আসা জ্যাক জার্ভিসকে তুলোধুনো করেছেন মার্শ। তিন ছক্কা ও তিন চারে ৩০ রান তুলেছেন। অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক পৌঁছে যান ১১ বলে ৩৯ রানে। পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে হোয়াইলের উপর চড়াও হয়েছিলেন হেড। সেই ওভারে থেকে ২৬ রান যোগ করে অস্ট্রেলিয়া। যার ফলে মাত্র একটি উইকেট হারিয়ে প্রথম ৬ ওভারে ১১৩ রান করে সফরকারী।
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে পাওয়ার প্লেতে এটিই সর্বোচ্চ রান। অজিরা পেছনে ফেলেছে ২০২৩ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সাউথ আফ্রিকার ১০২ রানের রেকর্ডকে। প্রোটিয়াদের রেকর্ড ভাঙার আগে মাত্র ১৭ বলে হাফ সেঞ্চুরি করেছেন হেড। আউট হয়ে সাজঘরে ফেরার আগে ২৫ বলে তুলেছেন ৮০ রান। যেখানে ৭৮ রানই হেড করেছেন বাউন্ডারিতে। হেড ফেরার আগে আউট হয়েছেন ৩৯ রানের ইনিংস খেলা মার্শও। এরপর ইংলিশের ১৩ বলে অপরাজত ২৭ এবং মার্কাস স্টইনিসের ৮ রানের কল্যাণে জয় নিশ্চিত হয় অস্ট্রেলিয়ার।
এর আগে ব্যাটিংয়ে নেমে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে স্কটল্যান্ড। অস্ট্রেলিয়ার বোলারদের সামনে কেউই বড় ইনিংস খেলতে না পারায় ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৫৪ রান তোলে স্বাগতিকরা। স্কটিশদের হয়ে জর্জ মানজি ২৮, ম্যাথু ক্রস ২৭ এবং বেরিংটন করেছেন ২৩ রান। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে অ্যাবট তিনটি, বার্টলেট ও জাম্পা দুটি করে উইকেট নিয়েছেন। একটি করে উইকেট পেয়েছেন রাইলি মেরিডিথ ও ক্যামেরন গ্রিন।