ট্রাম্পেলম্যান-ভিসের জাদুকরী পারফরম্যান্সের ম্যাচে ওমানকে সুপার ওভারে হারাল নামিবিয়া

ছবি:

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
রুবেন ট্রাম্পেলম্যানের অসাধারণ বোলিংয়ে শুরুতেই বিপদে পড়ে যায় ওমান। সেখান থেকে কোনোমতে দলীয় শত রান পার করে দলটি। ১৯.৪ ওভারে ১০৯ রানে অলআউট হওয়া দলটির ছয় ব্যাটারই হয়েছেন লেগ বিফোর উইকেটের শিকার, যা কিনা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে রেকর্ড। এবারই প্রথম কোনো টি-টোয়েন্টি ইনিংসে ছয়টি এলবিডব্লিউ দেখা গেছে। এমন রেকর্ডের ম্যাচটি শেষদিকে জমিয়ে দেয় ওমানের বোলাররা। মেহরান খানের নৈপুণ্যে শেষ পর্যন্ত ম্যাচ গড়ায় সুপার ওভারে। সেখানে ওমানকে হারায় নামিবিয়া।
অল্প লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে দ্বিতীয় বলেই মাইকেল ভ্যান লিঙ্গেনের উইকেট হারায় নামিবিয়া। বিলাল খানের বলে শূন্য রানে বোল্ড হন তিনি। অল্প রান প্রয়োজন হওয়ায় শুরু থেকেই ধীরগতিতে খেলে নামিবিয়া। নবম ওভারে নিজেদের দ্বিতীয় উইকেট হারায় দলটি।
৩১ বলে ২৪ রান করে আকিব ইলিয়াসের বলে বিদায় নেন নিকোলাস ডেভিন। তারপর আয়ান খানের দারুণ এক ডেলিভারিতে দলীয় ৭৩ রানে অধিনায়ক জেরার্ড এরাসমাসের উইকেট হারায় নামিবিয়া।
শেষ তিন ওভারে মাত্র ১৮ রান লাগত দলটির। টি-টোয়েন্টিতে যা মামুলি ব্যাপার। কিন্তু ১৮তম ওভারে একটি উইকেট নিয়ে মেইডেন ওভার করে তাক লাগিয়ে দেন মেহরান। যদিও সেই ওভারের প্রথম বলে বাই হিসেবে চার রান পায় নামিবিয়া। বিলাল খান এরপরের ওভারে দেন ৯ রান।

ফলে শেষ ওভারে জিততে মাত্র পাঁচ রান লাগত নামিবিয়ার। কিন্তু মেহরানের প্রথম বলেই বোল্ড হয়ে ফেরেন ৪৮ বলে ৪৫ রান করে নামিবিয়াকে ম্যাচে রাখা জ্যান ফ্র্যাঙ্কলিন। এরপর তৃতীয় বলে জ্যান গ্রিনকে লেগ বিফোর উইকেটের ফাঁদে ফেলেন তিনি।
শেষ তিন বলে জেতার জন্য সেই পাঁচ রানই লাগত নামিবিয়ার। কিন্তু দলকে তখন জেতাতে পারেননি দলটির অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার ডেভিড ভিসে। ফলে ম্যাচ গড়ায় সুপার ওভারে। সেখানে ওমানের হয়ে আগে বোলিংয়ে আসেন বিলাল।
মূল ইনিংসে না পারলেও নামিবিয়াকে সুপার ওভারে দুর্দান্ত শুরু এনে দেন ভিসে। শুরুর দুই বলেই চার-ছক্কার বিলালের ওপর চড়াও হন তিনি। আরেক প্রান্তে থাকা এরাসমাস স্ট্রাইকে গিয়ে সেই ওভারটি শেষ করেন দুটি চারে।
নামিবিয়ার তোলা ২১ রান আর অতিক্রম করতে পারেনি ওমান। সুপার ওভারের দ্বিতীয় ইনিংসে ভিসে এবার বোলিংয়েও আসেন। প্রথম দুই বলে দুই রান দিয়ে তৃতীয় বলে নাসিম খুশিকে বোল্ড করে ফেরান তিনি। সেই ওভারের শেষ বলে ছক্কা হাকালেও মাত্র দশ রান তোলে ওমান। ম্যাচটি জিতে যায় নামিবিয়া।
এর আগে টস জিতে বোলিংয়ে নেমে স্বপ্নের মতো শুরু করে নামিবিয়া। প্রথম দুই বলেই দুজনকে লেগ বিফোর উইকেটের ফাঁদে ফেলেন রুবেন ট্রাম্পেলম্যান। তার দেরিতে সুইং করা পরপর দুটি ফুল লেংথের ডেলিভারিতে পরাস্ত হন কেশপ প্রজাপতি এবং অধিনায়ক আকিব ইলিয়াস।
নিজের দ্বিতীয় ওভার করতে এসে আরেক ওপেনার নাসিম খুশিকে ফেরান ট্রাম্পেলম্যান। ৬ বলে ৬ রান করা খুশি মিড অফে ক্যাচ তুলে দেন। তারপর জিশান মাকসুদ ও খালিদ কাইলের ব্যাটে কিছুটা সময় কাটায় ওমান।
যদিও ভালো খেলতে খেলতে ফিরে যান জিসান। ২০ বলে ২২ রান করে বার্নাড স্কোল্টজের বলে এলবিডব্লিউ হন তিনি। দলীয় ৬৮ রানে এরাসমাসের বলে লং অফে ফ্রাইলিংকের হাতে ক্যাচ দিয়ে ২১ বলে ১৫ রান করে সাজঘরে ফেরেন আয়ান খান। এরপর থেকে যাওয়া আসার মধ্যেই থাকে নামিবিয়ার ব্যাটাররা।
দলটির হয়ে ৩৯ বলে সর্বোচ্চ ৩৪ রান করেন খালিদ। শুরুর ১০ রানের মধ্যে তিন উইকেট নেয়া ট্রাম্পেলম্যান শেষদিকে আরও একটি উইকেট নেন। মাত্র ২১ রান খরচায় চার উইকেট নেন তিনি। এ ছাড়া ডেভিড ভিসে নেন ২৮ রান খরচায় তিন উইকেট।