শিখছি বললে ভুল হবে, জেতার ওপরে কিছু নেই: জ্যোতি

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে একই গ্রুপে ভারত, পাকিস্তান ও অস্ট্রেলিয়া
১৮ জুন ২৫
ভারতের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজটি ৫-০ ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ নারী দল। কিছুদিন আগে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষেও ৩-০ ব্যবধানে টি-টোয়েন্টি সিরিজ হারে বাংলাদেশ। এমনকি ওয়ানডে সিরিজটিও একই ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ হয় নিগার সুলতানা জ্যোতির দল। এমন হারে হতাশ জ্যোতি।
এই সিরিজে সবচেয়ে বেশি চোখে পড়েছে বাংলাদেশের ব্যাটারদের ব্যর্থতা। পুরো সিরিজে বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি রান করেছেন জ্যোতি। ৯৩ রান আসে তার ব্যাটে। এ ছাড়া ৮০ রানও করতে পারেননি কেউ।

বাংলাদেশের হয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৭৮ রান আসে দিলারা আক্তারের ব্যাটে। অপরদিকে ভারতের তিনজন ব্যাটার করেছেন একশ'র বেশি রান। মূলত ব্যাটারদের ব্যর্থতায়ই এই সিরিজে সেভাবে কিছু করতে পারেনি বাংলাদেশ।
প্রথম ইনিংসে ২৭০-২৮০ রান চায় বাংলাদেশ
৭ ঘন্টা আগে
জ্যোতি বলেন, ‘সবাই জেতার জন্য নামে। এখন আর শেখার সুযোগ নেই। এখন এসে যদি বলি যে শিখছি, তাহলে ভুল হবে। সবাই চায়, আমরাও চাই, মানুষও চায় যাতে জিতি। জেতার ওপরে কিছু নেই। হ্যাঁ, নতুন কিছু খেলোয়াড়ের জন্য শেখার সুযোগ ছিল এটি। কিন্তু আমরা যারা সিনিয়র আছি, তাদের জন্য একটা সতর্কবার্তা—রান করতে বা অবদান রাখতে না পারলে জায়গা ধরে রাখা কঠিন হবে।’
‘দিন শেষে তো সবাই আউটই হচ্ছি। শূন্য করে বা ১০ রান করে। একদিন ব্যাটে বলে হবে, একদিন হবে না। দিন শেষে আউটই হবেন। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ব্যর্থতার ভয় নিয়ে থাকলে কেউ রান করতে পারবে না। চাপ নিতেই হবে। আউট হয়ে যাব, এ জন্য খেলতে পারছি না, এটা ভাবলে বোকামি হবে।’
ব্যাটাররা ব্যর্থ হলেও এই সিরিজে কিছুটা আশা দেখিয়েছে বোলারদের পারফরম্যান্স। চার ইনিংসে আটটি উইকেট নিয়ে সিরিজের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেটশিকারী রাবেয়া খান। এ ছাড়া মারুফা আক্তার নেন চার ইনিংসে পাঁচ উইকেট।